জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনি-স্মার্ট প্রেজেন্টস স্মার্ট ‘বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪’।  গত শনিবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জহির স্মার্ট টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষ মুখর ছিল ২৫ জন প্রতিযোগির প্রাণবন্ত পরিবেশনায়। বাংলাদেশে জাপানের সনি’র অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (সনি-স্মার্ট) দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করে স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪। 

প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৭০০ প্রতিযোগী অংশ নেন। তাঁদের মধ্য থেকে বিভিন্ন রাউন্ডে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৫ জন শিল্পী গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রাজধানী উত্তরার শাহীন আলম। তাঁকে দেয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার। আর ফার্স্ট রানার-আপ আহাদুর রহমান রাহাদকে ৩০ হাজার টাকা এবং সেকেন্ড রানারআপ শ্যামল দেবনাথকে নগদ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। 

এছাড়াও এই তিন বিজেতাকে সনি-স্মার্টের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী হিসেবে দেয়া হয় আলটিমেট ব্যাজ এন্ড নয়েস কেনসেলিং সমৃদ্ধ সনি'র লেটেস্ট আল্ট অয়্যার ডঐ-টখঞ৯০০০ঘ, সনি'র ব্লুটুথ নয়েস কেনসেলিং ডুয়াল এয়ারবাড ডঋ-১০০০ঢগ৩ এবং সনি'র ওয়াটারপ্রুফ পোর্টেবল ব্লুটুথ ঝজঝ-ঢই১২। তাঁরাসহ মোট ১০ প্রতিযোগিকে আরও দেয়া হয় স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক সিস্টেম। অনুষ্ঠানের বিচারকমন্ডলী ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং গিফট ভাউচার প্রদান করা হয়।
         
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ছিলেন গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কিশোর দাশ, সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক সাজিয়া সুলতানা পুতুল এবং সংগীতশিল্পী ইসফাতরা রনি। উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪ এর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর- এ প্রজন্মের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী লিলিন মুন, স্মার্ট টেকনোলোজিস্ (বিডি) লি.

এর মহাব্যবস্থাপক সারোয়ার জাহান চৌধুরী, হেড অফ মার্কেটিং উপ-মহাব্যবস্থাপক আজাদ রহমানসহ প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা শ্রাবণ্য তৌহিদা, যাঁর আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন। ভিডিও বার্তায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর, সংগীতশিল্পী সালমা আক্তার ও সংগীতশিল্পী রাশেদ উদ্দিন। 

আয়োজক সনি-স্মার্ট এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিযোগিতাটি ছিল প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য এমন একটি মঞ্চ, যেখানে তাঁরা নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন। স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪-এর এই পথচলা সঙ্গীতের নতুন সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি: মাইগ্রেশন, বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ
  • হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি, অপেক্ষমাণ থেকে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে