দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুনের দাদি ও রাম চরনের নানি মারা গেছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আল্লু কানাকারাত্তিনাম। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল এ খবর প্রকাশ করেছে। 

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার (৩০ আগস্ট) হায়দরাবাদের বাড়িতে মারা গেছেন আল্লু কানাকারাত্তিনাম। বার্ধক্যজনিত কারণে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর শাশুড়ি। 

আরো পড়ুন:

অভিনেত্রীকে অশালীন স্পর্শ, ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা, অভিনেতার ক্ষমা প্রার্থনা

১২ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে বাগদান সারলেন বিশাল

রাম চরণ মুসৌরিতে শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে, আল্লু অর্জুন অ্যাটলির পরবর্তী সিনেমার কাজে মুম্বাইয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত হায়দরাবাদে উড়ে যান তারা। গতকালই আল্লু কানাকারাত্তিনামের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাতে যোগ দেন চিরঞ্জীবী, রাম চরণ, আল্লু অর্জুনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও।  

দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা আল্লু রামালিঙ্গ। ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই মারা যান তিনি। পদ্মশ্রী প্রাপ্ত এ অভিনেতার স্ত্রী আল্লু কানাকারাত্তিনাম। এ দম্পতির দুই সন্তান। তারা হলেন— আল্লু অরবিন্দ (পুত্র), সুরেখা (কন্যা)। 

বাবার পথ অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে পা রাখেন আল্লু অরবিন্দ। তবে অভিনেতা নন, প্রভাবশালী প্রযোজক ও প্রদর্শক হিসেবে নিজের জায়গা গড়ে নেন। আল্লু অরবিন্দ নির্মলার সঙ্গে সংসার বেঁধেছেন। এ সংসারে জন্ম নেয় আল্লু অর্জুন ও আল্লু সিরিশ। এই দুই অভিনেতাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।

অন্যদিকে, আল্লু রামালিঙ্গ-আল্লু কানাকারাত্তিনাম দম্পতির কন্যা সুরেখা শোবিজে পা রাখেননি। তবে দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। চিরঞ্জীবী-সুরেখা দম্পতির তিন সন্তান। তারা হলেন—রাম চরণ (পুত্র), সুস্মিতা (কন্যা), শ্রীজা (কন্যা)। চলচ্চিত্রে রাম চরণ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও, দুই বোনের কেউই অভিনয়ে আসেননি। 

 

 

 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র ম চরণ অর জ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ