ঈদে মিলাদুন্নবীর গাড়ি বহরে হামলা পূর্বপরিকল্পিত: ইসলামী ফ্রন্ট
Published: 7th, September 2025 GMT
পবিত্র জশনে জুলুস শেষে হাটহাজারীতে আশেকে রাসুলদের গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা স উ ম আবদুস সামাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, “পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী দিনক্ষণ আসলে ইসলামের নামধারী উগ্রবাদী গোষ্ঠী মিলাদুন্নবী ও জশনে জুলসের বিরোধিতা করে। চিহ্নিত এই মহল আগে জুলুসের বিরুদ্ধে হুমকি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় জুলুস শেষে ফেরার পথে হাটহাজারীতে এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী জুলুসের গাড়িতে হামলা করে। ভাঙচুর করে সুন্নীজনতাকে আহত করেছে। তাদের এই হামলা পরিকল্পিত।”
বিবৃতিতে তারা বলেন, “পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাটহাজারি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইট, রড, লাঠি নিয়ে জুলুসের গাড়িতে হামলা করার অসংখ্য ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। গত বছরেও জশনে জলুসের গাড়িতে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে হামলা করা হয়। তাই জনৈক আরিয়ানের অঙ্গ-ভঙ্গি বা ফেসবুক স্ট্যাটাস কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা ঘটেছে বলা একটি অপপ্রচার মাত্র।”
“শুধু তাই নয়, কওমি ঘরনার বক্তারা জশনে জুলুসে হামলার জন্য বিগত কয়েক দিন ধরে ঘোষণা দিয়ে আসছে, বি-বাড়িয়াতে লাঠি মিছিলও করে। তাই আমরা মনে করি এটি একটি পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তি দাবি করছি।”
নেতারা বলেন, “যারা দেশজুড়ে তৌহিদি জনতার নামে ত্রাস ও মবের রাজত্ব কায়েম করেছে তাদের দমানো না গেলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। সরকার তাদের দমন না করলে সুন্নীজনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আর এজন্য কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকারকে দায় নিতে হবে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।