পঞ্চগড়ে কামড় খেয়ে জীবন্ত গোখরা সাপ নিয়ে হাসপাতালে নারী
Published: 17th, September 2025 GMT
নিজের ঘরে কাজ করার সময় সুমিত্রা রানীকে (৫৫) একটি সাপ কামড় দেয়। তাঁর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বস্তা দিয়ে সাপটি ধরে কাচের জারে ঢুকিয়ে রাখেন। পরে সেই জার ও সুমিত্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাপোতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুমিত্রা রানী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাপোতা গ্রামের উপেন্দ্র নাথ রায়ের স্ত্রী।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা সাপটি দেখে গোখরা বলে নিশ্চিত হন। পরে অ্যান্টি–ভেনম দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে ওই নারীকে পাঠিয়ে দেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুনচার ধরনের সাপ বেশি কামড়ায়২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩সুমিত্রা রানীর ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরের পর তাঁর মা ঘরে জিনিসপত্র পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় একটি সাপ তাঁর মায়ের ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। মায়ের চিৎকারে ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সাপটি ছোটাছুটি করছে। পরে একটি বস্তা দিয়ে সাপটি ধরে কাচের জারে ঢুকিয়ে মাকে নিয়ে হাসপাতালে যান তাঁরা। দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টি-ভেনম দেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাঁর মাকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনসাপ নিয়ে ভুল ধারণা বেশির ভাগ মানুষের০৬ জুলাই ২০২৪আজ বুধবার সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মুশফিকা খাতুন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীকে গোখরা সাপ কামড় দিয়েছিল। আনার পরপরই তাঁকে অ্যান্টি-ভেনম দেওয়া হয়েছে। পরে আইসিইউসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ভালো আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী