রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ নামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও এক ঘণ্টা পরে শুরু হয়।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিবের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত রয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে যোগ দিয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং আহতরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত রয়েছেন।

আজকের সমাবেশ থেকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করবেন।

সমাবেশ শুরুর আগে এনসিপির একাধিক নেতা প্রথম আলোকে জানান আজকের সমাবেশ থেকে দেশবাসীকে নতুন বার্তা দিবে দলটি। তারা জানান ইশতেহারে দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য যে যে বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়া দরকার, সে গুলো তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে নাগরিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারের বিষয়টি তুলে ধরবেন। এ ছাড়া জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্র বাস্তবায়নের দাবিও জানানো হবে। শেখ হাসিনাসহ খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবিটিও উল্লেখ থাকবে ইশতেহারে।

সমাবেশ শুরুর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠা দল এনসিপি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। নতুন বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে দেখতে চাই, বাংলাদেশের জন্য কী কী পরিকল্পনা আমরা নিতে চাই, কীভাবে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষাসহ সবগুলো খাতে পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে পরিবর্তন করতে চাই, সেটির রূপরেখা আজকে তুলে ধরা হবে। নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার মানে দেশকে গড়ার নতুন রূপরেখা।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইশত হ র এনস প র নত ন ব

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ