নিজের ঘরে কাজ করার সময় সুমিত্রা রানীকে (৫৫) একটি সাপ কামড় দেয়। তাঁর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বস্তা দিয়ে সাপটি ধরে কাচের জারে ঢুকিয়ে রাখেন। পরে সেই জার ও সুমিত্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাপোতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সুমিত্রা রানী দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাপোতা গ্রামের উপেন্দ্র নাথ রায়ের স্ত্রী।

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা সাপটি দেখে গোখরা বলে নিশ্চিত হন। পরে অ্যান্টি–ভেনম দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে ওই নারীকে পাঠিয়ে দেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আরও পড়ুনচার ধরনের সাপ বেশি কামড়ায়২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুমিত্রা রানীর ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরের পর তাঁর মা ঘরে জিনিসপত্র পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় একটি সাপ তাঁর মায়ের ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। মায়ের চিৎকারে ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সাপটি ছোটাছুটি করছে। পরে একটি বস্তা দিয়ে সাপটি ধরে কাচের জারে ঢুকিয়ে মাকে নিয়ে হাসপাতালে যান তাঁরা। দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টি-ভেনম দেওয়ার পর সন্ধ্যায় তাঁর মাকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনসাপ নিয়ে ভুল ধারণা বেশির ভাগ মানুষের০৬ জুলাই ২০২৪

আজ বুধবার সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মুশফিকা খাতুন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীকে গোখরা সাপ কামড় দিয়েছিল। আনার পরপরই তাঁকে অ্যান্টি-ভেনম দেওয়া হয়েছে। পরে আইসিইউসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ভালো আছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ