নির্বাচনের দিন ঘোষণা করুন, বিএনপি আর বসে থাকবে না: জাহিদ হোসেন
Published: 4th, August 2025 GMT
জাতীয় নির্বাচন তিন মাসেই শেষ হতে পারে, সেখানে এক বছর সময় নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুন, না হলে বিএনপি আর বসে থাকবে না।
রবিবার (৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ঠেকাতে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে
বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করার অনেক চেষ্টা হচ্ছে: ফখরুল
জাহিদ হোসেন বলেন, “২০০৮ সালে মানুষ ঠিকমতো ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪-তে ছিল ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮-তে আগের রাতে ভোট হয়েছে। ২০২৪-এও দেখা গেল ‘আমি আর ডেমির’ নির্বাচন। এবার জনগণ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।”
তিনি আরো বলেন, “স্বৈরাচারের দোসররা এখনো প্রশাসনে ঘাপটি মেরে আছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে হলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে, কাজ দিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।”
গোপন ভোটে অনুষ্ঠিত হয় নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির কাউন্সিলর ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা ভোট দেন। ৯২৩ ভোটারের মধ্যে ৮০৩ জন ভোট দেন।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন নেদারল্যান্ডসের নতুন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের নতুন রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান বোমেল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, বাণিজ্য, কৃষি, রোহিঙ্গাবিষয়ক মানবিক সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বোমেল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য তাঁর দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দল এ সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে এবং নেদারল্যান্ডস এ মিশনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে।
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার অংশ হিসেবে পানি ব্যবস্থাপনাও আলোচনায় আসে। অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, বন্যানিয়ন্ত্রণ ও উপকূলীয় নিম্নভূমি সুরক্ষায় ডাচ অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু নির্মাণ ও শেখার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অগ্রগতি, বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাসরত এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি ডাচ সহায়তা কামনা করেন। তিনি জানান, অর্থসংকটের কারণে চলমান মানবিক কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।
এ সময় অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন যে আসন্ন ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলন আন্তর্জাতিক সমর্থন জাগ্রত করবে এবং শরণার্থীশিবিরে মানবিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড়ে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রদূত বোমেল সংকটটির তাৎপর্য স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বেশি মনোযোগের দাবি রাখে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, চলমান অন্যান্য ভূরাজনৈতিক সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক মনোযোগ কিছুটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
বৈঠকে জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।