যশোরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. জিহাদ হোসাইন (১৮) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরে কালেক্টর চত্বরে হামলার শিকার হন তিনি।
আহত জিহাদ হোসাইন যশোরে গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি ওয়াইদুল ইসলাম অভির ছেলে। তিনি উপশহর এ-ব্লকের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ককে কুপিয়ে আহত
গংগাচড়ায় হিন্দু পাড়ায় হামলা: গ্রেপ্তার ৫ জন আদালতে
এলাকাবাসী জানান, জিহাদ তার এক বন্ধুর সঙ্গে কালেক্টর চত্বরে ঘুরতে যান। এসময় ৫-৬ জন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। তারা জিহাদের পকেটে হাত দেয়। জিহাদ তাদের বাধা দেন। এসময় ছিনতাইকারীদের একজন চাকু দিয়ে জিহাদের ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। জিহাদকে আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বন্ধু।
সাংবাদিক ওয়াইদুল ইসলাম অভি তার ছেলের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। অপরাধীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ