সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিদ্যুৎ খাতে অর্থ সংকট থাকার পরও দাম আপাতত বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, আগামী রমজানে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলায় গ্যাস এবং জ্বালানি আমদানিতে যে অর্থসংস্থানের প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করবে।

উপদেষ্টা বলেন, অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের ওপর অনেক চাপ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়াইনি। ব্যয় সংকোচন করে সমন্বয় করছি। তবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রস্তাবনা তাতে বর্তমান গ্রাহকদের কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, গ্যাস আমদানিতে খরচ পড়ে ৭২ টাকা, আমরা বিক্রি করি ৩০ টাকায়। এ ঘাটতি সমন্বয়ের জন্য নতুন করে যারা গ্যাস সংযোগ নেবেন তাদের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, আসন্ন গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলায় গ্যাস এবং জ্বালানি আমদানিতে যে অর্থসংস্থানের প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক আমাদের সহযোগিতা করবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে ৯০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়, রমজানে ১২০০ এমএমসিএফডি লাগবে। সেই লক্ষ্যে আমরা গ্যাসের সরবরাহ বাড়াবো। সরবরাহ জোগাতে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট এবং গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুম আমরা লোডশেডিং মুক্ত রাখতে চেষ্টা করবো। লোডশেডিং মুক্ত মানে এই নয় যে, কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে না। নানান কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। আমরা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে একটি ভারসাম্য রাখবো। যাতে টেকনিক্যাল কোনো কারণ ছাড়া লোডশেডিং না হয়।

ফাওজুল কবির খান বলেন, গ্রীষ্মে দুই কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। একটা সেচ এবং আরেকটি কুলিং। সেচে আমরা বিদ্যুতের সরবরাহ কমাতে চাই না, কারণ সেচ বাধাগ্রস্ত হলে খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখবো। গ্রীষ্মে বিদ্যুতের যে ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার কথা বলেছি তার মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট শুধু কুলিংয়ের জন্য লাগছে। যাকে বলা হয় কুলিং লোড। এয়ারকুলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার না করে যদি ২৪ বা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার করি সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, অবৈধ গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আমরা অবৈধ সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট সরবর হ আমদ ন রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম

ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।

সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।

পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপেয় পানির সংকট, কাজে আসছে না কোটি টাকার প্রকল্প
  • নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
  • সুপারম্যানের কাছে আছে পৃথিবীর শক্তি সংকটের সমাধান
  • ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
  • ইরান–ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা রূপ নিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে
  • ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
  • কমেছে সবজির দাম
  • বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম