ই-ক্যাব নির্বাচন ৩ মে, তফসিল ঘোষণা করলেন প্রশাসক
Published: 10th, February 2025 GMT
দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন হবে ৩ মে। নির্বাচনে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১ পদে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গতকাল রোববার তফসিল ঘোষণা করেছেন ই-ক্যাবের প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে মুহাম্মদ সাঈদ আলী আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি। আর এটা হবেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। আর সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আমাদের সহযোগিতা করবে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’
আরও পড়ুনবাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও ই-ক্যাবে প্রশাসক, ১২০ দিন পরেও নির্বাচনের কোনো ঘোষণা নেই১৮ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের তফসিলের তথ্যমতে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সদস্যপদ নবায়ন ও প্রাথমিক ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা যাবে। এরপর বিভিন্ন যাচাই-বাছাই শেষে ১৩ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণা করা হবে। এরপর ১৫ তারিখ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল কার্যক্রম শুরু হবে এবং ৯ এপ্রিল বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার সোহেল রহমান। অন্য সদস্যরা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো.
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত ১৩ আগস্ট ই-ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে শমী কায়সার পদত্যাগ করেন। এরপর পদত্যাগ করেন কার্যনির্বাহী পর্ষদের সব সদস্য। ফলে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর ই-ক্যাবে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়েছিল, প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন। তবে ১২০ দিন পার হয়ে গেলেও ই-ক্যাব নির্বাচন হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদত য গ সরক র সদস য তফস ল
এছাড়াও পড়ুন:
কমিটি নেই, সবাই নেতা
কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর।
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা।
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু।
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ।
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।