ঝিনাইদহে আ.লীগ নেতাসহ ২ জনের মরদেহ উত্তোলন
Published: 16th, January 2025 GMT
ঝিনাইদহের পোড়াহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার মিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও ভুপতিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ দাফনের ৫ মাস ১০ দিন পর উত্তোলন করা হয়।
নিহতের স্বজন ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শহিদুল ইসলাম হিরণের শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার বাসা ঘেরাও করে। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে হীরন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও তার গাড়িচালক আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ ও ২০ নভেম্বর আদালতে অজ্ঞাত ২শ থেকে ৩শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার গ্রহণের জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা.
নিহত চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আকতার মিয়ার ভাই মুক্তার মিয়া জানান, গত ১৭ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২শ থেকে ৩শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমার ভাই কোনো রাজনীতি করতো না। তার হত্যার বিচার আমরা চাই।
নিহত চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও মামলার বাদী জিয়াউল আলম বিলু জানান, ঝিনাইদহ সদর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজ্ঞাত ২শ থেকে ৩শ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার সঠিক তদন্ত দাবি জানাচ্ছি।
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ দুইটি উত্তোলন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল হবে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মাদক মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
খুলনায় দুই মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দৌলতপুর থানার বণিকপাড়া খানাবাড়ির বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম সুমন এবং খানজাহান আলী থানার মীরেরডাঙ্গা রং মিল সংলগ্ন সাগর ভিলার বাসিন্দা শেখ আশরাফুল ইসলামের ছেলে জুয়েল মাহমুদ সাগর। তারা দুজনই পলাতক রয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী জানান, ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই রাতে গোয়ালখালী কবরস্থানের সামনে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাদের আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই খালিশপুর থানার এস আই মতিউর রহমান বাদী হয়ে ওই দুই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. আনোয়ার হোসেন তাদের দুইজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ১০ বছর আদালতে বিচার শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করা হলো।