বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করা ১৪ ভারতীয় জেলেকে একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ আটক করেছে নৌবাহিনী। গতকাল শনিবার রাতে মোংলা সমুদ্রবন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া–সংলগ্ন গভীর সমুদ্র থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা বিষখালী তাঁদের আটক করে।

আটক জেলে ও এফবি পারমিতা নামের ট্রলারটি নিয়ে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আজ রোববার সকালে মোংলার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মোংলা পৌঁছানোর পর ভারতীয় ট্রলারে থাকা ইলিশসহ বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ নিলামে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া ওই জেলেদের মোংলা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ তথ্য জানিয়ে মোংলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো.

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, বেআইনিভাবে এ দেশের জলসীমায় মাছ শিকারের দায়ে আটক ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন আইনে মোংলা থানায় মামলা করা হবে। এরপর সোমবার সকালে ওই জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

এর আগে গত ১৪ জুলাই একই এলাকা থেকে এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গল চন্ডি নামের দুটি ভারতীয় ট্রলারসহ ৩৪ জেলেকে আটক করেছিল নৌবাহিনী।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ