এসএ২০ লিগে চ্যাম্পিয়ন এমআই কেপটাউন
Published: 9th, February 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০-তে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমআই কেপটাউন। শনিবার জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ফাইনালে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপকে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে দলটি।
রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন এমআই কেপটাউন প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে কনর এস্টারহুইজেন ২৬ বলে ৩৯, ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ১৮ বলে ৩৮, রায়ান রিকেল্টন ১৫ বলে ৩৩, রসি ফন ডার ডুসেন ২৫ বলে ২৩ এবং জর্জ লিন্ডে ১৪ বলে ২০ রান করেন। সানরাইজার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন, রিচার্ড গ্লিসন ও লিয়াম ডাওসন।
১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্সের ইনিংস শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। জন অ্যাবেল সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩০ রান করেন, টনি ডি জর্জি ২৩ বলে ২৬ এবং ক্রিস্টান স্টাবস ১৫ বলে ১৫ রান করেন। তবে বাকিরা দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন। ফলে ১৮.
এ জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো এসএ২০ শিরোপা জিতল এমআই কেপটাউন। একই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেলেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। ২০১৭ সালে নিজ দেশের শাগিজা ক্রিকেট লিগ জিতেছিলেন তিনি অধিনায়ক হিসেবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন এবারই প্রথম। এছাড়া এই আসরেই ডোয়াইন ব্রাভোকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টির সফলতম বোলার হয়ে গেছেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বহুবার তোলপাড় করা বাবর আজম এবার অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পা রাখতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর অবশেষে এই পাকিস্তানি তারকাকে নিজেদের স্কোয়াডে টেনে নিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। নতুন মৌসুমে (২০২৫) তাকে দেখা যাবে গোলাপি জার্সিতে।
এটাই বাবরের প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তার এই চুক্তিটি হয়েছে প্রি-সাইনিং অপশনের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ড্রাফট শুরুর আগেই একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে। ১৯ জুন শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ড্রাফটের আগেই সিক্সার্স বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ একজন টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাওয়ার অর্থই হলো দলে গভীরতা ও ভারসাম্য বাড়ানো। এই তারকার সঙ্গে একই দলে থাকছেন স্টিভ স্মিথ, শন অ্যাবটের মতো অভিজ্ঞ অজি খেলোয়াড়রা, যা দলের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
গত মৌসুমে একমাত্র সিডনি সিক্সার্সই ছিল এমন দল, যারা কোনো বিদেশি তারকাকে আগেভাগে দলে নেয়নি। এবার তারা সেই ঘাটতি পূরণ করল বাবরের মতো একজন ক্রিকেট সেনসেশনকে নিয়ে।
তবে বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা এখন অনিশ্চিত, ব্যাটেও অনুজ্জ্বল সময় কাটছে। তবু, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এই চ্যালেঞ্জ বাবরের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
চুক্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবর জানান, “এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ এবং সিডনি সিক্সার্স একটি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই দলের জয়ে অবদান রাখতে, ভক্তদের ভালোবাসা কুড়াতে এবং এই অভিজ্ঞতা আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে।”
অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের প্রথম আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এটাই সেই ‘নতুন শুরু’, যেটা বাবরের ক্যারিয়ার আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
ঢাকা/আমিনুল