৫ আগস্টের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র: তথ্য উপদেষ্টা
Published: 2nd, August 2025 GMT
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাত ১২টা ১ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও এমন তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল রাত ১২টা ২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন- “জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে.
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে। দীর্ঘমেয়াদি স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
নতুন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়নে কাজ শুরু করে। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয় এবং রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করা হচ্ছে, যা এই অন্তর্বর্তী সরকারের মৌলিক দর্শন, লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক সরক র আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।