ভোমরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
Published: 4th, August 2025 GMT
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছুঁড়া ছররা গুলিতে আলমগীর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে সীমান্তের লহ্মীদাড়ী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত আলমগীর লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত শেখ সাঈদ উদ্দীনের ছেলে।
আহতের ভাগ্নে বেলাল হোসাইন জানান, সীমান্তে তার মামা আলমগীরের একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। সোমবার ভোরে ঘেরে যান তিনি। এ সময় ভারত থেকে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে আসছিল। তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি ছুঁড়ে। তার মামার ডান পাশের ঘাড়ে ও মাথায় গুলি লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছবি তুলতে গিয়ে সীমান্ত অতিক্রম, দুই কিশোরকে ফেরত দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ২ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার জহির উদ্দীন বলেন, “আলমগীর গত ৩০ জুলাই অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে তার আত্নীয়ের বাড়িতে যান। আজ সোমবার অবৈধভাবে বাংলাদেশের আসার পথে বিএসএফর গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আহত ব এসএফ আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি উত্তীর্ণ হন।
আজ বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আরফান হোসেনের হাতে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’ তিনি বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিল কিশোরী ফেলানী খাতুন। সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরমান হোসেনের (২১) এই নিয়োগ যেন দীর্ঘদিনের এক চাপা বেদনার মাঝে আশার দীপ্তি এনে দিয়েছে। পরিবারসহ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে যাওয়া বোন ফেলানী খাতুনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন আরমান হোসেন পূর্ণ করবেন।
এইচএসসি পাস আরফান হোসেন নিয়োগপত্র পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলের এই চাকরি তাঁর যোগ্যতায় হয়েছে, সবার দোয়াও ছিল। তাঁর ছেলে চাকরিজীবনে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। তাহলে তাঁর মেয়ে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার পর কাঁটাতারে ঝুলে ছিল বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনের মরদেহ।