সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল
Published: 5th, February 2025 GMT
আওয়ামী সরকারের সকল গুম, খুন, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোনারগাঁয়ে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সোনারগাঁ উপজেলা শাখা।
বুধবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা আল মদিনা শপিং কমপ্লেক্স থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়ে মিছিলটি ১কিলোমিটার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মশাল মিছিলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ন সদস্য সচিব মুখলেসুর রহমান স্বজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন, যুগ্ম আহবায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলে অনিক খান সিয়াম, ফারজানা আক্তার, হাবিবুর রহমান জিহাদ, শাফিন আহম্মেদ, মো ইরফান সাদিক, আবু সুফিয়ান, সিফাত, জাহিদুল ইসলাম সহ জেলার নেতৃবৃন্দ
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সকল গুম, খুন, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতরা এখনো উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।
সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।
এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।