শিক্ষার্থীকে মারধর, ইবিতে দুই পরিবহনের বাস আটক
Published: 15th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে একটি পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার গড়াই ও রূপসা পরিবহনের অন্তত ৬টি বাস আটক করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে রাতে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে যশোরের উদ্দেশে গড়াই পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। একপর্যায়ে চালক গাড়ি দ্রুত চালালে আসিফ গতি কমাতে বলেন। তখন বিষয়টি নিয়ে চালক ও সহকারীদের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে বাসটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে আসিফকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চালক, সহকারী এবং কালীগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন মিলে মারধর করেন।
আসিফ ক্যাম্পাসে ফিরে বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের জানালে তারা বেলা সাড়ে ৩টায় প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বাস আটকাতে শুরু করেন। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই পরিবহনের ৫টি বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা। আসিফকে মারধরের বিষয়টিসহ শিক্ষার্থীদের বাসকেন্দ্রিক সব সমস্যার সমাধানের দাবি জানান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বাসের লোকজন সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। শিক্ষার্থীদের ভাড়ার হাফ পাস থাকলেও তারা ভাড়া কম নিতে চান না, উল্টো দুর্ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ল কজন ব স আটক ব ষয়ট ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।