আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফরে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার নিজেই এ খবর দিয়েছেন। ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যেই এ ঘোষণা এল।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চুক্তিতে রাজি হতে রাশিয়াকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প, নতুবা দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। যদিও সেসব নিষেধাজ্ঞা কী হতে পারে ট্রাম্প তা নির্দিষ্ট করে বলেননি। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে অনলাইনে বাগ্‌বিতণ্ডার পর তিনি যে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছেন, সেগুলো এখনো ‘ওই অঞ্চলে’ অবস্থান করছে।

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি এবং সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যেই ট্রাম্প রোববার বলেন, ‘আমার মনে হয়, আগামী সপ্তাহের বুধ বা বৃহস্পতিবার উইটকফ রাশিয়া সফরে যাবেন।’

সাবমেরিনগুলো পারমাণবিক শক্তিচালিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত, সে বিষয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি সাবমেরিনগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাধারণত তাদের সাবমেরিনের সুনির্দিষ্ট অবস্থান গোপন রাখে।

ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি এবং সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যেই ট্রাম্প রোববার বলেন, ‘আমার মনে হয়, আগামী সপ্তাহের বুধ বা বৃহস্পতিবার উইটকফ রাশিয়া সফরে যাবেন।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যে মস্কোয় একাধিকবার উইটকফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, তবে ট্রাম্পের ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে যাওয়ার আগে ওই সব বৈঠক হয়েছে।

রোববার সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, উইটকফ মস্কোয় কী বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন এবং রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা এড়াতে কিছু করতে পারে কি না।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, এমন একটি চুক্তি হোক, যেন মানুষ হত্যা বন্ধ হয়।’

আরও পড়ুনপারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন: ৮ আগস্টের আলটিমেটামের পর কী করবেন ট্রাম্প৩ ঘণ্টা আগে

এর আগে ট্রাম্প হুমকির সুরে আরও বলেন, নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চীন ও ভারতের মতো রাশিয়ার বাকি বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর দ্বিতীয় স্তরের শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এতে রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়বে ঠিকই, তবে একই সঙ্গে বৈশ্বিক অস্থিরতার ঝুঁকিও তৈরি হবে।

এদিকে ওয়াশিংটনের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। পুতিন গত শুক্রবার বলেছেন, তিনি শান্তি চান, তবে ইউক্রেনে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলা আগ্রাসন বন্ধে তাঁর যেসব শর্ত ছিল তা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।

পুতিনের শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলো রাশিয়া দখল করেছে, সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে।

আরও পড়ুনরাশিয়ার কাছে ট্রাম্পের পরমাণু সাবমেরিন মোতায়েনের ঝুঁকি আসলে কতটা০২ আগস্ট ২০২৫

নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।

কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পুতিনের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেছেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা: বিশ্ব কি পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে০২ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বম র ন ম ত য় ন য ক তর ষ ট র ইউক র ন র বব র আগস ট র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

কদমরসুল সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে বন্দরে নাগরিক কমিটির সভা

একনেক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী কদম রসুল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে বন্দর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় বন্দর  শহীদ সোহরাওয়ার্দী ক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন কলামিষ্ট ফরিদ আহমেদ রবি।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা. ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বার,দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বাংলা টিভির নিউজ প্রেজেন্টার কাজী সাঈদ,বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া,দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার লতিফ রানা, নারায়ণগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাবেক সাধারন সম্পাদক হৃদয় ভূইয়া প্রমূখ।

মত বিনিময় সভায় বক্তারা বলেন,নারায়ণগঞ্জে একজন সাংস্কৃতিক কর্মী কদমরসুল সেতুর নকশা নিয়ে নাক গলাচ্ছেন। তিনি চান না সেতুটা হউক। অথচ নকশা নিয়ে কথা বলবে প্রকৌশলীরা। তিনি কি প্রকৌশলী? তিনি বলছেন এখান দিয়ে সেতু হলে যানযটের সৃষ্টি হবে। 

এতদিন আপনারা কি করেছেন। আসলে মুলত বন্দরকে সব সময় কিছু তথাকথিত সুশিলপ্রকৃতির লোক বিভাজন করে রাখতে চায় সব সময়। মুল ম্যাসেজ হচ্ছে বন্দরকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। বন্দর উন্নতি হলে তাদের সমস্যা।

যারা বন্দরের উন্নয়ণকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় প্রয়োজনে বন্দরের জনগনের নিয়ে তাদের কুশপুত্তলিকা তাহ করা হবে। কোন ভ্রষ্ট বামের কথা নারায়ণগঞ্জে চলবে না। পরিশেষে আমরা সকলকে নিয়ে বন্দরের উন্নয়ণের স্বার্থে সেতুর বাস্তবায়ণ চাই।### 

সম্পর্কিত নিবন্ধ