বন্দরে মাদক মামলার ১ বছরের সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতকসহ বিভিন্ন অপরাধে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকার মৃত মধু মিয়ার ছেলে বন্দর থানার রুজুকৃত মাদক মামলার ১ বছরের সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শাহীন মিয়া (৩৫) একই থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত আব্দুল আলী মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি লিটন (৪৫)।

বুরুন্দী এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি জামান (৪৭) সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার মৃত  মনির হোসেন মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি রোহান (৩২) ও শুভকরদী এলাকার  লাল মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি শাহাদাত হোসেন (৩৬)। 

এ ছাড়াও দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে সন্দেহ জনক আসামি আহাম্মেদ হাসান(২৬) ও একই এলাকার মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে সন্দেহ ভাজন আসামি রিপন (২৭)। 

গ্রেপ্তারকৃত ৮ আসামি মধ্যে ধৃত শাহিনকে সাঁজা ওয়ারেন্টে ও অপর ধৃত ৪ জনকে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে ও সন্দেহভাজন ২ জনকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর)  রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকার ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপর ধ এল ক র ম ত

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে পোস্ট অফিস থেকে জাল টাকা সরবরাহ, গ্রেপ্তার ২

শেরপুর জেলা পোস্ট অফিস থেকে একাধিক গ্রাহককে জাল টাকা সরবরাহের অভিযোগে দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) তাদের দুইজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপরজনের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘জাল টাকার খবরের’ পর সতর্ক থাকতে চার পরামর্শ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নতুন টাকা বিনিময় শুরু, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

গ্রেপ্তার আসামি হলেন, শেরপুর পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও পোস্ট অফিসের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। এর মধ্যে মানিককে গত ১৬ অক্টোবর ও হাফিজুর রহমানকে ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর বৃদ্ধা শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুণে নেওয়ার সময় দেখতে পায় ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি ১ হাজার টাকার নোট জাল।

অপরদিকে, গত ৯ অক্টোবর দুপুরের পর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা নেওয়ার সময় ২৫টি ১ হাজার টাকার নোট জাল পান।

ভুক্তভোগী দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করেছিলেন। তারপর থেকে বিষয়টি প্রশাসন, পোস্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ নজরে আসে। এর ব্যাপারে সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ তদন্ত করছে।

শেরপুর কোর্ট পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, “আসামি মানিক মিয়া এবং হাফিজুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হাফিজুর রহমান ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে এবং মানিক মিয়াকে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি হবে।”

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবাইদুল আলম বলেন, “ঘটনাটি জানার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ