অতীতের মতো কাউকে চাঁদা দিতে হবে না: আমান
Published: 24th, January 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, “অতীতের মতো কেরানীগঞ্জে আর কাউকে চাঁদা দিতে হবে না। কেরানীগঞ্জে কোনো চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারীর ঠাঁই হবে না।”
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারগুলো টেকসই করতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন। সংসদে বসেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে।”
আরো পড়ুন:
গণতন্ত্রে উত্তরণের সহজ পথ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা: দুদু
নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করবে না: আমান
তিনি আরো বলেন, “মূল ইস্যু বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যান্য ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু নিয়ে কাজ করতে চাইলে, কোনোটাই সফল হবে না। তাই কালক্ষেপণ না করে জনগণের মৌলিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়ালীউল্লাহ সেলিম, ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান রিপন।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ জনগণ র ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদকে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
সে ঘটনা মামলা করা হলো এখনো বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীদের আগামী ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপি।
শনিবার ( ১ নভেম্বর) সকালে মদনপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন তাওলাদ মাহমুদের উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের গ্রেপ্তারের এই দাবি জানান।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল কিন্তু তার দোসরা এখনো রয়ে গেছে। মুছাপুর ইউনিয়ন তথা বন্দর উপজেলার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৭টি বছর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল।
এখনো আওয়ামী লীগের দোষরদের দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীরা নির্যাতিত হবে এটা খুবই দুঃখজনক। ৫ তারিখের পরও কিন্তু তারা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু কতিপয় কিছু নেতা ও প্রশাসনের কারণে তারা এখনো আবারো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা আবারও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, তাওলাদ মাহমুদ উপর হামলার ঘটনায় মামলাআওয়ামী লীগে ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিচ্ছে না।
ফলে প্রতিনিয়ত তারা হামলা মামলা নির্যাতন সহকারে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছ । মুছাপুরের জনগণ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে বিএনপি নেতা তাওলাত মাহমুদের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় বেঁধে দিলাম আমরা উপজেলা বিএনপি।
যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মাধ্যমে তাওলাদ মাহমুদের উপর হামলাকারী মূল হোতাদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। তার জন্য কিন্তু সকল দায়ভার পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে।