ফ্লোরিডার আকাশে ছিল উত্তেজনার রং। আর মাঠে পাকিস্তান যেন লিখে রাখলো নিজেদের আধিপত্যের গল্প। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে সালমান আলী আগার দল। এই জয়ের মাধ্যমে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা সপ্তম সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান।

ব্যাট হাতে ইনিংসের ভিত্তি গড়েন পাকিস্তানি ওপেনাররা। সাহিবজাদা ফারহান ৭৪ (৫৩ বল) আর সাইম আইয়ুব ৬৬ (৪৯ বল) রানের ঝকঝকে ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৩৮ রান। শেষদিকে হাসান নওয়াজ ও খুশদিল শাহর ছোট দুটি ঝড়ো ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৮৯ রান।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তুলে ভালো সূচনা করে তারা। অ্যালিক আথানেজের ৪০ বলে ৬০ রানের ইনিংস দলের জন্য আশার আলো হয়ে জ্বলছিল। শেষ ৫ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৪৯ রান, হাতে ছিল ছয় উইকেট।

আরো পড়ুন:

নাটকীয় রোমাঞ্চে জমে উঠেছে ওভাল টেস্ট

সিলেটে বাংলাদেশ-নেদারল‌্যান্ডসের ৩ টি-টোয়েন্টির সূচি চূড়ান্ত

ঠিক তখনই হাল ধরেন সুফিয়ান মুকিম ও হারিস রউফ। মিডল ওভারে চাপ বাড়ান সুফিয়ান; শেষ দুই ওভারে কার্যকর বোলিংয়ে ম্যাচ বের করে নেন রউফ ও হাসান আলী। চাপের মুখে হাসান আলী শেষ ওভারে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে রাদারফোর্ডকে তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। যদিও গুড়াকেশ মোতি শেষদিকে চার-ছক্কা মেরে চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেননি ম্যাচ বাঁচাতে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে ক্যারিবিয়ানরা।

এর আগে সিরিজে প্রথম ম্যাচে জিতেছিল পাকিস্তান, দ্বিতীয় ম্যাচে নাটকীয়ভাবে শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ বের করে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ে জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিলো পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৮৯/৪ (ফারহান ৭৪, সাইম ৬৬, হাসান নওয়াজ ১৫*)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭৬/৮ (আথানেজ ৬০, রাদারফোর্ড ৫১; মুকিম ২ উইকেট, রউফ ১ উইকেট)
ফল: পাকিস্তান ১৩ রানে জয়ী
সিরিজ: পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাহিবজাদা ফারহান (পাকিস্তান)
সিরিজ সেরা: মোহাম্মদ নাওয়াজ (পাকিস্তান)।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘বৈচিত্র্য’ মূল শক্তি সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের

আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একজন নারী প্রার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, রাকসুর ৬৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী ভিপি পদে লড়ছেন। এই নারী শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে রাকসু নির্বাচনে লড়ছে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল।

২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। রাকসুতে সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খান। এ প্যানেলে পাহাড়ি, সনাতন ধর্মাবলম্বী, নারী, কবি, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের পরিচিত মুখ রাখা হয়েছে। নারী ভিপি প্রার্থীসহ এই বৈচিত্র্য প্যানেলটির ‘মূল শক্তি’ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়ছেন ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাজন আল আহমেদ ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাবেক সমন্বয়ক মাহাইর ইসলাম।

প্যানেলের শক্তি

তাসিন খান ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। জিএস প্রার্থী রাজন বিজ্ঞান অনুষদে পরিচিত মুখ। এজিএস মাহাইর সাবেক সমন্বয়কের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে বেশ পরিচিত। এ ছাড়া প্যানেলে তিনজন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ক্রীড়া ও খেলাধুলাবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শীত কুমার ওরাং, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অমিত তঞ্চঙ্গ্যা, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।
শীত কুমার ওরাং একজন সংগ্রামী মানুষ। তিনি চা–শ্রমিক ছিলেন। ভালো ফুটবলার হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।

আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা, ভিপি-জিএস পদে প্রার্থী আবির-নাফিউল০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন গোপাল রায়। গোপাল ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ, তিনি শিল্প-সাহিত্য চর্চা করেন। প্যানেলে আরও দুজন নারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাঁরা হলেন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে সামসাদ জাহান ও সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদে নাদিয়া হক। সামসাদও ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ।

এ ছাড়া এ প্যানেল থেকে সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. লাদেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে সরোয়ার জাহান, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুনান হাওলাদার, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম, সহবিতর্ক ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে আর রাফি সিরাজী, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এস এম রিজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাহী সদস্য পদে লড়বেন ফেরদৌস শরিফ, ইমাম হোসাইন, হাফিজুরুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মুয়াজ।

আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচনে বামদের প্যানেলে নারী একজন, শক্তি ‘ধারাবাহিক লড়াই’১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫অপূর্ণাঙ্গ প্যানেল

রাকসুর ২৬ পদের মধ্যে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ ১৯টি পদে প্রার্থিতা দিয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁরা প্রার্থিতা দিতে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তোফায়েল আহমেদ। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে তাসিনদের প্যানেল। তোফায়েল বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি ও সায়েন্স ক্লাবের সহসভাপতি।

এ বিষয়ে তাসিন খান বলেন, ‘আমরা যেসব মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়েছি, সে রকম মতাদর্শের কাউকে বাকি পদগুলোতে পাইনি। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করতে পারিনি।’

আরও পড়ুনগান, গম্ভীরা, চিঠি—রাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় অভিনব যত কৌশল৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ