নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
Published: 17th, August 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের একটি ফল বাগান থেকে এক রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম নুরুল আবছার (২২)। তিনি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের জি ব্লকের জাফর আলমের ছেলে। নুরুল আবছার অটোরিকশা চালাতেন।
আজ রোববার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার কুমির প্রজননকেন্দ্র–সংলগ্ন একটি ড্রাগন ফলের বাগান থেকে নুরুল আবছারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানায়, গতকাল শনিবার নুরুল আবছার অটোরিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন, এরপর আর ফেরেননি। রাতভর তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ড্রাগন বাগানে গলাকাটা লাশটি দেখতে পান। তবে তাঁর অটোরিকশা ও মুঠোফোন পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফর ইকবাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুরুল হক বলেন, কে বা কারা রোহিঙ্গা তরুণকে খুন করেছে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি অটোরিকশা ও মুঠোফোন উদ্ধারের জন্য কাজ করছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল আবছ র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে কারখানা চালু করল সুইজারল্যান্ডের সিকা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন কারখানা চালু করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিকা বাংলাদেশ। আজ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ের টিপরদী এলাকায় মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এমআইইজেড) প্রতিষ্ঠানটির কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। এ ছাড়া সিকা বাংলাদেশের প্রধান সঞ্জীবন রায়, সিকা এশিয়া প্যাসিফিক ম্যানেজমেন্টের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইউমি কানসহ মেঘনা গ্রুপ ও সিকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিকা বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড সঞ্জীবন রায় বলেন, ‘সিকা বাংলাদেশ’ হলো সিকার ১০০তম সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যা আমাদের জন্য এক গৌরবের মাইলফলক। সিকা এখন বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের প্রতীক। নির্মাণ ও শিল্প খাতে স্থায়িত্ব, শক্তি এবং উপকরণের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের নির্মাণ খাতের রাসায়নিক বাজার বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের। এ বাজারে সিকার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বিনিয়োগে নতুন কারখানা করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ৮ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে স্থাপিত কারখানাটিতে দুটি আধুনিক উৎপাদন লাইন রয়েছে। যার মধ্যে একটি লিকুইড অ্যাডমিক্সচার ও অন্যান্য কংক্রিট পণ্য উৎপাদনের জন্য এবং অপরটি পাউডারভিত্তিক পণ্য তৈরির জন্য। বিশ্বজুড়ে নির্মাণ ও মোটরগাড়ি শিল্পের জন্য বন্ডিং, সিলিং, রিইনফোর্সিং, প্রটেকশন ও ড্যাম্পিং পণ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিকা বর্তমানে ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম রয়েছে।
সিকা বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি বলেন, সিকা মানেই গুণগত মান, উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণ। ‘সিকা’ বিশ্বজুড়ে নির্মাণ খাতে উচ্চমানের উদ্ভাবনী পণ্য এবং সমাধান দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার।
সিকার এই যাত্রা মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বাংলাদেশের জন্য গর্বের বলে উল্লেখ করেন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘নির্মাণ খাতে সিকা বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সিকার বিনিয়োগ আমাদের অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনতে সহায়ক হবে। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অবকাঠামোসহ যাবতীয় সুযোগ–সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকবে।’