সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ বাসায় ভাগনে ও ভাতিজাকে আটকে রেখে এক পোশাক শ্রমিক (৪০) কে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনজনকে অভিযুক্ত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।  

অভিযুক্তরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শরীফ (২৭), ফয়সাল ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মিজান। পুলিশ মামলার সূত্রধরে অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুজন শরীফ ও মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিধবা ভুক্তভোগী নারী সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার সঙ্গে ভাগনে ও ভাতিজাও থাকত। অভিযুক্ত শরীফ ওই বাড়ির দেখভালকারী এবং মিজান একজন ভাড়াটিয়া।

রবিবার রাতে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে শরীফ দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তরা বাসায় প্রবেশ করে। পরে শরীফ ও ফয়সাল ওই নারীকে রান্নাঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে, আর মিজান তার ভাগনে ও ভাতিজাকে আটকে রাখে। ঘটনার পর তারা সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম বলেন, অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী

গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। 
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।

সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।

পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ-ক্ষোভ
  • মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী