ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী হাফিজ আহমদ ও তাঁর ভাই আহত জহুর মিয়া সোমবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আপসনামা দাখিল করেছেন। দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র দাখিলকৃত আপসনামা নথিতে রেখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিষয়টি অবহিত করার আদেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ ৯৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়। আদালতে মামলাটি করেন দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে হাফিজ আহমদ।

বাদী ও তাঁর ভাই আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে লিখিতভাবে জানান, আসামিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় তাদের আপসে মীমাংসা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করার জন্য আপসনামা দাখিল করা হলো। বাদীর আইনজীবী নানু মিয়া বলেন, আদালত আপসনামাটি নথিতে রেখে মামলার আইওকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য আদেশ দিয়েছেন।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটকে। অন্য আসামিরা হলেন– সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল প্রমুখ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল, গত ৪ আগস্ট বাদীর ভাই গুরুতর আহত জহুর আলী ও রিপন মিয়াসহ আহতদের শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্রোল বোমা ও ককটেল ফাটিয়ে বিনা উস্কানিতে আহত করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। হামলাকারী কেউ সশরীরে ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন।

মামলার পর একাধিক গণমাধ্যমকে বাদী বলেছেন, এই মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের অনেককেই তিনি চেনেন না। তিনি কেবল কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। এই মামলায় এম এ মান্নান, মুহিবুর রহমান মানিকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ১২০ জনের মতো নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখনও কারাগারে রয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ অনেক নেতাকর্মী।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাসের ধাক্কায় জকির আহমদ জেকি (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জকির আহমদ জেকি হোয়াইক্যং হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের লবণ মাঠে উল্টে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায় এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

সালাহউদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মোটরসাইকেলটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে, মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এ জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১