বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৪ ভারতীয় জেলে আটক
Published: 3rd, August 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করা ১৪ ভারতীয় জেলেকে একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ আটক করেছে নৌবাহিনী। গতকাল শনিবার রাতে মোংলা সমুদ্রবন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া–সংলগ্ন গভীর সমুদ্র থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা বিষখালী তাঁদের আটক করে।
আটক জেলে ও এফবি পারমিতা নামের ট্রলারটি নিয়ে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আজ রোববার সকালে মোংলার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মোংলা পৌঁছানোর পর ভারতীয় ট্রলারে থাকা ইলিশসহ বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া ওই জেলেদের মোংলা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ তথ্য জানিয়ে মোংলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো.
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, বেআইনিভাবে এ দেশের জলসীমায় মাছ শিকারের দায়ে আটক ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন আইনে মোংলা থানায় মামলা করা হবে। এরপর সোমবার সকালে ওই জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ১৪ জুলাই একই এলাকা থেকে এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গল চন্ডি নামের দুটি ভারতীয় ট্রলারসহ ৩৪ জেলেকে আটক করেছিল নৌবাহিনী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাফত মজলিসের দেশব্যাপী "বিজয় র্যালি’ ৫ আগস্ট
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী "বিজয় র্যালি’ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
রবিবার (৩ আগস্ট) দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ‘বিজয় র্যালি’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল এক অবিস্মরণীয় দিন। বছরের পর বছর ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ সে দিন রূপ নেয় ভয়াবহ গণ-অভ্যুত্থানে। লাখো ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসে এবং গণভবন অভিমুখে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে। এই মিছিল ছিল ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হন এবং পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিকে নতুন গতি দিয়েছে এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এক যুগান্তকারী মাইলফলকে পরিণত হয়েছে। এই বিপ্লবের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ ইতিমধ্যে জুলাই মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) দেশব্যাপী ‘বিজয় র্যালি’ পালিত হবে।
বিবৃতিতে তিনি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখার প্রতি সাংগঠনিক প্রস্তুতির মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে এই র্যালি পালন করার আহ্বান জানান।
তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষ, বিশেষ করে আলেম-উলামা, ছাত্র, যুবক ও সমাজ সচেতন নাগরিকদের বিজয় র্যালিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি