Risingbd:
2025-05-01@05:12:54 GMT

বিএসএফের হাতে আটক ৪ বাংলাদেশি

Published: 3rd, February 2025 GMT

বিএসএফের হাতে আটক ৪ বাংলাদেশি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৪ বাংলাদেশিকে বিএসএফ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর পৌনে ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মহবুল আলমের ছেলে মুকুল, মোশাররফ হোসেনের ছেলে আলিস, ইসহাক আলীর ছেলে দুরুল হুদা ও মতিউর রহমান ওরফে মতি মিয়ার ছেলে বাবু।

আটক মুকুলের শ্বশুর আনারুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভোররাতে মেয়ের জামাইসহ ৪ জন ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে।’’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বিএসএফের হাতে ৪ বাংলাদেশি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.

মতিউর রহমান বলেন, ‘‘আমার ইউনিয়নের ৪ বাসিন্দাকে বিএসএফ আটক করেছে। এ ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’’

এ বিষয়ে জানতে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা/শিয়াম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা