মন্টেনেগ্রোকে উড়িয়ে দিলো মদ্রিচরা
Published: 9th, September 2025 GMT
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত ছন্দ ধরে রেখেছে ক্রোয়েশিয়া। জাগরেবে সোমবার দিবাগত রাতে ১০ জনের মন্টেনেগ্রোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শুধু গ্রুপে শীর্ষেই নয়, বরং ঘরের মাঠে বাছাইপর্বে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ডও আরও লম্বা করল তারা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে নিজেদের মাঠে বাছাইপর্বের ম্যাচে এখনও হার দেখেনি ক্রোয়াটরা (১১ জয়, ৩ ড্র)।
ফারো দ্বীপপুঞ্জের বিপক্ষে শুক্রবার মাত্র ১-০ গোলে কষ্টার্জিত জয় পেলেও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে শুরু থেকেই আলাদা প্রত্যাশা ছিল। কারণ, আগের চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে হার মানে মন্টেনেগ্রো।
আরো পড়ুন:
মেরিনোর হ্যাটট্রিকে তুরস্ককে উড়িয়ে দিলো স্পেন
অবশেষে জার্মানির স্বস্তির জয়
তবে ম্যাচের শুরুটা সহজ ছিল না ক্রোয়েশিয়ার জন্য। ইগর ভুজাসিচ ইনজুরিতে মাঠ ছাড়লেও মন্টেনেগ্রো প্রথম দিকে বেশ ভালোভাবেই লড়াই করছিল। ফ্রানিয়ো ইভানোভিচের দারুণ এক হেডও ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দানিয়েল পেতকোভিচ।
৩৫ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। বয়সকে হার মানানো লুকা মদ্রিচ ডান দিকে এক চমৎকার লফটেড বল পাঠান। সেখানে বল পেয়ে ক্রিস্টিয়ান ইয়াকিচ অবিশ্বাস্য ফুটওয়ার্কে দুইজনকে কাটিয়ে দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে জালে বল জড়ান। জাতীয় দলের হয়ে এটাই ছিল তার প্রথম গোল।
গোল হজমের পর মন্টেনেগ্রোর বিপদ আরও বাড়ে। মদ্রিচকে ফাউল করে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখেন আন্দ্রিজা বুলাতোভিচ, লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বিরতির পর সংখ্যাগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়া দেয়াল ভাঙতে আর দেরি করেনি।
খেলার ৫১ মিনিটে বুন্দেসলিগার জুটি জ্বলে ওঠে। বায়ার্নের জোসিপ স্টানিসিচ ডান দিক থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ান, আর হফেনহাইমের আন্দ্রেয় ক্রামারিচ সহজেই বল ঠেলে দেন জালে। চলতি বাছাইপর্বে এটি ছিল তার টানা চতুর্থ ম্যাচে ষষ্ঠ গোল!
এরপরও থামেনি ক্রোয়াটরা। মদ্রিচ নিজেও গোলের চেষ্টা করেন, তার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর অঁতে বুদিমিরের শটও রুখে দেন পেতকোভিচ। তবে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় গোল আসে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী ভুলে, লোভরো মাজেরের শটে বল ঠেকাতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে দেন এডভিন কুচ।
শেষ মুহূর্তে ব্যবধান আরও বড় হয়। দারুণ এক থ্রু পাসে মাজের খুঁজে নেন ইভান পেরিসিচকে। তিনি কোনো সময় নষ্ট না করে সরাসরি শটে বল পাঠান জালে।
এই জয়ে গ্রুপ ‘এল’-এর শীর্ষে উঠে এসেছে ক্রোয়েশিয়া। হাতে রয়েছে আরও একটি ম্যাচ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেক রিপাবলিকের চেয়ে তাদের সংগ্রহও বেশি। ফলে সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মদ্রিচ-পরিসিচদের জন্য।
অন্যদিকে ২০০৬ সালে সার্বিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকেই বিশ্বমঞ্চে হতাশায় ভুগছে মন্টেনেগ্রো। এবারও তাদের অবস্থা একই, চেকদের সঙ্গে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ছয় পয়েন্টে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প ব ছ ই ফ টবল মন ট ন গ র ব ছ ইপর ব মদ র চ
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন