বঙ্গবন্ধু সড়কের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনের নীচতলার বারান্দার অবৈধ বর্ধিত অংশটি অপসারণ করে ফুটপাতটি ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারী চলাচলে উন্মুক্ত করা এবং নারায়ণগঞ্জের সার্বিক যানজট নিরসণের দাবীতে “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী” সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় চুনকা পাঠাগার চত্বরে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু’র সঞ্চালনায় এই মানবন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। 


সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহমেদ বলেন, নাসিকের নির্মীয়মান প্রশস্থ ও গভীর নতুন ড্রেনটি ডিআইটি মার্কেট থেকে উত্তর দিকে চুনকা পাঠাগারে বাঁকা পথে এসে পাঠাগারের বারান্দার নীচে বিদ্যমান সরু ড্রেনের সহিত মিলিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে প্রধান সড়কে জলজটের সৃষ্টি হবে। এমতাবস্থায় চুনকা পাঠাগারের নীচ তলার ফুটপাথের উপরে নির্মিত বারান্দার অবৈধ অংশটি অপসারণ করে নতুন ড্রেনটি প্রশস্থ, গভীর ও সমান্তরাল নির্মাণ করে পথচারী ও ছাত্র ছাত্রী চলাচলে ফুটপাতটি উন্মুক্ত করার জোর দাবী জানান। পাশাপাশি চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও জেলা পরিষদের ডাক বাংলো অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে “চাষাড়া-পঞ্চবট্টি” সড়কটি প্রশস্থ করার দাবী জানান তিনি।


প্রধান বক্তা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.

এ বি সিদ্দিক বলেন,  চুনকা পাঠাগারের সম্মুখে ফুটপাথের উপর নির্মিত পাঠাগারের বর্ধিত অংশটি অপসারণের জন্য নির্মাণকালীন সময় থেকেই সাবেক মেয়র মহোদয়ের নিকট পুনঃ পুনঃ সাক্ষাৎ করে ফুটপাতটি উন্মুক্ত করার দাবী জানালে সাবেক মেয়র মহোদয় নীতিগত ভাবে সম্মত হয়ে অপসারণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। 


তিনি বিষয়টি উল্লেখ পূর্বক নাসিক প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন। নাসিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী”র এই কর্মসূচীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন ও নাসিক প্রশাসককে দ্রুততার সহিত ফুটপাতটি উন্মুক্ত করার জোর দাবী জানান।


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন মন্টু তার বক্তব্যে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু সড়ক, মীর জুমলা সড়ক, শায়েস্তা খাঁন সড়ক, সিরাজউদৌল্লা সড়ক থেকে প্রকৃত হকারদের যৌক্তিক পুনঃবার্সন সহ হকার মুক্ত করার জোর দাবী জানান। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, পাঠাগারের সম্মুখে ফুটপাথের উপর নির্মিত অবৈধ অংশটি অবিলম্বে উন্মুক্ত করা না হলে জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।


মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি আঃ কুদ্দুস আজাদ, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বদরুল হক, সহ-সভাপতি হাজী রমজান উল রশিদ, সহ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর হোসেন মোল্লা, শফিকুল ইসলাম খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।


মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী দেওয়ান, নূর আলম কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ রাজি উদ্দিন, এফ এম ইস্রালিফ, মোঃ মিলন চৌধুরী, এ কে আজাদ, আঃ হালিম বেপারী, মোঃ হারুনুর রশিদ, হাজী মোঃ সিদ্দিক মিয়া, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ বদর উদ্দিন, টিটুল আহমদ, মোঃ ইয়াকুব আলী, মোঃ খলিল, মোঃ মিনার হোসেন, মোঃ ফারুক, মোঃ হাসনাত রিজন, মোঃ হীরা, আলভি হাসান, মোঃ জুয়েল, মোঃ স্বপন, মোঃ ফেরদৌস, ওয়াসিক আল আজাদ অপূর্ব, মো খলিল প্রমুখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট 

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় আগামী ১ আগষ্ট। দীর্ঘ ২৪ বছর পরে অবশেষে আলোচিত এই মামলাটির বিচার কাজ শেষ হতে যাচ্ছে।

২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ২০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। সেদিন নিহত হয়েছিল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাসসহ ২০ জন।

নৃশংস এ বোমা হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এক যুগ পরে ২০১৩ সালে ৬জনকে অভিযুক্ত ও ৩১জনকে অব্যাহতি প্রদান করে চার্জশীটটি দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।

অভিযুক্ত ৬জন হলেন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান (ইতোমধ্যে অপর এক মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর), জঙ্গী নেতা ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লী কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।

দু’টি মামলায় ১৩৮ জনকে সাক্ষী করা হলেও গত ১২ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণের কাজও চলেছে অনেক ঢিমেতালে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার করা নিয়ে সদিচ্ছার অভাব ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতিতে হওয়ায় নিহত ও আহতদের স্বজনরাও ছিলেন চরম হতাশ।

মামলাটির বিচার কার্যক্রম প্রসঙ্গে আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, বিগত সরকারের আমলে মামলাটির বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল।

আলোচিত এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। আশা করছি আগামী ১ আগস্ট মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন আদালত। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় জুস ফ্যাক্টরিতে যৌথবাহিনীর অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
  • জাতীয় যুবশক্তি'র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট 
  • মামলা থেকে বৈষম্যবিরোধী নেতাকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ, ওসির অপসারণ চেয়ে ঝাড়ুমিছিল
  • বোচাগঞ্জ থানার ওসির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন 
  • গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক ও মাতৃত্বকালীন ছুটি শ্রম আইনে রাখতে হবে
  • মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
  • রূপগঞ্জে মামুন হত্যা : মাহবুবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মানববন্ধন
  • সাইক্লিস্ট হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন