Risingbd:
2025-06-16@14:39:44 GMT

চাকরিজীবী নারীর ত্বকের যত্ন

Published: 30th, January 2025 GMT

চাকরিজীবী নারীর ত্বকের যত্ন

একজন চাকরিজীবী নারীর অফিস সময় সাধারণত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা হয়ে থাকে। অফিসে যাওয়ার আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়, ঘরের কাজ গুছিয়ে তারপর বের হতে হয়। অফিসে যাওয়া-আসা, নিজেকে প্রস্তুত করা আর ফিরে আসা সবমিলিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় চলে যায়। এরপর মন ও ত্বকের সতেজতা ফিরে পাওয়ার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করা উচিত। 

প্রথম কথা হচ্ছে, ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী নির্বাচন করা জরুরি। যাদের ত্বক তৈলাক্ত এবং শুষ্ক তাদের ত্বক মারাত্মক স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। তবে শুষ্ক ত্বক সেবাম উৎপাদনে কোনো প্রভাব ফেলে না। তখন শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধী ক্ষমতা দিয়ে ত্বকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে এক দিকে যেমন ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বাড়ে, আবার কোথাও কোথাও ত্বক খসখসে হয়ে যায়। এসব সমস্যা প্রতিরোধে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। খুব ভাল হয় যদি হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। 
‘আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, তৈলাক্ত ত্বকে ক্রিম বা ময়েশ্চারাজার না মাখার প্রবণতা থাকে অনেকের। এই অভ্যাসের প্রভাবে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার জন্য দিনে অন্তত দুইবার মুকের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তবে ময়েশ্চারাইজারে সেরামাইড, নিয়াসিনামাইডের মতো উপাদান থাকা প্রয়োজন। এতে ত্বকের ময়েশ্চার লক করা যায় এবং আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়। পাশাপাশি ত্বকের স্পর্শকাতরতা এবং প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পুষ্টিকর নাস্তা  গ্রহণ করুন: সারাদিনের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সকালে পুষ্টিকর নাস্তা গ্রহণ জরুরি। নাস্তায় কাঠবাদাম, মধু, কলা ও ডিম রাখতে পারেন। এসব খাবার আপনাকে সতেজ রাখবে ত্বকের তারুণ্যও ধরে রাখবে। এ ছাড়া সকালে ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আরো পড়ুন:

যেভাবে আদা খেলে ব্রণ দূর হয়

লাল টুকটুকে অপুর নজরকাড়া কয়েকটি লুক

পর্যাপ্ত পানি পান করুন:  শরীরে পানির অভাব পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস এবং তরল পানীয় পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। চা, কফি পান কমিয়ে দিতে পারেন।

অফিসের ব্যগে ছোট ফেসওয়াশ ও ময়েশ্চারাইজার রাখতে পারেন। দুপুরের খাবারের বিরতিতে ২-৩ মিনিটে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর দ্রুত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ফেলুন।

অফিস থেকে ফিরে: বাসায় ফিরে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

ঘুমানোর আগে: ত্বকের সতেজতা বজায় রাখার জন্য ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমাতে যান।

প্রতি সপ্তাহে ত্বকের যত্ন: প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে ভালো ব্র্যান্ডের একটি ডিপ ক্লিনজার দিয়ে ত্বক ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর ক্লিনজার মুছে, নতুনভাবে আবার ক্লিনজার বা ম্যাসাজ ক্রিম হাতে নিয়ে এর সঙ্গে খানিকটা স্ক্র্যাব মিশিয়ে ২-৩ মিনিটের মতো আস্তে আস্তে স্ক্র্যাবিং করুন। এতে সারা সপ্তাহের ধুলা-ময়লা দূর হয়ে যাবে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের বি‌ক্ষোভ, চল‌বে মঙ্গলবারও 
  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা