কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাশকতা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমারখালী পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্ত এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়।

আরো পড়ুন:

ছাত্র অধিকার পরিষদের নিখোঁজ নেতা অন্তর উদ্ধার

ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট শেয়ার, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী আটক

পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৬টার দিকে লিফলেট বিতরণ এবং নাশকতা চেষ্টার উদ্দেশে পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তারা। এ সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়কে লাঠিসহ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে আটক হৃদয়কে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শামীম হোসেন। মামলায় নাম না জানা আসামি করা হয় ৩০ জনকে। পরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অপর নেতা প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নাশকতা করতে পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হচ্ছিল। পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা থানায় মামলা করেছি।”

কুমারখালী থানার ওসি মো.

সোলায়মান শেখ বলেন, “এক ছাত্র একজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ জনকে নাম না জানা আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ন শকত

এছাড়াও পড়ুন:

হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন:

উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ

নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।

নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ