অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বীর বাহাদুর ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
Published: 3rd, August 2025 GMT
প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৭৪ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তাঁর স্ত্রী মে হ্লা প্রূ-এর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার রাজধানীতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো.
দুদকের করা প্রথম মামলায় বলা হয়েছে, বান্দরবান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের নামে থাকা ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪০২ টাকা জমা হয় এবং সেখান থেকে ২৬ কোটি ২৪ লাখ ২৫ হাজার ১০৫ টাকা উত্তোলন করা হয়। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট ও সন্দেহজনক। এ ছাড়া তাঁর নামে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
এদিকে দ্বিতীয় মামলায় তাঁর স্ত্রী মে হ্লা প্রূ-এর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ১৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মে হ্লা প্রূ-এর নামে থাকা ৬টি ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৭২ হাজার ২৩ টাকা জমা হয় এবং সেখান থেকে ৬ কোটি ২৮ লাখ ৯ হাজার ১৬১ টাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া তাঁর নামে থাকা ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এই মামলায় স্বামী বীর বাহাদুর উ শৈ সিংকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বীর বাহাদুর ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯,১৭,৮৬,৪৬৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রাখা এবং ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৫৮,৪০,৮৩,৫০৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং ও তার স্ত্রী মেহ্লা প্রুর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রবিবার কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রীর সঙ্গে বীর বাহাদুরকেও আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় বলা হয়, বীর বাহাদুর উশৈ সিং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯,১৭,৮৬,৪৬৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। পরবর্তী তা ভোগ দখলে রেখে এবং নিজের নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৫৮,৪০,৮৩,৫০৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
দুদক জানায়, অনুসন্ধানে বীর বাহাদুরের বৈধ উৎসের পরিমাণ পাওয়া যায় ২০,৩৮,৪৯,৩৪৯ টাকা, অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত সম্পদের মূল্য ২৯,৫৬,৩৫,৮১৩ টাকা আর জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের মূল্য ৯,১৭,৮৬,৪৬৪ টাকা।
দ্বিতীয় মামলায় বলা হয়, আসামি মেহ্লা প্রু তার স্বামী বীর বাহাদুর উশৈ সিংয়ের সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩,৩৫,৯৪,০৭৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন। তাছাড়া নিজের নামে ৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১৫,৫৮,৮১,১৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//