বড়লোকের স্বপ্ন বলে কথা! যে স্বপ্নই দেখেন, তা বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। সবার সব স্বপ্ন সত্যি হয় না, শতভাগ সাফল্যও আসে না।

তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ভারতের আম্বানি পরিবার একদম ব্যতিক্রম। এশিয়া মহাদেশের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির মন চেয়েছিল আইপিএলে দল কিনবেন। তাঁর চাওয়া অনুযায়ী ২০০৮ সালে আলোর মুখ দেখে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

কিন্তু বাণিজ্যিক কাজে নিজেকে খুব ব্যস্ত থাকতে হয় বলে মুকেশ আম্বানি ক্রিকেটে খুব বেশি সময় দিতে পারেন না। এ কারণে তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের এই দিকটা দেখেন স্ত্রী নিতা আম্বানি ও দুই ছেলে আকাশ আম্বানি ও অন্তত আম্বানি।

মা ও দুই ছেলে মিলে নিজেদের রিলায়েন্স গ্রুপের মালিকানাধীন ইন্ডিয়াউইন স্পোর্টস লিমিটেডকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। আইপিএলের পর টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছেন ডব্লুপিএল (মেয়েদের আইপিএল নামে পরিচিতি), ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি২০ (আইএলটি২০), এসএ২০ ও মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি)।

আর এ সব লিগে শুধু অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই খেলেনি আম্বানি পরিবারের দল, সম্ভাব্য সব প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতে বৃত্তপূরণও করে ফেলেছে। সর্বশেষ গতকাল রাতে এসএ২০-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আম্বানি পরিবারের মালিকানাধীন এমআই কেপটাউন। জোহানেসবার্গের ফাইনালে প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপকে কাল ৭৬ রানে হারিয়েছে কেপটাউন।

অথচ আম্বানি পরিবারকে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেতে ৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ২০০৮ সালে আইপিএল দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস প্রথম ট্রফি জিতেছিল ২০১১ সালে, সেটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি। ২০১৩ সালে জেতে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। ওই বছরই আইপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি।

এরপর ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালেও আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচটি করে ট্রফি জিতে তারাও আইপিএল ইতিহাসের সফলতম দল।

গত চার বছর ধরে আইপিএলে আম্বানি পরিবারের শিরোপা খরা চললেও অন্য টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে তাঁদের দল সেই অভাব পূরণ করে দিয়েছে।

২০২৩ সালে ডব্লুপিএলের উদ্বোধনী আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস নারী দল। একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের এমএলসির প্রথম আসরেরও শিরোপা জেতে আম্বানিদের মালিকানাধীন এমআই নিউইয়র্ক।

২০২৪ সালে সংযুক্ত আমিরাতের আইএলটি২০-তে এমআই এমিরেটস নামের দলটিও চ্যাম্পিয়ন হয়। আর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০-তে চ্যাম্পিয়ন হলো এমআই কেপটাউন। এ যেন আম্বানি পরিবারের যেখানেই হাত, সেখানেই সোনা ফলানো!

কাল এমআই কেপটাউনের হয়ে শিরোপা জিতে ট্রেন্ট বোল্ট তো অনন্য কীর্তিই গড়ে ফেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের এই তারকা পেসার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই ফ্র্যাঞ্চাইজির চারটি ভিন্ন দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এমআই কেপটাউনের আগে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, এমএলসিতে এমআই নিউইয়র্ক ও আইএলটি২০-তে এমআই এমিরেটসের জার্সিতে ট্রফির দেখা পেয়েছিলেন।

সম্প্রতি ক্রিকেটে নিজেদের পরিসর আরও বাড়িয়েছে আম্বানি পরিবার। ৬ কোটি পাউন্ডে (৯১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা) ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেডের ফ্র্যাঞ্চাইজি ওভাল ইনভিনসিবলসের ৪৯% শতাংশ মালিকানা কিনেছে তারা। এ বছর দ্য হানড্রেড হবে আগস্টে। আম্বানি পরিবারের চোখ নিশ্চয় সেই ট্রফির ওপরও থাকবে!

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ পর ব র র আম ব ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ কার্গো এলএনজি

দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৩০৫ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা আগস্টের ৩০-৩১ তারিখে (৩৭তম কার্গো) সরবরাহ করা হবে।

পেট্রোবাংলা থেকে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমসিপিএ) স্বাক্ষরকারী ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়, যেখান থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। সব প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯৭ মার্কিন ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করতে মোট ব্যয় হবে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৮ টাকা।

তবে একইভাবে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে সেপ্টেম্বরের ২১-২২ তারিখে (৩৯তম কার্গো) দ্বিতীয় কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

এবার পেট্রোবাংলার আহ্বানে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে সাউথ কোরিয়ার মেসার্স পোসকো ইন্টারন্যশনাল করপোরেশন। এখানে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯৫ মার্কিন ডলারে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাস্ট ওয়েট করুন, কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল
  •  সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল জয় করলেন নাজমুল হক 
  • ৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হবে ২ কার্গো এলএনজি