ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যাবসার দখল ও ঝুট ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার জামগড়া চৌরাস্তা সংলগ্ন জামগড়া-বাগবাড়ি আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এতে কাপ্তান মিয়া (১৬) নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মো.

ডালিমের ছেলে। স্থানীয় একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসাবে কর্মরত। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে শেখ আবু জাফর নামে আরেকজন আহত হন।

আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক এইচ এম আসাফ উদ্দৌলা রিজভী বলেন, “আমাদের হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাপ্তান নামে এক কিশোরকে আনা হয়েছে। তার পিঠে গুলি লেগেছে, বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”

স্থানীয়রা জানায়, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার প্রীতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঝুট দীর্ঘ দিন ধরেই নিয়ে আসছিলেন আশুলিয়া থানা তাঁতীদলের সহসভাপতি বকুল ভুইয়া। তবে সম্প্রতি যুবদলের সাবেক নেতা শরীফ চৌধুরী কারখানাটির ঝুটের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শরীফ চৌধুরী ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বকুল ভুইয়ার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যাওয়ার সময় শরীফ চৌধুরীর লোকজন ঝুটের ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পাশাপাশি ট্রাকটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার এক কর্মকর্তা জানান, বকুল ভুইয়ার সঙ্গে কারখানার চুক্তি থাকলেও এই ঝুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো তার ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রনি ভুইয়া। সংঘর্ষ চলাকালে রনি ভুইয়ার লোকজনই উপস্থিত ছিল।

আশুলিয়া থানা তাঁতীদলের সহসভাপতি বকুল ভুইয়া বলেন, “কারখানার সঙ্গে আমার যাবতীয় চুক্তি রয়েছে। আজ সকালে শুনি শরীফ চৌধুরীর লোকজন কারখানার সামনে ঝামেলা করছে। পরে পুলিশকে জানালে তাদের সহযোগীতায় আমার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে বেরিয়ে যায়। পথে ঝুটের ট্রাক শরীফ চৌধুরীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে বাড়ির ছাদ থেকেই তারা গুলি করা শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রাকে আগুন দেয়। তাদের ছোড়া গুলিতে মঞ্জু নামে এক লেবারসহ আমাদের দুইজন লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে।”

এ সময় রনি ভুইয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রনি তো গত তিন মাস যাবত এলাকাতেই নেই।”

প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাকিবুল বলেন, “আমাদের কারখানা প্রাঙ্গণে কোন ঝামেলা হয়নি। শুনেছি, কারখানার বাইরে ঝামেলা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে বকুল ভুইয়া নামে একজনের ঝুটের চুক্তি রয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী তিনিই ঝুট নেন।”

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিনুর কবীর বলেন, “যতদূর জানতে পেরেছি আজ রনি ভুইয়ারা ঝুট নিয়ে যাওয়ার সময় শরীফ চৌধুরীর লোকজনের সাথে, তাদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। একজন গুলিবিদ্ধও আছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে কারা কারা এর সাথে জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল কজন আম দ র স ঘর ষ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে

পাঁচজন ডাটা অ্যানালিস্টের সঙ্গে সহকারী ফিজিও আছেন চারজন। প্রধান কোচ, সহকারী কোচসহ সিঙ্গাপুর দলের কোচিং স্টাফের সংখ্যা ১৯। তাদের বিপরীতে প্রধান কোচসহ বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ মাত্র পাঁচজন। এর মধ্যে ফিজিও আছেন একজন। অনেক সময় একসঙ্গে কয়েকজন ফুটবলার ইনজুরিতে পড়লে বেকায়দায় পড়তে হয় একমাত্র ফিজিওকে। সিঙ্গাপুর দলের কোচিং স্টাফের সংখ্যা দেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও এই দিকে মনোযাগ দিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে কোচিং স্টাফ বাড়ানোর কথা শনিবার মিট দ্য প্রেসে বলেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের তালিকা খুবই ছোট। প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে সহকারী হিসেবে আছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার হাসান আল মামুন এবং স্পেনের ডেভিড গোমেজ। গোলরক্ষক কোচ মিগুয়েল অ্যাংগেল এবং ফিটনেস কোচ হিসেবে আছেন পেলো। তারা দু’জনই স্পেনের। ফিজিও আবু সুফিয়ান সরকারকেই ফুটবলারদের চোট এবং খেলার সময় আঘাত পেলে দৌড়ে মাঠে যেতে হয়। 

একটা দেশের জাতীয় দলে এত কম সংখ্যক কোচিং স্টাফ থাকতে পারে না বলে মনে করেন তাবিথ, ‘যখন আমরা কোনো অফিসিয়ালদের তালিকা তৈরি করি, তখন নানা রকমের অভিযোগ এবং কথা শুনতে হয় যে এত মানুষ কেন যাচ্ছে। তারা ঘুরতে যাচ্ছে কিনা, তাদের কাজটা কী? এসব প্রশ্নও শুনতে হয়। আসলে আপনারা বিশ্লেষণ করে জানবেন যে ২৩ জন প্লেয়ারের পেছনে কিন্তু আরও অনেক অফিসিয়াল দরকার হয়। একটা প্লেয়ার ইনজুরিতে পড়লে কিংবা খেলার পরে তাঁর ম্যাসাজ দরকার হয়। একজন ফিজিও দিয়ে কী আমরা ১৮ ফুটবলারকে সহযোগিতা করব? তাই আমাদের কোচিং স্টাফ, টেকনিক্যাল স্টাফ এবং অ্যাসিসট্যান্স স্টাফ বাড়াব। টিমকে আমরা জোরালোভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাব যেন আমরা কোনোভাবেই অন্য ইন্টারন্যাশনাল দলের তুলনায় পিছিয়ে না থাকি। এতে আমাদের কোয়ালিটিও বাড়বে আর র‍্যাঙ্কিংও বাড়বে।’

শুধু কোচিং স্টাফ বাড়ানোই নয় নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলে। বিশেষ করে, ফুটবলারদের তথ্য পেতে গেলে সমস্যা পড়তে হয় সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমীদের। তাই এবার বাফুফে চালু করতে যাচ্ছে মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপ ছাড়াও আগামী ছয় মাসের মধ্যে খেলোয়াড়দের তথ্য সমৃদ্ধি করতে চায় দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর নতুন একটা সফটওয়্যার নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাফুফে টেকনিক্যাল কমিটি। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার কাজ করছে বাফুফে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা জানাবে ফেডারেশন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
  • কখন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, সেই আতঙ্কে দিন কাটছে তেহরানের মানুষের
  • দায়িত্ব নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের কথা বললেন বিজিএমইএ সভাপতি
  • ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কেড়ে নিল তরুণ ইরানি কবি আর তাঁর পুরো পরিবারকে
  • চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস
  • হামজাদের কোচিং স্টাফ বাড়ছে
  • বিজিএমইএ’র নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ