ফের মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী গওহর খান। গত ১ সেপ্টেম্বর, পুত্রসন্তানের জন্ম দেন গওহর খান। জায়েদ দরবার-গওহর খান দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান।
খুশির খবরটি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌথভাবে পোস্ট দিয়েছেন গওহর-জায়েদ। তাতে বলা হয়েছে, “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। জেহান অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তার রাজত্ব ভাগ করে নিতে পেরে খুশি। কারণ তার নতুন ছোট ভাই ১ সেপ্টেম্বর জন্ম নিয়েছে। আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ কামনা করছি। আমরা কৃতজ্ঞ।”
আরো পড়ুন:
ভেঙে যাচ্ছে গায়িকা মোনালি ঠাকুরের সংসার?
ধর্ষণের অভিযোগে অভিনেতা গ্রেপ্তার
করোনা সংকটের সময়ে জায়েদ দরবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান গওহর খান। মুখে মাস্ক পরে শপে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন গওহর খান, আর সেখানে তাকে দেখে প্রেমে পড়েন জায়েদ। বয়সে জায়েদের চেয়ে ৯ বছরের বড় গওহর। কিন্তু বয়সের এই ব্যবধান বাধা হয়নি এ জুটির প্রেম কাহিনিতে।
করোনার কারণে লকডাউন দেওয়া হয়েছিল ভারতে। এ বিধিনিষেধ শিথিল হতেই ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা। ২০২৩ সালের ১১ মে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন গওহর। প্রথম সন্তানের নাম রাখেন জেহান।
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দুই দশক পার করছেন গওহর খান। টেলিভিশন থেকে শুরু করে বড় পর্দা, ওটিটি— সব মাধ্যমেই তার অবাধ বিচরণ।
এক সময় এ অভিনেত্রীর লাভ লাইফ নিয়েও কম চর্চা হয়নি। পরিচালক সাজিদ খানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন গওহর, পরবর্তীতে অভিনেতা কুশল ট্যান্ডনের সঙ্গে গওহরের প্রেমের গল্প কারো অজানা নয়। তবে সেই প্রেম পরিণয় পায়নি। সর্বশেষ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জায়েদ দরবারকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন গওহর খান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন গওহর খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী