মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মদিন আজ
Published: 24th, January 2025 GMT
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মদিন আজ। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে তার জন্ম। কবির মৃত্যু কলকাতায় ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন।
বাংলা সাহিত্যে মাইকেল তার বিশাল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাকে বলা হয় বাংলার যুগপ্রবর্তক কবি। তিনি আমাদের বাংলা কাব্যের অনুপ্রেরণা। কাব্য প্রতিভায় তিনি তার নিজের ভাষার চেয়ে আরো কঠিন এক স্তরে চলে গিয়ে সাধনা করেছিলেন। ইংরেজির প্রতি অতি মাত্রায় আকর্ষণ তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ইংরেজি সাহিত্যের দ্বারপ্রান্তে। তার লেখা ও ইংরেজিতে কথা বলার প্রয়াস দেখে বিস্মিত ইংরেজ জাতি তাকে বলেছিল, ‘নিজের ভাষা নিয়ে লিখলে তুমি আরো সফলতা পেতে।’
মহাকবির জন্ম উৎসব উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তার স্বদেশ প্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশগড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
ড.
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আধুনিকতার যে ধারা মহাকবি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তন করেন, তা পরবর্তী কবি ও সাহিত্যিকদের পথনির্দেশনা হিসেবে কাজ করেছে অমিয় তেজ ও ঐশ্বর্যে। দীর্ঘ প্রবাস জীবন সত্ত্বেও মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ তার সৃষ্টিকর্মে সহস্রধারায় প্রকাশ পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার আলোকবর্তিকা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্ম উৎসব উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও জেলা প্রশাসন, যশোরের আয়োজনে কবির পুণ্য জন্মস্থান যশোর জেলার সাগরদাঁড়িতে ৭ দিনব্যাপী ‘মধুসূদন জন্ম উৎসব’ ও ‘মধুমেলা ২০২৫’ আয়োজনে গৃহীত উদ্যোগকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।”
উল্লেখ্য, মহাকবির জন্ম উৎসব উপলক্ষে কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী মধুমেলাসহ নানা অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঢাকা/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সিডনির ঐতিহাসিক টাউন হল যেন পরিণত হলো এক রঙিন উৎসবের মঞ্চে। ঝকঝকে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে আসা অতিথিদের পদচারণে মনে হচ্ছিল এ যেন কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অথচ এটি ছিল ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠান, যেখানে এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছিল।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দরজা খোলার আগেই টাউন হলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নানা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের হাতে নিজ নিজ দেশের পতাকা, পরনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। অস্ট্রেলিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, ইরানসহ ১১টি দেশের ফুটবল দলের প্রতিনিধি, অধিনায়ক বা কোচের কেউ না কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের এই মিলনমেলায় সবাই নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করতে এসেছেন। কিন্তু এই আলো ঝলমলে মঞ্চে ছিলেন না বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোনো প্রতিনিধি।
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব ফুটবলের এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন হলো, অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটা মেনে নেওয়া যায় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখানে এসেছিলাম আমাদের মেয়েদের দেখতে, নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে দেওয়া তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলাম।সাঈদ ফয়েজ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী ও ইভেন্ট সংগঠকঅথচ এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার বছর। এই প্রথম বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু সেই গৌরবময় মুহূর্তে, যখন বিশ্ব ফুটবল পরিবার সিডনিতে একত্র, তখন মঞ্চে অনুপস্থিত বাংলাদেশ। না কোনো ফুটবলার, না কোচ, না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা। এই অনুপস্থিতি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং বেদনাদায়ক, কারণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়সহ অন্যান্য দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের দেশকে তুলে ধরেছেন, আর স্মৃতির ক্যামেরায় ধরে রাখছেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের জায়গাটিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা।
ভারত নারী দলের মিডফিল্ডার সংগীতা বাসফোর ড্র–তে বাংলাদেশের নাম তোলেন