সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ বাসায় গার্মেন্ট কর্মী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ২
Published: 10th, February 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ বাসায় ভাগনে ও ভাতিজাকে আটকে রেখে এক পোশাক শ্রমিক (৪০) কে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনজনকে অভিযুক্ত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শরীফ (২৭), ফয়সাল ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মিজান। পুলিশ মামলার সূত্রধরে অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুজন শরীফ ও মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিধবা ভুক্তভোগী নারী সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার সঙ্গে ভাগনে ও ভাতিজাও থাকত। অভিযুক্ত শরীফ ওই বাড়ির দেখভালকারী এবং মিজান একজন ভাড়াটিয়া।
রবিবার রাতে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে শরীফ দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তরা বাসায় প্রবেশ করে। পরে শরীফ ও ফয়সাল ওই নারীকে রান্নাঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে, আর মিজান তার ভাগনে ও ভাতিজাকে আটকে রাখে। ঘটনার পর তারা সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম বলেন, অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।