জেলজীবনের স্মৃতি মনে করে ভাইপোকে যে পরামর্শ দিলেন সালমান
Published: 9th, February 2025 GMT
বলিউডের সুপারস্টার তিনি। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকও। তবে সেই নাম-যশ-খ্যাতির উর্ধ্বে জেলে এক সাধারণ কয়েদি হিসাবেই দিন কেটেছে সালমান খানের। জেলখানায় কাটানো সময় নিয়ে সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেছেন ভাইজান।
ভাইপো আরহান খানের পডকাস্ট ডাম্ব বিরিয়ানিতে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন নায়ক। এই প্রথমবার কোনও পডকাস্টে পাওয়া গেল সালমান খানকে।
কথা প্রসঙ্গে সালমান তাঁর ভাইপোকে পরামর্শ দেন, কাজের বিষয়ে কখনো অজুহাত দিতে নেই। কাজের সময় বলতে নেই, ঘুমের প্রয়োজন। তিনি নিজে দিনে দুই ঘণ্টা ঘুমান। তা ছাড়া দিনে কোনো কাজ না থাকলে সেই ফাঁকে ঘুমিয়ে নেন।
জেলজীবনেও ঘুম নিয়ে একই অভিজ্ঞতা সালমানের। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লান্ত। কিন্তু সেটা বললে চলবে না। যতই ক্লান্ত থাকো না কেনো উঠে পড়তে হবে। ঘুমোতে পারছ না? ঘুমিও না। এমন পরিশ্রম করো, রাতে ঘুম আসতে বাধ্য হবে। আমি নিজে দিনে দুই ঘণ্টা ঘুমাই। মাসে এক দিন সাত ঘণ্টা ঘুমাই। মাঝেমধ্যে শুটিংয়ের ফাঁকে পাঁচ-সাত মিনিট বিরতি পেলে চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে নিই। যেমন কারাবাসে থাকার সময় শুধুই ঘুমোতাম। তার কারণ, ঘুমানো ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না। তাই পরিবার বা কাজের বিষয় এলে, কখনো হাল ছেড়ো না। লেগে থেকো। পরিবার ও বন্ধুদের পাশে সব সময়ে থাকবে।’
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণের অবৈধ শিকারের অভিযোগ রয়েছে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই সময় কয়েকদিন জেলে কাটে অভিনেতার। এরপর ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যোধপুর জেলে পাঠানো হয় অভিনতা। কয়েকদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
২০১৮ সালে যোধপুরের নগর দায়রা আদালত সেই সম্পর্কিত একটি মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং কারাদণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় সালমানকে। জামিন মেলার আগে দিন কয়েক সংশোধোনাগারে কাটিয়েছেন নায়ক। এই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন।
এছাড়াও সালমানের বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলাও ঝুলে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ থাকার কারণেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সালমান, কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় পুজো করে কৃষ্ণসার হরিণকে।
এদিকে সালমানকে এআর মুরুগাদোসের আসন্ন ছবি সিকান্দারের সাথে অভিনয় করবেন, সহ-অভিনেতা রশমিকা মান্দানা। চলতি বছরের ঈদে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সিকান্দার ছাড়াও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ‘কিক টু’-তে দেখা যাবে সালমনাকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কারও দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেছিল। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে, এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই।
সোমবার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বরাদ্দ ৫০০ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। চলনবিল অধ্যুষিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছান পরিবেশ উপদেষ্টা। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর আশপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রস্তাবিত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।