ইউক্রেনে রাজধানী কিয়েভে রাতভর বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। এতে এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো জানিয়েছেন, ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে সেনা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

দনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী, স্বীকার ইউক্রেনের

শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

মেয়র আরো জানান, হামলায় দারনিটস্কি জেলায় একটি পাঁচতলা ভবন ধসে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দনিপ্রো জেলায় একটি বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

হামলার আগের দিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার ড্রোন হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এক লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রাতেই আবার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঘটনা ঘটেছে। 

কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর টকাচেঙ্কো টেলিগ্রামে জানান, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী হামলায় নিহত হয়েছে। সর্বশেষ ড্রোন হামলায় অন্তত পাঁচ শিশু আহত হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০টিরও বেশি জেলায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, একটি কিন্ডারগার্টেন সহ অনেক ভবনে আগুন লেগেছে।

রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরুর সাড়ে তিন বছর পরও ইউক্রেনের মাটিতে যুদ্ধের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।

চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। আলাস্কায় তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বসেছেন।

ট্রাম্প পুতিন-জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলেনস্কি এতে সমর্থন জানিয়েছেন, তবে শান্তিচুক্তি হলেও ভবিষ্যতে যেন রাশিয়া আর কোনো হামলা চালাতে না পারে, এর জন্য তিনি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে জানান, তিনি এই সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ