বন্দরে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা ও প্রাননাশের হুমকি
Published: 16th, September 2025 GMT
বন্দরে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানসহ প্রাননাশের হুমকি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূমিদস্যু খোকন, খোকা, নুরুল ইসলামসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন মিয়ার দাদা মৃত ইমান আলী বিগত ৮০ বছর পূর্বে তার নিকট আত্মীয় মৃত গোলজান বিবি, মৃত শ্রী তুফান আলী, মৃত আহমেদ হোসেন এর কাছ থেকে উক্ত সম্পত্তি খরিদ করে প্রথমে আমার দাদা পরে আমার পিতা বর্তমানে আনোয়ার হোসেনসহ তার পরিবার শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতা গত শনিবার সকাল ৯টায় আনোয়ার হোসেন তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মান কাজ শুরু করলে ওই সময় একই এলাকার মৃত আনিজল মিয়ার ভূমিদৎসু ছেলে খোকন ও খোকা একই এলাকার মৃত খলিল সরদারের ছেলে নুর ইসলাম ও মৃত আনিজল মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম ঘটনাস্থলে এসে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরে ওই দিন রাত ৮টায় উল্লেখিতরাসহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে আনোয়ার হোসেন বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি প্রদান করে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবার।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হ মক ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস