মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় আগামী মাসগুলোতে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতিতে কিয়েভ যদি সম্মত হয়, তাহলে ইউক্রেনে নির্বাচন হোক। এই নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়াটাই কাম্য। ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন।

কিথ কেলগ জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের সময় স্থগিত ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচন ‘করতে হবে।’

তিনি বলেছেন, “বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক দেশে যুদ্ধের সময় নির্বাচন হয়। আমি মনে করি তাদের এটি করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল। এটাই দৃঢ় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, যেখানে একাধিক ব্যক্তির সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।”

ট্রাম্প এবং কেলগ উভয়ই জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানে তারা একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ব্যাপারে এখনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কেলগ এবং হোয়াইট হাউসের অন্যান্য কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ার সাথে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে ইউক্রেনকে নির্বাচনে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনার সাথে পরিচিত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ট্রাম্প কর্মকর্তারা স্থায়ী চুক্তির মধ্যস্থতার চেষ্টা করার আগে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়া উচিত কিনা তা নিয়েও বিতর্ক করছেন। যদি ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট মস্কোর সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আলোচনার জন্য দায়বদ্ধ হতে পারেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি