Samakal:
2025-08-01@04:42:55 GMT

স্মরণীয় প্রেমের সিনেমা

Published: 13th, February 2025 GMT

স্মরণীয় প্রেমের সিনেমা

কাসাব্ল্যাঙ্কা

কাসাব্ল্যাঙ্কায় জনপ্রিয় ক্যাফে চালায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত রিক ব্লেইন। ঘটনাক্রমে ট্রানজিটের দুটো কাগজ পায় ব্লেইন। এই শহরেই সে আবিষ্কার করে সাবেক প্রেমিকা ইলসাকে। ইলসার স্বামী লাজলো চেকেস্লোভাকিয়ার বিদ্রোহী নেতা, জার্মানরা যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ইলসা জানে, কেবল ব্লেইনই সাহায্য করতে পারবে তাদের। ঈর্ষাকাতর ব্লেইন কি সাহায্য করবে? সে কি ছিনিয়ে নেবে তাঁর ভালোবাসাকে, নাকি পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে তাকে। প্রেমিকার স্বামীর ব্যাপারে বা কী পদক্ষেপ নেবে সে? এ উত্তরগুলো পেতে আপনাকে দেখতে হবে সিনেমাটি। ১৯৪২ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল কার্টিজ। এতে অভিনয় করেছেন হামফ্রি বোগার্ট, ইনগ্রিড বার্গম্যান প্রমুখ। ছবিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়।

গন উইথ দ্য উইন্ড

১৯৩৯ সালের ছবি। ভিক্টর ফ্লেমিং পরিচালিত এ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে মার্গারেট মিচেলের লেখা একই নামের উপন্যাস থেকে। ১০৩৭ পৃষ্ঠার ঢাউস উপন্যাস ‘গন উইথ দ্য উইন্ড’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। এ উপন্যাস পুলিৎজার পুরস্কারও পায়। প্রযোজক ডেভিড ও সেলজনিক উপন্যাস ছাপা হওয়ার পর পরই লেখকের কাছ থেকে এর চলচ্চিত্র কিনে নেন ৫০ হাজার ডলারে। তখন পর্যন্ত এটিই ছিল কোনো উপন্যাসের সর্বোচ্চ দাম। প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ ছবি ১৯৩৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর আটলান্টায় মুক্তি পায়। মুক্তির আগে ছবির প্রচারণা চলে তিন বছর ধরে। মুক্তি পাওয়ার পর শুধু হলিউডে নয়, সারা বিশ্বেই এ ছবি একটি ইতিহাস হয়ে ওঠে। অস্কারে ১৩ নমিনেশন ও ১০টি পুরস্কার পায় এ ছবি।

রোমান হলিডে

১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি পরিচালনা করেছেন উইলিয়াম ওয়াইলার। এ সিনেমাটি চলচ্চিত্রপ্রেমীর কাছে ভালোবাসার ছবি, আবেগের নাম। চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের রায়ে ধ্রুপদি সিনেমা। এ সিনেমার শেষ দৃশ্য বুকের মধ্যে যেমন হাহাকার জাগায়, মন খারাপ করিয়ে দেয়। অড্র্রে হেপবার্ন ও গ্রেগরি পেক অভিনীত ‘রোমান হলিডে’ তিনটি অস্কারসহ, গোল্ডেন গ্লোব ও আমেরিকান রাইটার্স গিল্ডের পুরস্কারও পায়। 

ওয়েস্ট সাইড স্টোরি

শেক্সপিয়ারের অমর সৃষ্টি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট-অনুপ্রাণিত এ ছবির গল্প। নিউইয়র্ক শহরে রাস্তার দুই মাস্তান দলের মধ্যে মহাবিরোধ। জেটস বনাম শার্কস একে অপরের ছায়াও সহ্য করতে নারাজ। দুই শত্রুগোষ্ঠীর দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে অলৌকিক প্রেম বাসা বাঁধে। জেটস দলের নেতা টনি প্রেমে পড়ে শার্কস দলনেতা বার্নার্ডোর বোন মারিয়ার। কী ভবিষ্যৎ এই প্রেমের? মিউজিক্যাল ধাঁচের এ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে। ছবির পরিচালক রবার্ট ওয়াইজ ও জেরম রবিনস।

অ্যান অ্যাফেয়ার টু রিমেম্বার

নিকি হচ্ছে ‘প্লেবয়’, প্রেম তার কাছে ছেলেখেলা। ইউরোপ থেকে নিউইয়র্কের জাহাজে করে যাওয়ার সময় নিকের সঙ্গে পরিচয় টেরির। দু’জনের মধ্যে হয়ে গেল প্রেম। কথা ছিল ছয় মাস পর এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ছাদে আবার দেখা হবে দু’জনের। দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে টেরি যেতে পারল না নির্দিষ্ট দিনে। অপেক্ষা করে ভাঙা মন নিয়ে ফিরে এলো নিকি। ভাবল, হয়তো টেরি সত্যিই তাকে ভালোবাসেনি। হয়তো সে বিয়েথাও করে ফেলেছে। কখনোই কি দেখা হবে না নিকি-টেরির? পরিচালনা করেছেন লিও ম্যাকক্যারি। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্যারি গ্র্যান্ট এবং ডেবরা কের। 

টাইটানিক

মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিকাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট। নর্থ আটলান্টিক সমুদ্রের বুকে সৃষ্টি একটি মানবিক প্রেম এবং তার করুণ সমাপ্তি নিয়ে তৈরি টাইটানিক ছবিটি। ১৯৯৭ সালে নির্মিত একটি ট্র্যাজেডিক প্রেমকাহিনি টাইটানিক। বিপুল জনপ্রিয়তার সঙ্গে এই ছবিটি অস্কার জয় করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উপন য স পর চ ল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ