বর্ণিল আয়োজনে শেষ হলো স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট
Published: 21st, January 2025 GMT
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনি-স্মার্ট প্রেজেন্টস স্মার্ট ‘বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪’। গত শনিবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জহির স্মার্ট টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষ মুখর ছিল ২৫ জন প্রতিযোগির প্রাণবন্ত পরিবেশনায়। বাংলাদেশে জাপানের সনি’র অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (সনি-স্মার্ট) দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করে স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪।
প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৭০০ প্রতিযোগী অংশ নেন। তাঁদের মধ্য থেকে বিভিন্ন রাউন্ডে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৫ জন শিল্পী গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রাজধানী উত্তরার শাহীন আলম। তাঁকে দেয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার। আর ফার্স্ট রানার-আপ আহাদুর রহমান রাহাদকে ৩০ হাজার টাকা এবং সেকেন্ড রানারআপ শ্যামল দেবনাথকে নগদ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।
এছাড়াও এই তিন বিজেতাকে সনি-স্মার্টের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী হিসেবে দেয়া হয় আলটিমেট ব্যাজ এন্ড নয়েস কেনসেলিং সমৃদ্ধ সনি'র লেটেস্ট আল্ট অয়্যার ডঐ-টখঞ৯০০০ঘ, সনি'র ব্লুটুথ নয়েস কেনসেলিং ডুয়াল এয়ারবাড ডঋ-১০০০ঢগ৩ এবং সনি'র ওয়াটারপ্রুফ পোর্টেবল ব্লুটুথ ঝজঝ-ঢই১২। তাঁরাসহ মোট ১০ প্রতিযোগিকে আরও দেয়া হয় স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক সিস্টেম। অনুষ্ঠানের বিচারকমন্ডলী ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং গিফট ভাউচার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ছিলেন গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কিশোর দাশ, সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক সাজিয়া সুলতানা পুতুল এবং সংগীতশিল্পী ইসফাতরা রনি। উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪ এর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর- এ প্রজন্মের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী লিলিন মুন, স্মার্ট টেকনোলোজিস্ (বিডি) লি.
আয়োজক সনি-স্মার্ট এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিযোগিতাটি ছিল প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য এমন একটি মঞ্চ, যেখানে তাঁরা নিজেদের মেধা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন। স্মার্ট বাংলা কারাওকে মিউজিক কনটেস্ট ২০২৪-এর এই পথচলা সঙ্গীতের নতুন সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।