মরা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে জেল-জরিমানা
Published: 12th, February 2025 GMT
টাঙ্গাইলে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে এক মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার সুপারিবাগান ওয়াল্টন মোড় বাজারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আনোয়ার। তিনি পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, বেড়াডোমা এলাকায় বাছেরের একটি বকরা গরু মারা গেলে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তিন জন মিলে ওই গরুর মাংস বাজারে নিয়ে বিক্রি করছিল। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার সুপারিবাগান ওয়াল্টন মোড় বাজারে দিলু মিয়ার মাংসঘরে মরা গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানতে পারি। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ব্যবসায়ী দিলু মিয়া পালিয়ে যায়। এসময় হাতেনাতে মরা গরুর মাংস জব্দ করে দুজনকে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে নিয়ে আসা হয়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘পরে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাংস বিক্রেতা আনোয়ারকে এক মাসের জেল ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।’’
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।