অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেন শেখ হাসিনা
Published: 5th, August 2025 GMT
‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে ৫ আগস্ট সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেদিন ছিল সোমবার, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপের’ এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন। বিপুল জনস্রোতের লক্ষ্য ছিল গণভবন।
সেদিন সকালেও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। সেদিন ঢাকার সব প্রধান সড়কেই নেমে আসেন লাখ লাখ মানুষ। উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকা, শাহবাগসহ বিভিন্ন দিক থেকে আসছিলেন ছাত্র–জনতা। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও কিছু স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছাত্র–জনতার মিছিলের বাধা সরিয়ে নেন। দুপুরের আগেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকার নড়বড়ে হয়ে গেছে।
ছাত্র–জনতার সবার গন্তব্য ছিল গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদ ভবন। একপর্যায়ে তাঁরা গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদ ভবনের মধ্যে ঢুকে পড়েন।
জনস্রোত গণভবনে পৌঁছানোর আগেই ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বেলা আড়াইটায় একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, যিনি কয়েক দিন আগেই (১ আগস্ট) বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা কখনো পালায় না।’গণভবনের মাঠে হাত উঁচু করে উল্লাস করেন অনেকে। কেউ কেউ গণভবন ও সংসদে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বেরিয়ে যান। সংসদ ভবনে প্রবেশ করেও উল্লাস ও আনন্দ মিছিল করেন ছাত্র–জনতা। অনেকের হাতে ছিল লাল–সবুজের জাতীয় পতাকা। বিকেল থেকে ছাত্র–জনতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। অনেকেই কার্যালয়ের ছাদে উঠে যান।
ছাত্র–জনতার অনেকে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণভবন-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদের দেয়াল এবং বিভিন্ন স্থাপনায় লিখে, ছবি এঁকে। দেয়ালে বিভিন্ন প্রতিবাদী লিখনে উঠে আসে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার শাসনামলের নানা অনিয়ম ও দুঃশাসনের কথা।
জনস্রোত গণভবনে পৌঁছানোর আগেই ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বেলা আড়াইটায় একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, যিনি কয়েক দিন আগেই (১ আগস্ট) বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা কখনো পালায় না।’
সেনাপ্রধান বলেন, সব হত্যাকাণ্ড ও অন্যায়ের বিচার করা হবে। এ জন্য সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের জানমাল...এবং আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি যে আপনারা আশাহত হবেন না।’ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে মানুষের আনন্দ–উল্লাস। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকেলে সংসদ ভবন এলাকায়
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত র আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্ট ঘিরে শঙ্কা, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ ও দলগুলো
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বার্ষিকী আগামী ৫ আগস্ট। এই দিনটিকে সামনে রেখে কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাজনৈতিক মহলে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, ৫ আগস্টকে সামনে রেখে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পতিত আওয়ামী লীগ নানাভাবে তৎপর। গত মাসে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এই দলটির কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে প্রশিক্ষণ, কর্মশালাসহ ঢাকায় একাধিক গোপন বৈঠকের খবর রয়েছে পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেজর পদমর্যাদার একজন সেনা কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার কথাও জানা গেছে। তাঁকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর জন্য তদন্ত আদালতও গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
সরকারের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কিছু গোপন তৎপরতা ও পরিকল্পনার কথা গোয়েন্দাদের নজরে এসেছে। পাশাপাশি বসুন্ধরার ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও নাশকতার পরিকল্পনার আভাস পেয়েছে। ৩ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়টাকে বেশি আশঙ্কাজনক বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছর জুলাইয়ে টানা আন্দোলনের একপর্যায়ে ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শেখ হাসিনার পতনের এক দফা ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই কারণে ৩ আগস্টকে গুরুত্বপূর্ণ দিবস মনে করা হচ্ছে।
আজ ৩ আগস্ট সেই শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে যাচ্ছে সেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। একই দিন বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করতে যাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থান ঘিরে শেখ হাসিনা সরকারের ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদরে জন্য শোক এবং বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রদল।
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালান। তাঁর সরকারের পতনের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সরকারের বড় কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি ঘিরেও অঘটনে আশঙ্কা রয়েছে বলে সরকারি একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তির দিন পর্যন্ত সতর্কতার বিষয় রয়েছে। এ জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সরকার ও পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়সহ বিভিন্ন স্থানে ‘ব্লক রেইড’ বা বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। রাজধানী ১১টি প্রবেশমুখসহ নগরীর ভেতরে দুই শতাধিক তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক হোটেল ও মেসে অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থাগুলো।
পুলিশ সূত্র বলছে, আজ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলোও। এ সময়ে কোনো বিশৃঙ্খলা বা দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিভক্তি থেকে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা বিবেচনায় রেখেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে তিনটি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা সতর্কতার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
দুই সমাবেশ ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তাএমন পরিস্থিতিতে আজ রাজধানীতে এনসিপি ও ছাত্রদলের সমাবেশ ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই দুটি সমাবেশে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করতে না পারে, এ বিষয়ে দুই দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্ব স্ব দল থেকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, এনসিপি ও ছাত্রদলের সমাবেশস্থলের মধ্যবর্তী স্থান টিএসসি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছে। তল্লাশি চৌকি বসানোর পাশাপাশি আজ রোববার সকাল থেকে সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সমাবেশের ভেতরে ঢুকে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনুসারীদের কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না করতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের সাধারণ পোশাকে সমাবেশস্থল ঘিরে অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের অনলাইনে উসকানিমূলক কার্যক্রমে নজরদারি এবং সন্দেহজনক স্থানে অভিযান বৃদ্ধির বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে ঢাকাসহ সারা দেশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তৎপরতার ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।
নৈরাজ্যের শঙ্কা নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনপুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেয়াল লেখন ও পোস্টার টানানোর ঘোষণা দেন। এ সব ঘোষণার পর পুলিশ অভিযান জোরদার করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলছে, ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সভা-মিছিল করার চেষ্টা করছেন। কয়েকটি জেলায় দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের যেসব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গ্রেপ্তার হননি, তাঁরা নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন বলে তথ্য রয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
নজরদারি বৃদ্ধি ১৩ জেলায়সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজধানী ও এর আশপাশের জেলাকে লক্ষ্যবস্তু করে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর আশপাশের ১৩টি জেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা করে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে জন্য অভিযান চলছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকার আশপাশের জেলার নিরাপত্তা জোরদার প্রসঙ্গে ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্টকে সামনে রেখে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলটির নেতা-কর্মীরা যাতে সংগঠিত হতে না পারে, সে জন্য তাঁর আওতাধীন ১৩ জেলায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন৫ আগস্ট সামনে রেখে সারা দেশে পুলিশি অভিযান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি২ ঘণ্টা আগে