যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক্-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়; দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা। 

তিনি বলেন, এর আগে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে আওয়ামী লীগ। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস করে। ওই সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশ ও জাতির স্বার্থে পতিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া নানাবিধ জঞ্জাল মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র হত্যা দিবসে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ গণতন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন ১২–দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো এনেছে।

আজ শুক্রবার লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে ওই বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ১২–দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

আজকের এ বৈঠক যেন শুধু কথার কথায় না থাকে, সেই প্রত্যাশা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের।’

১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন এবং নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান
  • দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু
  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক