সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিরোধ: আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি
Published: 18th, September 2025 GMT
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে আদালত থেকে রায় না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার খবর নিয়েছি, আজ পর্যন্ত সীমানা নিয়ে ১৪টি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার সীমানা নিয়ে এ আবেদনগুলো করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারাধীন, তাই আমার মনে হয় এটি সাবজুডিস (বিচারাধীন)। আমরা আদালতের প্রতি আস্থাশীল, তাই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই হবে সঠিক পদক্ষেপ।’
সীমানা বিরোধ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ আরও বলেন, ‘যেকোনো ধরনের ভাঙচুর বা সহিংসতা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন, তাই আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত যে রায় দেবেন, তা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক হবে। সুতরাং সবারই উচিত আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রেখে অপেক্ষা করা।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় দেশের ৩৭টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা প্রভাব ফেলেছে মোট ৪৬টি আসনে। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটে আসনসংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে এবং গাজীপুরে আসনসংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই পরিবর্তনগুলো স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণ এবং বিভিন্ন অভিযোগ পর্যালোচনা করে করা হয়েছে। তবে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট চলমান, তাই কমিশন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ