৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যমুনা ও সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি রাশেদের
Published: 14th, September 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তা না হলে যমুনা ও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, “যারা অন্যায় করেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আইনের আওতায় না আনলে আমরা যমুনা ও সচিবালয় ঘেরাও করব।”
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এতদিন পার হলেও সিসিটিভি ও ভিডিও ফুটেজ থাকার পরেও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও আমাদের কাছে তদন্ত করতে এখনো আসেনি। অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।”
নুরকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ঘোষণা দিয়েও সরকার টালবাহানা করছে বলে মন্তব্য করেন দলের নেতারা। তারা জানান, প্রয়োজনে দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকেই তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হবে।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক