বন্দরে বাড়ী দেওয়ালে আস্তর করা কাজে  বাধা প্রদানের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা ও মেয়ে জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে রাত্রী আক্তার (২৪)।

স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত হোসনে আরা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঘটনার ওই দিন রাতে  বাদী হয়ে হামলাকারি সন্ত্রাসী ইব্রাহিম, মুক্তার, জীবন, হাসনা বানু,  সজিব, কালু ও ইলিয়াস মিয়ার নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি  লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে,  বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম একই এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মোক্তারসহ উল্লেখিত এলাকার জীবন, হাসনা বানু, সজিব, কালু ও ইলিয়াসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসত বাড়ি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। 

গত ২৩ জুলাই বিকাল ৫টায় প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম হাসনা বানুর বসত বাড়ী সিমানা ঘেঁষে কোন প্রকার  জায়গা না ছেরে পাকা ভবন নির্মঠু করে আসছে । প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম  হাসনা বানু জায়গায় দাড়িয়ে দেওয়ালে আস্তর করতে চাইলে ওই সময় হাসনা বানু মেয়ে রাত্রী আক্তার আস্তর করা কাজে বাঁধা প্রদান করে।  

এ ঘটনায় সকল  বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে হাসনা বানু বসত বাড়িতে  অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে বসত বাড়ি ভাংচুরসহ ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গেলে রাত্রী আক্তারকে বেদম মারধর  জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে স্নালতাহানী করে।

ওই সময় হামলাকারিরা রাত্রী আক্তারের  গলায় থাকা ৮ আনা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন

কোনো কারন ছাড়া মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার কিছুক্ষন পর সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন নেতৃত্বে উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা হাসনা বানু বাড়িতে  অনধিকার প্রবেশ করে কোনো কারন ছাড়া এলোপাথারী কিলঘুষি মেরে মারধর সহ আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে।

তারপর বিবাদীগন আমার পরিহিত জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে শ্ললতাহানী করে। আর আমার ও আমার পরিবারের প্রান নাশের ক্ষতি সাধন করবে বলে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম সাবেক ছাত্র নেতা  জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পশ্চিম হাজীপুর ও পূর্ব হাজীপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ বসত ব ড় এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ