2025-09-17@23:10:42 GMT
إجمالي نتائج البحث: 220

«উপন য স»:

    আমার অতি প্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন। আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ইমদাদুল হক মিলন; বন্ধুর মতো বড় ভাই। বড় ভাইয়ের মতো বন্ধু তিনি। আশ্চর্য ভালো মন ও মধুরতায় তিনি আচ্ছন্ন থাকেন। সারাক্ষণ লেখার মগ্নতায় বুঁদ থাকেন। মুখে অমিলন হাসি। খুব রাগ করলেও তিনি উত্তেজিত হন না। হাসির আড়ালে এক ধরনের কপট গাম্ভীর্য থাকে। মিলন ভাই আমাদের খুব প্রিয় মানুষ। মিলন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলেই আমরা কল্লোলিত ও আনন্দিত হয়ে উঠি। মিলন ভাইয়ের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। হাসি আনন্দ পানাহার আড্ডা- সব মিলিয়ে মিলন ভাই মানে শুধুই মিলন ভাই। মিলন ভাই জিন্সের প্যান্ট ও এক রঙের পাঞ্জাবি পরতে খুব স্বচ্ছন্দবোধ করেন। যৌবনে আধুনিক চলতি হাওয়ার ফ্যাশান আইকন ছিলেন। এখন খুব সাধারণ পোশাক পরেন। কিন্তু নিজস্বতা থাকে। জিন্সের...
    উপনিবেশের শিকার কোনো জাতি যখন সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই করে, তখন তাদের সচেতন মন ও সংগঠিত প্রয়াস অবধারিতভাবে সাংস্কৃতিক সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটায়; অর্থাৎ সংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কোনো আলাদা বস্তু হিসেবে বিরাজ করে না। তারা মিলেমিশে, একে অপরের পরিপূরক হয়ে, আগের চেয়ে শাণিত চেহারায় ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত হয়। হুবহু না হলেও, কাছাকাছি এই কথাগুলোই ১৯৫৯ সালের এক বক্তৃতায় বলেছিলেন সংগ্রামী চিন্তাবিদ ফ্রানৎস ফানোঁ।ফানোঁ যে রকম মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছেন, সে রকম এক যুদ্ধের উজ্জ্বল যোদ্ধা ছিলেন জহির রায়হান। ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধে অনেকেই আত্মগোপন করেন অথবা সীমান্ত অতিক্রম করে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। জহির রায়হান এর কোনোটিই করেননি। আগরতলা হয়ে কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ শুধু নয়, গেরিলা কায়দায় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে দলিলচিত্র নির্মাণের কাজ করেছেন জহির রায়হান। নিজে...
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়—বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। অথচ এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা কতটা অনিশ্চিত, তা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল লিজার মৃত্যু। একজন তরুণ শিক্ষার্থীকে হারালাম আমরা। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এমন হলে থাকি, যেখানে জীবনের কোনো দাম নেই, অসুস্থতার কোনো যথাযথ চিকিৎসা নেই।২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর একটি হলে একজনও যোগ্য ডাক্তার নেই! এই হলো ঢাবির বাস্তবতা। হুমাইরা উপন‍্যাস জানায়, সেই অসহায় মুহূর্তে দেখা গেল, লাশ এলো হলে, রুমমেট অজ্ঞান হয়ে গেলেন। অথচ হলের ডাক্তার এলেন ২০ মিনিট পর। এ ডাক্তারকে আমরা ‘হাতুড়ে ডাক্তার’ বলতে বাধ্য হচ্ছি—কারণ, চিকিৎসা মানে তাঁর কাছে কেবল নাপা। প্রেশার মাপা ছাড়া তিনি কিছুই করতে পারলেন না। একজন ডাক্তার হয়ে এতটা বিভ্রান্ত আর নিষ্ক্রিয় থাকাটা অবিশ্বাস্য।আরও হতাশার বিষয়, হাউস টিউটররা জানালেন—ডাক্তার শুক্র-শনিবার ডিউটিতেই থাকেন না! তাহলে ওই দুই দিন...
    সাধারণভাবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ‘বরপুত্র’ বলা হয়। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে বিশেষ অনুগ্রহ করেন। কিন্তু সময় বদলেছে। শুধু ঈশ্বরের অনুগ্রহে বুঝি এখন আর কাজ হয় না। তাই ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে চান মানুষ। ক্ষমতার বরপুত্র হতে চান। কিন্তু চাইলে তো হয় না। বরপুত্র হওয়ার জন্য দরকার দালালি-দুর্নীতি-চাটুকারিতা করবার পরম ধৈর্য ও অশেষ সামর্থ্য। সকলের সেই সামর্থ্য থাকে না। তাই শেষ পর্যন্ত দুয়েকজনই হয়ে উঠতে পারেন ক্ষমতার বরপুত্র। মঞ্জু সরকার (১৯৫৩)-এর বরপুত্র (২০১০) উপন্যাসটি বিন্যস্ত হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার আনুকূল্যে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে ওঠা এক সৌভাগ্যের বরপুত্রকে নিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশ জন্মের পরের কয়েক দশকে এরকম বরপুত্রদের দেখা গিয়েছিল। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পুঁজি করে এবং রাষ্ট্র ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে কিছু মানুষ ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। এই আখ্যানের কেন্দ্রে রয়েছে এরকমই একজন...
    দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ৫ হাজার ১৮০ বর্গ কিলোমিটারের ক্ষুদ্র এক দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। আয়তনে ক্ষুদ্র এই দেশেরই এক বড় মাপের লেখক ভি এস নাইপল। ২০০১ সালে সাহিত্যকর্মের জন্য যিনি নোবেল পুরস্কার পান এবং পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের সাহিত্যপ্রেমী পাঠকের কাছে। বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে ভি এস নাইপলের বেশ কিছু উপন্যাস।ভি এস নাইপলের উপন্যাসগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলায় অনূদিত হয়েছিল ‘আ হাউজ ফর মি. বিশ্বাস’ ও ‘আ ফ্রি স্টেট’ বই দুটো। এ ছাড়া বাংলায় অনূদিত হয়েছে তাঁর ‘দ্য এনিগমা অব অ্যারাইভাল’, ‘মিগুয়েল স্ট্রিট’, ‘অ্যামোং দ্য বিলিভার্স’ ও ‘হাফ আ লাইফ’। সারা বিশ্বে তিনি যেমন লেখক হিসেবে সুপরিচিত, ঠিক তেমনি এ দেশের পাঠকের কাছেও সমাদৃত ও জনপ্রিয় হয়েছে তাঁর লেখা।২০১৬ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢাকা লিটারেরি ফেস্টিভ্যালে প্রধান অতিথি...
    এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম এস এম সুলতান, যিনি তাঁর শিল্পচর্চার পথে দীপ্ত পায়ে হেঁটে পৌঁছেছিলেন এই গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও মানুষের কাছে। সুলতানের রংতুলি আজও আমাদের ডেকে নিয়ে যায় এই বাংলার আদিম প্রকৃতির পরম ভালোবাসায়; যে ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে সুলতান একের পর এক দৃশ্য রচনা করেছিলেন। সংগ্রামী ও শক্তিশালী মানুষের সুঠাম দেহে রোপণ করেছিলেন মুক্তির চারা গাছ। তাঁর ছবিতে কিষান-কিষানির তামাটে রোদে পোড়া ঘর্মাক্ত দেহের রেখা যেন তিরের মতো তীব্র গতিতে এগিয়ে চলে টিকে থাকার লড়াইয়ে।এ দেশের গ্রামের মাটিতে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধের বিশালদেহী, ক্রোধে কম্পিত পেশির মানুষগুলো যূথবদ্ধ হয়ে দৌড়াতে থাকে স্থির লক্ষ্যে। শত্রুর মোকাবিলা করে শক্তসমর্থ পেশিবহুল পুরুষ ও নারী উভয়েই। এই মানুষগুলোই সুলতানের অনুপ্রেরণা। তাঁর ছবিতে নারী চরিত্র কোনো অংশে কম শক্তিশালী নয়। বরং কোথাও কোথাও...
    ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধে৵ও গাজায় একটি ছোট বইয়ের দোকান ‘ইকরা কিতাবাক’ যেন আলো ছড়াচ্ছে। দোকানটি ২০২৪ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে চালু হয়। গাজার ঠিক কেন্দ্রস্থলে, নুসাইরাত শরণার্থী ক্যাম্পের ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে।আরবি ও ইংরেজি ভাষার উপন্যাস, কবিতা, দর্শন, ধর্মীয় ও আত্মোন্নয়নমূলক বই পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে রাস্তার পাশে কাঠের অস্থায়ী তক্তার ওপর। ধূসর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সেগুলোর রঙিন প্রচ্ছদগুলো যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আশপাশের নৈরাশ্যের প্রতি।আধা বিধ্বস্ত বা পুরোপুরি ভেঙে পড়া ভবন এবং বিমান হামলার ধ্বংসাবশেষে ঘেরা সেই জায়গায় বই যেন একেবারেই বেমানান; কিন্তু বইগুলোর শিরোনাম সেখানকার আশা, ভালোবাসা, ক্ষতি ও প্রতিরোধের গল্প বলছে। দোকানটি হয়ে উঠেছে ছোট্ট ফিলিস্তিন, যেটি ইসরায়েলের গণহত্যা মুছে ফেলতে চেয়েছে।এটি পরিচালনা করছেন দুই ভাই—সালাহ ও আবদুল্লাহ সারসুর। তাঁরা নিজেদের বাড়ি হারিয়েছেন এবং বর্তমানে নুসাইরাত ক্যাম্পে একটি স্কুলে...
    একটা গণ–অভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব যেমন অনেক নতুন ধারণাকে হাজির করে, আবার অনেক পুরোনো ও গেড়ে বসা ধারণা বা চিন্তাকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়। এসব ধারণা কিংবা চিন্তা বহনকারী ব্যক্তিবর্গও স্বাভাবিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শেষ দিকে জনাকয়েক চলচ্চিত্রশিল্পী–নির্মাতার কিছু বার্তা ভাইরাল হলে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তাঁরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম জল’ ঢেলে দিতে বলেছেন, পুলিশকে আরও কঠোর হতে বলেছেন ইত্যাদি। আশ্চর্যের কিছু নেই। তাঁরা তাঁদের দাসত্বের দায় শোধ করেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই নতুন সময়ে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছেন। তাঁদের আদর্শিক মৃত্যু ঘটেছে। তাঁরা আর আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারবেন না।এটা বলছি রাজনৈতিক বিচারের জায়গা থেকে। তাঁরা রাজনৈতিক দায় মেটাতে পারেননি, তাই অপাঙ্‌ক্তেয় হয়ে গেছেন নতুন সময়ে। কিন্তু নান্দনিক দায় অত সহজে শোধ হওয়ার নয়। রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক ছিলাম বলেই নান্দনিকভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠব, অতটা...
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মহৎ স্রষ্টার কাছে আমরা এযাবৎ যা আশা করে এসেছি, সেই আশা এখন ভ্রান্তির চোরাবালিতে মাথা কুটে মরছে। একজন শিল্প সৃজনকারী হিসেবে রবীন্দ্রনাথের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কি বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল? সেটিই হয়তো ছিল আমাদের ভুল। তিনি বিনোদনের উৎস নন, আমাদের ব্যবহার্যতার ভিত্তি। করোনাকালে পুরোনো রবীন্দ্রবাণী উপলব্ধি করেও নতুনভাবে সংবিৎ ফিরে পেয়েছি:কত অজানারে জানাইলে তুমি      কত ঘরে দিলে ঠাঁই—দূরকে করিলে নিকট বন্ধু,       পরকে করিলে ভাই।অতিমারিকালে তো আমরা তা-ই করেছি। আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে গৃহবন্দী থেকেও অনেক অজানাকে জানার সুযোগ হয়েছিল। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ করে দূরকে কত নিকটে নিয়ে এসেছি, এর মাধ্যমেই অনেক পর আমাদের আপন হয়েছে, যা হয়তো কোনোদিন সম্ভবই হতো না। যেটি আসলে ‘শারীরিক দূরত্ব’ সেটিকে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এটিও ছিল এক...
    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানি শাসন–পরবর্তী যে আরব রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা ছিল পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষায়—এ অঞ্চলের নিজস্ব অধিবাসীদের জন্য নয়।১৯১৮ সালে, ওসমানি শাসন–পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এটি স্বীকার করে ব্রিটিশ ভারতের একজন কর্মকর্তা লিখেছিলেন, ‘পুরোনো স্লোগান এখন অচল। আমাদের নতুন পথ বেছে নিতে হবে; যা মূল লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। কাজটি সম্ভব, তবে তার জন্য কিছুটা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। “আরব মুখোশ” হয়তো আমাদের পূর্বপরিকল্পনার চেয়ে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হতে পারে।’১৯১৯ সালের তথাকথিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশরা বুঝে যায়, ব্যাহত প্রতীয়মান ‘স্বনির্ধারণীর’ এ যুগে নিজেদের আধিপত্য আর সরাসরি চাপিয়ে দিতে পারবে না তারা। তাই তাঁদের আধিপত্য আড়াল করতে দরকার ‘স্থানীয় কর্তৃত্ব’ নামের এক মুখোশ।কিছু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী, যেমন টি ই লরেন্স ভাবতেন, তাঁরা আরবদের...
    ‘একজন ইউরোপীয়কে হত্যা করার মানে হচ্ছে এক ঢিলে দুই পাখি মারা।’ ফ্রান্স যখন সাত বছর ধরে বর্বরোচিতভাবে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন দমনে লিপ্ত, সেই সময় জাঁ পল সার্ত্রে এই কথাগুলো লিখেছিলেন। শত হলেও, এ ধরনের হত্যা একই সঙ্গে অত্যাচারী আর অত্যাচারিত, দুই পক্ষকেই নিকেশ করে দেয়: একজন মারা যায়, আর অন্যজন মুক্তি অর্জন করে। আলজেরিয়ার উপনিবেশবিরোধীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য ফ্রান্সে প্রবলভাবে ঘৃণিত সার্ত্রে মানুষকে ‘আমাদের মানবতাবাদের স্ট্রিপটিজ নাচ’ দেখতে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘আপনারা যাঁরা এত উদার, এত মানবিক, যাঁরা সংস্কৃতিপ্রেমকে ভড়ংয়ের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন, সেই আপনারা এটা ভুলে যাওয়ার ভান করেন যে আপনাদের উপনিবেশগুলোতে আপনাদের নামেই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।’ অগ্নিবর্ষী এই কথাগুলো সার্ত্রে লিখেছিলেন একটি বইয়ের ভূমিকায়। তাঁর নিজের বই নয়। ফ্রানৎস ফানোঁ নামের এক ফরাসি ও ওয়েস্ট...
    বধ্যভূমি হয়ে ওঠা গাজায় প্রতিদিন শিশুসহ নরহত্যা ‘উৎসব’ চলছে। এখন শুরু হয়েছে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যু। সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। সব দেখে এখন বুঝতে পারি মানুষের বিবেক ও চেতনারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গাজায় যাঁরা অবিরাম নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের তো এখন জৈবশক্তির জোরেই টিকে থাকতে হচ্ছে। আক্রমণকারী শক্তি ইসরায়েল নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রণাঙ্গন ছাড়বে বলে মনে হয় না। অতীতে দেখা যেত, সংঘাতের বাইরের দর্শক বাকি বিশ্বের নেতাদের চাপে এমন নিষ্ঠুরতা থামাতে হতো। হামাসের ৭ অক্টোবরের (২০২৩) হামলার প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছিল ইসরায়েল নভেম্বর থেকে। তার মিত্রদের যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত পশ্চিম ইউরোপের পরামর্শে তারা ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ একবার যুদ্ধবিরতি মেনে ছিল; কিন্তু তারপর মার্চ থেকে আবারও পূর্ণোদ্যমে গাজার নিরস্ত্র বেসামরিক জনগণের ওপর যে নৃশংস হামলা শুরু...
    ভারতবর্ষ সাময়িকীতে ১৯৩৪-৩৫ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। প্রকাশের ৯০ বছর পর সেই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমা। আজ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’; পর্দায় কুসুম, শশী, কুমুদ, যাদব আর সেনদিদি হয়ে আসছেন জয়া আহসান, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।অনেক দিন ধরেই সিনেমাটি নিয়ে কাজ করছিলেন সুমন মুখোপাধ্যায়। এক ফেসবুক পোস্টে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা লিখেছেন, ‘এই ছবি বানানোর প্রথম চেষ্টা করেছিলাম ২০০৮ সালে। কিন্তু নানা কারণে আটকে গেছে। যখন ১৪ বছরেও বানাতে পারিনি, তখন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু নবারুণ (ভট্টাচার্য)–দার যুদ্ধ পরিস্থিতি উপন্যাসের একটা লাইন আমাকে আবার তাতিয়ে  তুলল...“হতাশ আর ভগ্নোদ্যম সেসব মানুষ পুতুলের যান্ত্রিক জীবনের অপরূপ কাহিনি “পুতুলনাচের ইতিকথা”।” মনে হলো এ তো আমাদের সময়ের কথা। আবার উঠেপড়ে...
    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার পরিচালক সুমন মুখার্জি। এ উপন্যাসের ‘কুসুম’ চরিত্রটি জীবনীশক্তিতে ভরপুর, অদম্য এবং জীবনরহস্যে ভরা। আর এই ‘কুসুম’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।   ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। নানা জটিলতায় আটকে ছিল। আগামী ১ আগস্ট পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিনেমার গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না পরিচালক। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য তার।   এ বিষয়ে ‘কুসুম’ চরিত্র নিয়ে জয়া আহসানের কী মত? তার ভাষায়, “বরাবর নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কুসুমেরও কামনা-বাসনা রয়েছে, যা সে লুকোয় না।...
    সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশ একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এ যুদ্ধবিরতি তাদের স্থানীয় সময় অনুযায়ী গত সোমবার মধ্যরাতে কার্যকর হয়।যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, যদি যুদ্ধ না থামে, তাহলে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে তিনি আর কোনো বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।সংঘাত শুরু হওয়ার সময় প্রাণহানির সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন থাই ও কম্বোডিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকার কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কিছু প্রদেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। দুই দেশের জাতীয়তাবাদী বক্তব্য আরও বেড়েছে।যুদ্ধবিরতির আগে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও থাই সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তা প্রতিহত...
    বর্ষা এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া। বর্ষা মানেই বাতাসে একধরনের বিষাদের গন্ধ আর জানালার পাশে বসে এক কাপ গরম চা হাতে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। এই আবহমান অনুভূতি শুধু বাস্তব জীবনেই নয়, জায়গা করে নিয়েছে সাহিত্য আর সিনেমায়ও। বর্ষা ও চা—দুটিই যেন মানবমনকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করে এমন দুটি অনুষঙ্গ, যেগুলোর ছোঁয়ায় সৃষ্টি হয় ভালোবাসা, প্রেম কিংবা বেদনাভরা মুহূর্ত।বাংলা সাহিত্যে বর্ষাবাংলা কবিতা, উপন্যাস আর গানে বর্ষা নিয়ে যে এক বিশাল উপাখ্যান রয়েছে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কলমে বর্ষা বরাবরই ধরা পড়েছে অনন্য এক রূপে। তাঁর গানে, গল্পে, কবিতায় বর্ষা কখনো প্রেম, কখনো বিরহ আবার কখনো নিঃসঙ্গতার নিঃশব্দ ভাষ্য হয়ে উঠেছে। মধ্যবর্তিনী, পোস্টমাস্টার, শাস্তি, সমাপ্তি কিংবা ছুটি—এই ছোটগল্পগুলোর অনেক দৃশ্যেই বর্ষা এসেছে পটভূমি হয়ে, গল্পের আবেগের ভাষা হয়ে।...
    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার পরিচালক সুমন মুখার্জি। এ উপন্যাসের ‘কুসুম’ চরিত্রটি জীবনীশক্তিতে ভরপুর, অদম্য এবং জীবনরহস্যে ভরা। আর এই ‘কুসুম’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।  ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। নানা জটিলতায় আটকে ছিল। আগামী ১ আগস্ট পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিনেমার গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না পরিচালক। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য তার।  আয়োজন করেই ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার ট্রেইলার মুক্তি দিলেন নির্মাতারা। আর এ অনুষ্ঠানে ঔপন্যাসিকের বিখ্যাত সংলাপ আওড়ান পরিচালক—“শরীর! শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?” কিন্তু এর ভিন্ন...
    জরুরি অবস্থা কীভা‌বে জা‌রি হ‌বে, এ বিষ‌য়ে ঐকমত‌্য হ‌য়ে‌ছে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভা‌বে নন, ম‌ন্ত্রিসভার অনু‌মোদ‌নে জা‌রি হ‌বে জরু‌রি অবস্থা। এ-সংক্রান্ত ম‌ন্ত্রিসভার বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত থাক‌বেন বি‌রোধীদলীয় নেতা বা উপ‌নেতা।  রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো। সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়- জরু‌রি অবস্থা হ‌লে নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থে‌কে রক্ষা পাওয়ার অধিকার থাক‌বে’। জরু‌রি অবস্থা ঘোষণা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব‌্যবহার করা হ‌বে না।  জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা যেকোনো...
    জরুরি অবস্থা কীভা‌বে জা‌রি হ‌বে, এ বিষ‌য়ে ঐকমত‌্য হ‌য়ে‌ছে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভা‌বে নন, ম‌ন্ত্রিসভার অনু‌মোদ‌নে জা‌রি হ‌বে জরু‌রি অবস্থা। এ-সংক্রান্ত ম‌ন্ত্রিসভার বৈঠ‌কে উপ‌স্থিত থাক‌বেন বি‌রোধীদলীয় নেতা বা উপ‌নেতা।  রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো। সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়- জরু‌রি অবস্থা হ‌লে নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থে‌কে রক্ষা পাওয়ার অধিকার থাক‌বে’। জরু‌রি অবস্থা ঘোষণা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব‌্যবহার করা হ‌বে না।  জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা যেকোনো...
    জুয়াড়ি, মদ্যপ, বদমেজাজি তো কত লোকই হয়! তাদের নিয়ে কে আর আলোচনা-সমালোচনা করে? তবে পৃথিবী বিখ্যাত লেখক ফিওদর দস্তইয়েফ্​স্কির সেই সাধারণ তালিকায় নিশ্চিতভাবেই পড়বেন না। কারণ, তিনি এমন এক সাহিত্যিক, যাঁর সাহিত্য পাঠকের অনুভবের জগতে দীর্ঘ প্রতিধ্বনি তোলে। তাঁর লেখায় জীবনের বিচিত্র বিষয় এক বিস্তৃত উপত্যকা হয়ে ধরা দেয়। তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলোর ‘যন্ত্রণা সয়ে যাওয়ার আর্তনাদ’ পাঠকের হৃদয়ে এমন এক অনুরণন তোলে, যা তাঁকে জীবনের অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে চায়; এমন জায়গায়, যেটা তাঁর অভ্যস্ত পৃথিবী থেকে দূরের, অথচ তারই অন্তর্গত।এই দস্তইয়েফ্​স্কিকে নতুন চোখে দেখতে শেখায় মালয়ালম ভাষার অনন্য উপন্যাস ওরু সংকীর্থনম পোলে—পেরুমপদভম শ্রীধরনের লেখা, যা জাভেদ হুসেনের অনুবাদে বাংলায় এসেছে ছাব্বিশ দিন: দস্তইয়েফ্​স্কির জুয়াড়ি লেখার আখ্যান নামে। উপন্যাসটি যেন প্রথম প্রেমের মতো ধীরে ধীরে পাঠকের মননে প্রবেশ করে এবং একসময়...
    আমি লক্ষ করেছি, ১৯৮৬ সালে আমার ডিকলোনাইজিং দ্য মাইন্ড পুস্তকটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিউপনিবেশায়ন ও ভাষাগুলোর ভেতরকার অসম ক্ষমতা-সম্পর্কের ব্যাপারে জগৎজুড়েই আগ্রহ বেড়েছে। কয়েক বছর আগে, ২০১৮ সালে এটিই আমাকে আয়ারল্যান্ডের মুনস্টের রাজ্যাধীন লিমেরিক শহরে টেনে নিয়ে যায়। ওই শহরে তখন ১৮৯৩ সালে স্থাপিত ‘গ্যালিক লিগ’-এর ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্​যাপন উপলক্ষে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।‘গ্যালিক লিগ’ খোদ আয়ারল্যান্ডে গ্যালিক বা আইরিশ ভাষার পুনরুজ্জীবনের জন্য নানা তত্পরতায় নিবেদিত একটি আইরিশ সংগঠন। আইরিশ জনগণের নিজস্ব ভাষা গ্যালিক, ইতিপূর্বে আধিপত্যশীল ইংরেজি ভাষার অধীন হয়ে পড়েছিল। পুরোদস্তুর সরকারি সমর্থনসহ নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও মর্যাদা ও প্রভাবের দিক থেকে আইরিশ ভাষা এখনো ইংরেজির অধস্তন পর্যায়ে বিদ্যমান রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের যত মানুষ আইরিশ ভাষায় কথা বলে, তার চেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে। কতিপয় সুবিখ্যাত আইরিশ...
    আল মাহমুদের সাহিত্যপ্রতিভার উন্মেষ ঘটেছিল বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে। মৃত্যুবরণ করেন ২০১৯ সালে। সেই হিসাবে তাঁর কবিজীবনের শুরু ও শেষের মধ্যে প্রায় পৌনে এক শতাব্দী অতিবাহিত হতে চলেছে। সময়ের হিসাবে এটি নিতান্ত কম নয়। এখন বোধ করি আল মাহমুদকে বাংলা কবিতার বড় পটে রেখে বিচার করা দরকার। এতে তিনি তাঁর স্ব-ভাবে আমাদের সামনে মূর্ত হয়ে উঠবেন।এক.ঔপনিবেশিক শক্তির ছায়াতলে দীর্ঘকাল থাকলে একটা জাতির সাহিত্যের যে দশা হয়, বাংলা সাহিত্যেরও তা–ই হয়েছে। ৬০০ বছরের ধারাবাহিক অভিযাত্রায় ছেদ ঘটে। নতুনভাবে সংসার শুরু করে ‘বনিয়াদি’, ‘রুচিমান ও রূপবান’ ইউরোপীয় সাহিত্যের সঙ্গে। বড়লোকের ঘর করতে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের চলন–বলন ও রূপ-লাবণ্যে একটা বড় পরিবর্তন আসে। ওই পরিবর্তিত সাহিত্যকেই আমরা বলি ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্য’। এর শুরু উনিশ শতকে।অন্যের মতো করে আধুনিক হওয়ার শুরু আছে, শেষ নেই।...
    পুরস্কারপ্রাপ্তির ফোন যখন পেলাম তখন আমি বাসন ধুচ্ছিলাম। কিছুদিন আগেই অনলাইনে ডিশওয়াশারের দাম দেখেছি, অত টাকা নেই হাতে। তাই হন্যে হয়ে হাউসহেল্প খুঁজে বেড়াচ্ছি। ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছি জেনে মনে হলো, এবার তাহলে একটা ডিশওয়াশার কিনে ফেলব নাকি? থালাবাসন ধুতে না হলে অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। সেই সময়টুকুতে লেখালেখি করা যাবে। সৃজনশীল লেখালেখিটাকে সাহিত্য চর্চার মতন ভারী শব্দবন্ধ দিয়ে কেউ বলে না। পেশায় শিক্ষক হওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে একাডেমিক লেখা আশা করা হয়, জব রিকোয়ারমেন্ট। প্রমোশন ইত্যাদি নির্ভর করে প্রকাশনা আর বাড়তি ডিগ্রির ওপর। সেই ক্ষেত্রে আমি শোচনীয়ভাবে পিছিয়ে আছি। ১৪ বছর চাকরি করার পর কোনোমতে সহযোগী অধ্যাপক হয়েছি। ওদিকে আমার সমবয়সীরা প্রফেসর ডক্টর হয়ে গেছেন। যতই আপনি বলেন না কেন, প্রতিযোগিতা কারও সঙ্গে কারও নয়, নিজের বেস্টটা...
    হোয়াইট হাউসে বৈঠক চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা। একপর্যায়ে ইংরেজিতে বক্তব্য শুরু করেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই। তাঁর মুখে সাবলীল ইংরেজি শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প। জানতে চান, এত সুন্দরভাবে ইংরেজিতে কথা বলা কোথা থেকে শিখেছেন তিনি।স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। তাতে যোগ দেন লাইবেরিয়ার পাশাপাশি গ্যাবন, গিনি বিসাউ, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার নেতারা। ট্রাম্প তাঁদের বলেন, সহায়তা থেকে বাণিজ্য—নানা বিষয়ে আফ্রিকার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনছেন তিনি। এ-ও জানিয়ে দেন, আফ্রিকার অংশীদার হিসেবে চীনের থেকে ভালো যুক্তরাষ্ট্র।বৈঠকে আফ্রিকার অনেক নেতা নিজ নিজ ভাষায় কথা বলেন। ভাষাগুলো ট্রাম্পকে বোঝানোর জন্য অনুবাদকের ব্যবস্থা ছিল। তবে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই ইংরেজিতে বলেন, ‘লাইবেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার আপনার যে...
    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবসর গ্রহণের পর বেদ, উপনিষদ অধ্যয়ন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে সময় কাটাবেন। গতকাল বুধবার তিনি নিজেই এ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান।অমিত শাহর বয়স মাত্র ৬০। তা ছাড়া এ দেশের রাজনীতিবিদেরা সচরাচর অবসর গ্রহণ করেন না। তার ওপর তাঁর মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী যদি কেউ হন, দিনে ১৮ ঘণ্টা যাঁর রাজনীতিতেই কেটে যায়, এমন অমিত শক্তিধর অমিত শাহ হুট করে অবসরের কথা কেন বলতে গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। নানান প্রশ্ন ঘুরছে।বিজেপিতে যেদিন থেকে ‘মোদি যুগ’ শুরু, সেদিন থেকেই মোদি–শাহ নাম এক নিশ্বাসে উচ্চারিত হয়ে আসছে। গুজরাটি রাজনীতিতে যা শুরু, জাতীয় রাজনীতিতেও সেই যুগলবন্দী অব্যাহত। নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে বিশ্বস্ত দোসর বলে পরিচিত অমিত শাহ। এমন ধারণাও আছে যে শাহ–ই হবেন মোদির উত্তরসূরি।হিন্দুত্ববাদী...
    বড়পর্দায় উঠে আসছে শশী, কুসুম ও কুমুদের জীবন। মুক্তি পেতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই শিরোনামের কালজয়ী একটি উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ছবিটির অপেক্ষায় রয়েছেন জয়া আহসান-ভক্তরা। কেননা, পর্দায় কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই বাংলাদেশি অভিনেত্রী।  গত রোববার ইনস্টাগ্রামে পুতুলনাচের ইতিকথা মুক্তির চূড়ান্ত তারিখ জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা ক্যালাইডোস্কোপ। সংস্থাটি জানায়, ১৯৩৫ সালে ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রথমবার ছাপা হয় পুতুলনাচের ইতিকথা। চলতি বছর উপন্যাসটির প্রথম ধারাবাহিক প্রকাশের ৯০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে আগামী ১ আগস্ট ভারতে মুক্তি পাবে ছবিটি। ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় দেখেছিলেন তাঁর বাবা অরুণ মুখোপাধ্যায়কে এই উপন্যাসকে মঞ্চে নাট্যরূপ দিতে। সেই থেকেই নির্মাতার মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল কালজয়ী উপন্যাসটি নিয়ে ছবি বানানোর। তাঁর সেই...
    সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ক্যাডারভুক্ত অনেক কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। ফলে ঢাকার বাইরের কার্যালয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এ বিষয়টির পাশাপাশি জনবলসংকটের কারণে সমবায় সমিতিগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে নজরদারি হচ্ছে না। এ সুযোগে সমিতিগুলো অনিয়ম করছে।অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে চান না। এর প্রভাব পড়ছে মাঠপর্যায়ে।বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে নির্ধারিত সংখ্যক সমবায় সমিতি পরিদর্শনের কথা। কিন্তু জনবলসংকটের কারণে তা হচ্ছে না। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে অনেক সমবায় সমিতি।অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে...
    আজ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র জন্মদিন । শুভ জন্মদিন। কবি বাপ্পি সাহা একাধারে কবি, গল্পকার, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্য অঙ্গনে তার অবাধ বিচরণ। বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। বহু সংগঠন থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্ভ্রান্ত সাহা পরিবারে ১৯৮৪ সালের ৫ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার শৈশব কৈশোর কেটেছে নারায়ণগঞ্জ। আদর্শ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি, এরপর নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তারপর সরকারি তোলারাম কলেজে লেখাপড়া করার পাশাপাশি ব্যবসায় জড়িয়ে পরেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ কবিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। হাই স্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চায় জড়িত। তার কবিতার প্রেমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাজ রশিক বাপ্পি সাহা একজন সরল মনের মানুষ। হাস্যজ্জ্বল সংঘপ্রিয়। কবি বাপ্পি সাহা’র প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:রাঙা প্রজাপতির ডানা (কাব্য-২০১৪), ছায়া দ্বীপ (গল্প-২০১৫), স্মৃতির ক্যানভাসে (কবিতা-২০১৬), বিষাদের খেয়া (কাব্য-২০১৭), বাপ্পি সাহা’র শত কবিতা (কাব্য- ২০১৮), সৃষ্টি তার...
    অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার ফ্রানচেসকা আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, ইসরায়েলকে দেওয়া আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ করা ও দেশটির ওপর পুরোপুরি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ও।গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার সময় আলবানিজ এমন আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ বলে আখ্যা দেন।মানবাধিকার পরিষদে এদিন আলবানিজ নতুন একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি দমন–পীড়ন ও সহিংসতায় সহায়তাকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়।আলবানিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারি ও উপনিবেশ গঠনের পরিকল্পনাকে টিকিয়ে রাখতে বড় কোম্পানিগুলো একধরনের করপোরেট যন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। এই যন্ত্রই ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সেখানে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে।ফ্রানচেসকা আলবানিজ বলেন, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি...
    আজ থেকে ২৪৯ বছর আগে এই দিনে শোষণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন (ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স) তৎকালীন ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রতিনিধিরা, জন্ম হয় এক নতুন রাষ্ট্রের। সময়ের পরিক্রমায় তারাই আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।বলছি যুক্তরাষ্ট্রের কথা। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক বৈঠকে তৎকালীন ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রতিনিধিরা একজোট হয়ে ঘোষণা করলেন, তাঁদের স্বাধীনতা চাই। এ ঘোষণাপত্র শুধু একটি কাগজ ছিল না; বরং ছিল একটি জাতির আত্মপরিচয় প্রকাশের সূচনা। ইতিহাসের পাতায় ওই ঘোষণাপত্র ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ নামে পরিচিত।মার্কিনরা বিপুল উৎসব আয়োজনে ৪ জুলাই নিজেদের স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, আতশবাজি, প্যারেড, বারবিকিউ পার্টি আর দেশাত্মবোধক গানে-স্লোগানে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। আয়োজনে কোনো কিছুর কমতি থাকে না।তবে ৪ জুলাই মার্কিনদের জন্য শুধু স্বাধীনতা...
    প্রযুক্তি-প্রাচুর্য-সমৃদ্ধি, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, পারমাণবিক শক্তিমত্তা ও প্রতিপত্তির বিচারে যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি ও তিলোত্তমা। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যে একটি হলো ৪ জুলাই, যেটিকে মার্কিনিরা পালন করে ইন্ডিপেনডেন্স ডে হিসেবে। ৪ জুলাই গ্রীষ্মকালীন বিনোদনের সর্বোচ্চ রূপ। কিছু উৎসব কয়েক দশক আগের। অন্যরা আঞ্চলিক রীতিতে আয়োজন করেন, বড় শহর বা ছোট শহরের চরিত্র ধারণ করে। এই দিনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক দলিল Declaration of Independence গ্রহণ করেছিল ১৭৭৬ সালে। এই ঘোষণার মাধ্যমে গ্রেট ব্রিটেন থেকে ১৩টি উপনিবেশ নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। আর শুরু হয় ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার পথচলা। এদিন আমেরিকার মানুষেরা নানা আয়োজনে তাদের দেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। এবারো বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।...
    এই জুলাইয়ের ৩ তারিখে ফ্রানৎস কাফকার বয়স ১৪২ হলো। সব সময় মৃত্যুচিন্তায় তাড়িত মানুষটার জন্য এটা কম কথা নয়। তাঁর অধিকাংশ লেখাই শেষের আগে শেষ করা কিংবা অসমাপ্ত। সেই লেখক ১৪২ বছর বেঁচে গেলেন? শুধু তা-ই না, এ মুহূর্তে পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃত ‘সবচেয়ে প্রভাবশালী’ কথাসাহিত্যিক এই তিনিই? ভাবছি যে কাফকার সম্মানে এবারের ৩ তারিখে একটা বার্থডে পার্টি করলে কেমন হতো? নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপন দেখে তিনি নিশ্চয়ই পরপার থেকে মুখ বাঁকিয়ে কষ্ট করে একটু হাসতেন আর আমার কানে কানে বলতেন, ‘মাসরুর আরেফিন, বৃথাই আমার অনুবাদক তুমি! আমার জন্মদিন তো এভাবে করলে চলবে না।সেটা হতে হবে আলো-আঁধারি কোনো ঘরে, সেখানে আসা অতিথিরা ঠিক জানবেন না তাঁরা দাওয়াত পেয়েছিলেন কি না, সেই ঘরের কোনায় হাতে একটা বড় সিল ও লম্বা লম্বা কিছু ফর্ম নিয়ে...
    জীবন্ত কিংবদন্তি হরর ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস সংকলন ‘ইফ ইট ব্লিডস’ ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। বইটির চার উপন্যাসের একটি ‘দ্য লাইফ অব চাক’। এটি অস্বাভাবিক তিন অঙ্কের কাঠামোর গল্প, যা শেষ দিয়ে শুরু হয়। ধীরে ধীরে চার্লস ক্র্যান্টজ (চাক) নামে একজন ব্যক্তির জীবনের বর্ণনা উঠে আসে।  ‘ধন্যবাদ, চাক’ নামে প্রথম পর্বটি শুরু হয় রহস্যময়ভাবে পৃথিবী সমাপ্তির মাধ্যমে। ভবনগুলো ভেঙে পড়ে, অদৃশ্য হয়ে যায়, সমাজ ভেঙে পড়ে। বিশৃঙ্খলার মধ্যেও বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়, যেখানে চাক নামে একজনকে ৩৯টি দুর্দান্ত বছরের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। এর অর্থ পৃথিবী নিজেই চাকের মন বা জীবনের প্রকাশ হতে পারে। ‘বাস্কার্স’ অংশে চাক বোস্টনে রাস্তার শিল্পীদের (বাস্কার্স) সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাচে এবং এটি তার জন্য বিশুদ্ধ আনন্দ ও মুক্তির মুহূর্ত। জানা যায়, চাক ব্রেন টিউমারে মারা যাচ্ছে।...
    টানা দুই বছর সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তৃতীয় দফায় ইতিহাসভিত্তিক কথাসাহিত্যের জন্য এবারের ওয়াল্টার স্কট পুরস্কার জিতলেন অ্যান্ড্রু মিলার। সেবাস্তিয়ান ব্যারি, রবার্ট হ্যারিস, আন্দ্রেয়া লেভি, হিলারি ম্যান্টেলের মতো বিশ্বখ্যাত ও জনপ্রিয় লেখকের নামের তালিকায় যুক্ত হলেন মিলারও। মেলরোজে বর্ডারস বুক ফেস্টিভ্যালে এ সম্মানজনক ব্রিটিশ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পান ২৫ হাজার পাউন্ড। স্যার ওয়াল্টারের প্রপৌত্র ম্যাথু ম্যাক্সওয়েল স্কট বিজয়ীকে পুরস্কার তুলে দেন। ৬০ বছরের বেশি সময় ঘিরে প্রতিষ্ঠিত এই ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাসের প্লট। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে দীর্ঘ, তীব্র শীতকালে একটি প্রত্যন্ত ইংরেজ সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকার গল্প ‘দ্য ল্যান্ড ইন উইন্টার’। একই সঙ্গে লেখক কেভিন ব্যারির ‘দ্য হার্ট ইন উইন্টার’, আংঘারাড হ্যাম্পশায়ারের ‘দ্য মেয়ার’, ফ্রান্সেসকা কে-এর ‘দ্য বুক অব ডেজ’, ফেরদিয়া লেননের ‘গ্লোরিয়াস...
    বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় ৩৩/১১ কেভি জিআইএস প্রযুক্তির ১০টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র (সাবস্টেশন) নির্মাণে ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, টার্নকি ভিত্তিতে ৫টি ৩৩/১১ কেভি  উপন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইন্সস্টলেশন , টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতির জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি খেকে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ঢাকাম প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ...
    ৩০ জুন জন্ম নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁর পরিচয় বহুমাত্রিক—তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক চিন্তক। আহমদ ছফাকে শুধু ‘প্রাবন্ধিক’ বললে তাঁর গভীরতা, ব্যাপ্তি ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। তিনি ছিলেন সেই দুর্লভ বাঙালি, যিনি এক হাতে বই লিখতেন আর অন্য হাতে দেশের বিবেক জাগিয়ে তুলতেন।ছফার লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যুক্তিনির্ভরতা ও বুদ্ধিবৃত্তির স্বাধীনতা। তিনি ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এবং অন্ধ আনুগত্যের বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা সচেতন। তাঁর মতে, জাতিকে যদি জাগ্রত করতে হয়, তবে আগে জাগাতে হবে চিন্তার স্বাধীনতা। একটি সমাজ তখনই বিকশিত হয়, যখন সেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকে, মতভেদকে সম্মান করা হয় এবং বিতর্ককে অগ্রগতি হিসেবে দেখা হয়। সুতরাং ছফার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন একটি যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তার পরিবেশ। পাঠ্যক্রমে মুক্তচিন্তা, যুক্তি...
    ‘দেখা’ ক্রিয়াপদটার আলোচনায় ফিরে গেলে: এক অর্থে দক্ষিণ এশীয় ভাষায় ‘বাংলা সাহিত্য দেখা’ বলতে বোঝাতে পারে সেই সাহিত্যের দর্শনলাভ করা, অর্থাৎ কারও ওপর দর্শন লাভের সহজাত উপকার কিংবা আনুকূল্য বর্ষিত হতে দেওয়া। আমাদের যাঁরা বাংলা সাহিত্য পড়েন, সে হিসেবে বলা যায়, তাঁরা সেটির দর্শন লাভ করছেন। যা-ই হোক, ‘দেখা’ বলতে নিশ্চিত করে ‘দর্শনলাভ’ বোঝায় না। ইংরেজি ভাষ্যে ‘to view as’ কিংবা ‘to view in a positive light’ অথবা ‘to view with a jaundiced eye’ বলতে সাধারণ অর্থে বোঝায় ‘বিশেষ দৃষ্টিতে’ কিংবা ‘ইতিবাচকভাবে’ অথবা ‘অস্পষ্ট দৃষ্টিতে দেখা’। অথচ ‘দর্শনলাভ করা’ বললে দৃষ্ট বিষয় তার অখণ্ডতা ধরে রাখে, অন্যদিকে দ্রষ্টার মধ্যে ঘটে পরিবর্তন (লাভবান হয়)। কারও ‘দৃষ্টিতে’ বললে হয় তার উল্টোটা। শেষোক্ত ক্ষেত্রে দৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে নিজের সৃষ্ট মত অনুযায়ী ব্যাখ্যা দেন...
    জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঋণের বোঝা, শোষণ ও করপোরেট লুটপাটের এক নয়া উপনিবেশিক ব্যবস্থা। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। ঋণ নয়, অধিকার চাই।  আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ ২৪টি সংগঠন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।  দাবিগুলো হলো-উন্নয়নের নামে ঋণ নির্ভরতার অবসান করা, দক্ষিণের দেশগুলোর ঋণ বাতিল করা, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ, এডিবি’র শর্তযুক্ত ঋণ বন্ধ করা, জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা,  জনগণের সেবায় রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা, কর ন্যায্যতা নিশ্চিত করা ও সম্পদের কর আরোপ করা ও বহুজাতিক করপোরেশনের কর ফাঁকি ও সম্পদ পাচার রোধ করা। কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের মোস্তফা আনোয়ার, জাহেদ ইকবাল খান, ফয়েজ হোসেন, লাভলি ইয়াসমিন প্রমুখ।...
    জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ শুক্রবার ২৭ জুন উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘আর কত দিন’ ও ‘অগ্নি শ্রাবণ’। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘আর কত দিন’ নাটকটির মঞ্চায়ন  হবে।  কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান-এর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আর কত দিন’ অবলম্বনে ‘অন্তর্যাত্রা’র নতুন প্রযোজনা ‘আর কত দিন’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন খন্দকার রাকিবুল হক। একাডেমি সূত্র জানায়, বাঙালি কালে কালে অত্যাচারী শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু ইতিহাস বলে সে লড়াই কখনও শেষ হয়নি। তাই বারবার মনে প্রশ্ন জাগে- আর কত দিন? প্রযোজনা সম্পর্কে নির্দেশক খন্দকার রাকিবুল হক বলেন, জহির রায়হান রচিত ‘আর কত দিন’ অভিব্যক্তিবাদী রচনা। মঞ্চ প্রয়োগ ভাবনা দুরূহ এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিপ্লব ও বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের...
    অফট্রাকের সিনেমাতে প্রসেনজিৎ এবং শ্রাবন্তী দুইজনই আগে কাজ করেছেন এবার যুক্ত হলো দর্শনা বণিকের নাম। এই ত্রয়ীকে দেখা যাবে ‘দেবী চৌধুরানি’ সিনেমাতে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘দেবী চৌধুরানি’ এর আগে ছোট পর্দা ও বড় পর্দা দুই মাধ্যমেই এসেছে। এবার নতুন করে  বড় পর্দায় আনছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। সিনেমাটির শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, ২৬ জুন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তারই জন্মভিটায় সিনেমার প্রচারণা শুরু করে ‘দেবী চৌধুরানি’ টিম।  আরো পড়ুন: আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল: কাজল শ্রাবন্তীকে নিয়ে সিনেমা বানাতে চান প্রাক্তন স্বামী রাজীব, যা বলেছেন শ্রাবন্তী ‘দেবী চৌধুরানি’ উপন্যাস অবলম্বনে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনাদের নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র।  এই সিনেমাতে ভবানী পাঠক চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ...
    ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। পরে সেই শ্রাবন্তী হয়ে ওঠেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। ২০২৩ সালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিতে শ্রাবন্তী হন প্রসেনজিতের নায়িকা। আবারও ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী। যদিও এখানে তারা ঠিক নায়ক-নায়িকা নন। এই ছবিতে ‘ভবানী পাঠক’-এর ভূমিকায় দেখা যাবে বুম্বাদাকে। আর শ্রাবন্তী হচ্ছেন ‘দেবী চৌধুরানী’। এই সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসের অবলম্বনে। আজ সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ চমক দিলেন ‘দেবী চৌধুরানী’র কলাকুশলীরা। বিশেষ এই দিনে নৈহাটি কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্রের বাসভবনে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়রা। পরে সংবাদ সম্মেলনে অভিনেতা প্রসেনজিৎ জানালেন, ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমাটি ২০২৫ সালে...
    কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে আরও একবার নতুনভাবে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি নিজে থেকে দল ছাড়বেন, নাকি দল তাঁকে বহিষ্কার করবে, আলোচনার কেন্দ্রে এ দুই সম্ভাবনা। এ বিতর্ক কেরালার এই বিদগ্ধ সংসদ সদস্য নিজেই আবাহন করেছেন।কেরালার নিলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থীকে হারিয়ে কংগ্রেসের জয়ী হওয়ার দিনেই সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুতে শশী থারুর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই নিবন্ধে তিনি লেখেন, ‘উদ্যম, সক্রিয়তা ও কোনো বিষয়ে সবার সঙ্গে জড়িত থাকার ইচ্ছা—প্রধানমন্ত্রীর এই তিন গুণ বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের মূল সম্পদ। তাই তিনি আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’পেহেলগাম–কাণ্ডের পর অপারেশন সিঁদুরের প্রয়োজনীয়তা ও সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের চরিত্র বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধদল পাঠিয়েছিলেন। একটি দলের নেতা করা হয়েছিল কেরালার তিরুবনন্তপুরম থেকে...
    ২৫ জুন ১৯০৩, ব্রিটিশ ভারতের মোতিহারিতে জন্ম নেন এরিক আর্থার ব্লেয়ার—যিনি পরে বিশ্ববাসীর কাছে চিরপরিচিত হয়ে ওঠেন জর্জ অরওয়েল নামে। সাহসিকতা, স্বচ্ছতা ও নৈতিক দায়বদ্ধতার যে সাহিত্যিক উত্তরাধিকার তিনি রেখে গেছেন, তাঁর ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই সত্যান্বেষী কলমসৈনিককে।অরওয়েলের শিক্ষা শুরু হয় ইংল্যান্ডের অভিজাত বিদ্যাপীঠে, কিন্তু কর্মজীবন শুরু হয় ব্রিটিশ উপনিবেশ বার্মায় একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে। সেখানেই তিনি প্রথম সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন সাম্রাজ্যবাদের নির্মম রূপ—ক্ষমতার নির্দয় প্রয়োগ, মানুষের অসম্মান আর শোষণের বিভীষিকা তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং একজন লেখক হিসেবে তাঁকে ঠেলে দেয় আত্মজিজ্ঞাসার পথে। এরপর স্পেনের গৃহযুদ্ধে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেন। সেখানে যুদ্ধের ময়দানে তিনি বুঝে যান, সত্য কেবল বন্দুকের মুখে হারায় না—হারায় প্রচারের ভাষায়, বিকৃত তথ্য আর বিভ্রান্তির কুয়াশায়।১৯৪৫ সালে প্রকাশিত ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ ছিল তাঁর সাহিত্যিক...
    দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর পাঞ্জাব ও গুজরাটে ঘুরে দাঁড়াল আম আদমি পার্টি (আপ)। ভারতের চার রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তারা দুটি আসন জিতল বিজেপি ও কংগ্রেসকে হারিয়ে। গুজরাটের বিষবদার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে তাদের জয় যতটা কৃতিত্বের, ততটাই কৃতিত্বের পাঞ্জাবের লুধিয়ানা আসনটি ধরে রাখা।মাত্র কয়েক মাস আগে বিজেপির কাছে দিল্লির ক্ষমতা হারানো এবং একের পর এক দুর্নীতির মামলায় জেরবার আপকে হতোদ্যম মনে করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু গুজরাট ও পাঞ্জাবের দুটি আসন জয় সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করল। ওই দুই কেন্দ্রই অবশ্য আপের দখলে ছিল।গুজরাটে আপের মূল প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপি। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের শরিক থাকলেও দিল্লি, গুজরাট ও পাঞ্জাবে তারা আলাদা...
    ইসরায়েলের ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্তকে কোনো যুক্তি দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় না। এই আক্রমণ ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের সামরিক নীতির সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক। এত দিন ধরে ইসরায়েলের সামরিক নীতির লক্ষ্য ছিল, স্বল্পকালীন, নিষ্পত্তিমূলক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সুস্পষ্ট কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা। ইসরায়েলের এই সামরিক নীতির পেছনে কাজ করেছে দেশটির ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও জনমিতিক নাজুকতা।এখন আমরা দেখছি যে ইসরায়েল তার আগের নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। কৌশলগত বাস্তবতাকে পরিত্যাগ করে ইসরায়েল এখন একটি ধর্মচালিত যুদ্ধের পথে হাঁটছে, যে যুদ্ধের কোনো শেষ নেই।এই পরিবর্তন অত্যন্ত স্পষ্ট। পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট উপনিবেশবাদী প্রকল্প থেকে ইসরায়েল এখন ধর্মীয় ত্রাতাবাদী উপনিবেশিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথ খুঁজছে। আর এই প্রকল্পের অস্তিত্ব নির্ভর করছে চিরস্থায়ী যুদ্ধের ওপর। যুদ্ধের যুক্তিতে ক্রমবর্ধমানভাবে ধর্মীয় ভাষার ব্যবহার এবং সৃষ্টিকর্তাকে পক্ষ হিসেবে বারবার টেনে আনা, সেই কাঠামোগত...
    আমরা আর তরুণ নই। ঝড়ের বেগে পৃথিবীকে দখল করতে চাই না আর। পালাচ্ছি আমরা। পালাচ্ছি নিজেদের কাছ থেকে, নিজেদের জীবনের কাছ থেকে। বয়স ছিল আঠারো, ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম জীবন ও পৃথিবীকে, তারপরও সেই জীবন ও পৃথিবীকেই গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিতে হলো আমাদের।—অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট১৯৩০ সালের ৫ ডিসেম্বর। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এক হলিউডি চলচ্চিত্র দেখার জন্য বার্লিনের মোজার্ট হলে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য দর্শক। কিন্তু ছবি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাৎসি পার্টির সমর্থক দেড় শ তরুণ এসে ঢুকল হলে, তাদের নেতৃত্বে জোসেফ গোয়েবলস, ৩৩ বছর বয়সী উগ্রবাদী এক হিটলার সমর্থক। ইহুদিবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে হলের ভেতর দুর্গন্ধ ছড়ানো স্টিংক বোমা নিক্ষেপ করল তারা, শুঁকলেই হাঁচি আসে এমন পাউডার ছড়াল, সিনেমা হলে ছেড়ে দিল সাদা ইঁদুর। রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাধল প্রেক্ষাগৃহের...
    নির্জন দুপুর পেরিয়ে বৃষ্টিস্নাত বিকেলে চন্দ্রিমা উদ্যানে জমে উঠেছিল তারুণ্যের এক অনন্য মিলনমেলা। নগরের ব্যস্ততার বাইরে সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে, বকুল গাছের তলায় বসেছিল তরুণ লেখকদের বৈঠক। শুক্রবার (২০ জুন) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম (বিটিসিএলএফ) এর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ঢাকাস্থ সদস্যদের ‘ইছামতী টিম’ আয়োজন করে এই দ্বি-মাসিক সাহিত্য আড্ডার। সাহিত্য আড্ডায় অংশ নেন সংগঠনের নিয়মিত সদস্য ও আমন্ত্রিত তরুণ লেখকরা। আড্ডার শুরুতে পরিচয়পর্ব এবং লেখালেখি সংক্রান্ত আপডেট বিনিময়ের মধ্য দিয়ে জমে ওঠে আলোচনা। আরো পড়ুন: ‘পার’ এর সাহিত্য আলোচনা-‘বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি; শিল্পী, লেখকদের ‘একবার নারী হন, হে প্রভু’ এরপর শাখার উপদেষ্টা লাইজু আক্তার ‘কেন লেখালেখি করব’ শীর্ষক একটি প্রাঞ্জল, অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা উপস্থাপন করেন, যা তরুণদের ভাবনায় জাগায় নতুন ঢেউ। আড্ডায় জাপানি কথাসাহিত্যিক হারুকি...
    সাতাশি বছর বয়সে আফ্রিকার বিশিষ্ট লেখক এবং নয়া-উপনিবেশবিরোধী চিন্তাবিদ নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো ২৮ মে পরলোকগমন করেছেন। পরিণত বয়সের এই মৃত্যুতে আক্ষেপের কিছু নেই। বরং সন্তুষ্টির কারণ রয়েছে যে একজন মানুষ হিসেবে তিনি পরিপূর্ণ একটি জীবন যাপন করে গেছেন। তিনি মূলত একজন লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হলেও কিন্তু নানা কর্মকাণ্ডে জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলেছিলেন।  নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো প্রসঙ্গে প্রথম কথা সম্ভবত এই যে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এ সূত্রে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। তাঁর বাসার সামনে কয়েক ডজন সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয়েছেন। তারা জেনে গেছেন ওই বছর সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা যাদের খুব বেশি, নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো তাদের মধ্য অগ্রগণ্য। সুইডেনের নোবেল একাডেমির‌ স্থায়ী সচিব পিটার এঙ্গলুন্ড বিকাল পৌনে ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে...
    ষাটের দশকে নেদারল্যান্ডসের এক অপ্রত্যাশিত প্রেমের গল্প নিয়ে ইয়েল ভ্যানডার উওডেন লিখেছেন মাস্টারফুল রোমান্স উপন্যাস ‘দ্য সেফকিপ’। রোমান্টিক এবং পারিবারিক গল্পে সাজানো উপন্যাসটি জিতে নিল এবারের ‘উইমেন প্রাইজ ফর ফিকশন’। গত বছর বুকার পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল আলোচিত উপন্যাসটি।  বিচারকরা বইটিকে ‘একটি আশ্চর্যজনক আত্মপ্রকাশ; ইতিহাস, সাসপেন্স এবং ঐতিহাসিক সত্যতার একটি দুর্দান্ত সংমিশ্রণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ১২ জুন লন্ডনে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০তম উইমেন্স প্রাইজ ফর ফিকশন বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী ডাচ এই লেখক পেয়েছেন ৩০ হাজার পাউন্ড। অর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি বিজয়ীকে দেওয়া হয় শিল্পী গ্রিজেল নিভেনের তৈরি ‘বেসি’ নামে একটি ব্রোঞ্জের আবক্ষ মূর্তিও। উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ডাচ ইহুদিদের প্রতি কী রকম আচরণ করা হতো তার বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়া...
    বাংলা ভাষার জনপ্রিয় সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় মারা গেলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রফুল্ল রায়। তবে গত কয়েক মাসে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠলে তাঁকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।স্বাধীনতাপূর্ব অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় ১৯৩৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম প্রফুল্ল রায়ের। ঢাকায় কেটেছে শৈশব। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে চলে আসেন ভারতে। দেশভাগের যন্ত্রণা, উদ্বাস্তুদের কথা তাঁর লেখায় মূর্ত হয়ে উঠেছিল। দেশভাগ থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম, সাক্ষী থেকেছেন অনেক ঘটনার। লেখায় সেসব প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বারবার ফুটে উঠেছে।‘কেয়াপাতার নৌকো’র স্রষ্টা প্রফুল্ল রায়ের বাংলা সাহিত্যে অবদান অনস্বীকার্য। ‘কেয়াপাতার নৌকো’ ছাড়াও ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘নোনা...
    জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।যে ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, খায়েরের স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাতবর, কালামের স্ত্রী কনিকা আফরোজ, কালামের ছেলে মোহাম্মদ বাশার ও সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ুন কবির ও তানভীর নিজাম।দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়েরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি বিধিবিধান ও শেয়ারবাজারের আইন লঙ্ঘন করে...
    ১. ‘দিবসহী বহুড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই’ পদটি—ক. শবরপা-২৮ নম্বরখ. কুক্কুরীপা-২ নম্বরগ. ঢেগুণপা-৩৩ নম্বরঘ. ভুসুকুপা-২৩ নম্বর২. কে প্রাচীনযুগের কবি নন?ক. মহীধরপাখ. কম্বলাম্বরপাগ. কঙ্কপাঘ. আর্যদেবপা৩. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদে পদসংখ্যা কত?ক. ৪৬খ. ৫০গ. ৫১ঘ. ২৫৪. চর্যাপদের ২৩ নম্বর খণ্ডিত পদে কয়টি পদ পাওয়া যায়নি?ক. ৪টিখ. ২টিগ. ৩টিঘ. ৫টি৫. ‘বিদ্যাসুন্দর’ কোন মঙ্গলকাব্যের চরিত্র?ক. ধর্মমঙ্গলখ. অন্নদামঙ্গলগ. চণ্ডীমঙ্গলঘ. মনসামঙ্গল৬. মনসামঙ্গলের (সুস্পষ্ট সাল–তারিখসহ) প্রথম রচয়িতা কে?ক. বিপ্রদাস পিপিলাইখ. বিজয় গুপ্তগ. কানা হরিদত্তঘ. মুরারী শীল৭. ‘ঈষত হাসির তরঙ্গ-হিল্লোলে, মদন মুরুছা পায়’–এর রচয়িতা কে?ক. বিদ্যাপতিখ. গোবিন্দদাসগ. মুকুন্দদাসঘ. কানাহরি দত্ত৮. ‘আমীর হামজা’ কাব্যের রচয়িতা কে?ক. গোপী নাথখ. শেখ ফয়জুল্লাহগ. ফকির গরীবুল্লাহঘ. সাবিরিদ খান৯. বাংলাদেশের সংগৃহীত গীতিকা সাধারণত কয় ধরনের?ক. ৪খ. ২গ. ৩ঘ. ৬১০. কবি আলাওল কোন শতকের কবি?ক. সপ্তদশখ. অষ্টদশগ. ষোড়শঘ. পঞ্চদশ১১. ‘নন্দকিশোর’ চরিত্রটি...
    গুপ্তচরবৃত্তি এমন এক পেশা- যে পেশার মানুষ ছদ্মবেশ ধারণ করেন। কখনও কখনও প্রতারণার আশ্রয় নেন। আবার কোনো কোনো গুপ্তচর কাজের প্রয়োজনে নিজের ধর্ম পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলেন। ইউরোপীয় এক গুপ্তচর মক্কায় ঢুকে প্রয়োজনীয় তথ্য তার দেশে পাঠানোর জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এবং ইসলাম সম্পর্কে বিস্তর পড়াশোনা করেছিলেন। এই গুপ্তচরের নাম ক্রিশ্চিয়ান সনুক হারখ্রোনয়ে। ১৮৮৪ সালের ২৮শে আগস্ট সনুক জেদ্দায় পৌঁছান। তার দায়িত্ব ছিলো মক্কা সফরে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ার আচেহ অঞ্চলের যাত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। কারণ ইন্দোনেশিয়া ছিল ডাচদের সবচেয়ে বড় উপনিবেশ। আর সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের মাঝে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ডাচ উপনিবেশ। ডাচরা তাদের উপনিবেশ বিস্তারে বাণিজ্য ও সমুদ্রপথকে সব সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতো। সেই সময় ডাচ সরকার একটা আশঙ্কায় ভুগছিল। তাদের...
    সম্প্রতি ২০২৫ সালের পুলিৎজার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই সাংবাদিকতার বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সাহিত্যেরও কয়েকটি শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকজন সাহিত্যিক। কথাসাহিত্য, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ও জীবনীগ্রন্থের জন্য পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ লেখক-সাহিত্যকরা। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক কথাসাহিত্যিক পার্সিভাল এভারেটের উপন্যাস ‘জেমস’ পেয়েছেন কথাসাহিত্যের পুলিৎজার। ২০২৪ সালে প্রকাশ করা এই উপন্যাস মূলত সাজানো হয়েছে মার্ক টোয়েনের ‘দি অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন’–এর ওপর। হাকলবেরির বন্ধু পালিয়ে আসা ক্রীতদাস জিমের দৃষ্টিভঙ্গিতে বয়ান করা হয়েছে এ উপন্যাসের মূল গল্প। নাটকে পুরস্কার পেয়েছেন ব্রান্ডন জ্যাকবস জেনকিন্স। তাঁর নাটকের নাম ‘পারপাজ’। ২০২৩-২৪ সালে শিকাগোর স্টেপেনউলফ থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয় ‘পারপাজ’। মূলত কাল্পনিক শিকাগোভিত্তিক আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ জেসপার পরিবারকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। কবিতায় পুলিৎজার পেয়েছেন মেরি হো। তাঁর কবিতার বইয়ের নাম...
    পুরো মঞ্চজুড়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা। যুদ্ধের পোশাক পরা অস্ত্র হাতে সৈনিকদের যুদ্ধমহড়া। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে নাটক ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। এরিখ মারিয়া রেমার্কের কালজয়ী উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছেন রুনা কাঞ্চন, আর নির্দেশক বাকার বকুল। নাটক প্রযোজনা করেছে তাড়ুয়া। আমরা একটি যুদ্ধবিরোধী পৃথিবী চেয়েছিলাম। হানাহানিমুক্ত দেশ চেয়েছিলাম। আমাদের চাওয়াকে অবজ্ঞা করেছেন বিশ্বনেতারা। তারা দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখেছেন। ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, চীন, ভারত, উত্তর আমেরিকা মিলে বিশাল ভূখ- নিয়ে পৃথিবীতে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে এরিখ মারিয়া রেমার্ক লিখলেন উপন্যাস ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। উপন্যাসের বর্ণনা থেকে যুদ্ধের সেই নির্মমতা, ভয়াবহতা আর বীভৎসতা অত্যন্ত নিপুণভাবে উঠে এসেছে এই নাটকে। যেখানে সৈনিকরা নিজেরা নিজেদের প্রশ্ন করে, যুদ্ধটা আসলে কেন বাঁধে, কারা বাঁধিয়ে রাখে!...
    ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, গোয়েন্দা থ্রিলার লেখক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ফ্রেডেরিক ফোরসাইথের মুখপাত্র জনাথন লয়েড এর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও দ্য গর্ডিয়ান জানায়, ফোরসাইথ সোমবার (৯ জুন) বাকিংহামশায়ারের জর্ডানস গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান। জনাথন লয়েড বলেন, “আমরা বিশ্বের সেরা থ্রিলার লেখকদের একজনকে হারালাম। ‘দ্য ওডেসা ফাইল’ এবং ‘দ্য ডগস অব ওয়ার’-এর মতো ২৫টিরও বেশি বই (যার অধিকাংশ বই থ্রিলার) লিখেছেন তিনি, যা বিশ্বজুড়ে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে।” আরো পড়ুন: আসছে অরুন্ধতী রায়ের নতুন বই ‘মাদার মেরি কামস টু মি’ নোবেলজয়ী লেখক হান ক্যাং এর সাহিত্য নিয়ে কালির বৈঠক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ সর্বাধিক বিক্রিত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। ফোরসাইথ একসময় সংবাদ প্রতিবেদক এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ...
    সর্বাধিক বিক্রীত ব্রিটিশ উপন্যাসের রচয়িতা ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি প্রায় ২০টি গোয়েন্দা থ্রিলারের লেখক। ফোরসাইথ একসময় সংবাদ প্রতিবেদক এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। পরে তিনি ‘দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল’-এর মতো বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেন। মুখপাত্র জনাথন লয়েড জানান, ফোরসাইথ গতকাল সোমবার বাকিংহামশায়ারের জর্ডানস গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। লয়েড বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা থ্রিলার লেখকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ঋণমুক্ত হওয়ার জন্য উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন ফোরসাইথ। তখন তাঁর বয়স ছিল সবে ত্রিশের কোঠায়। পরে তাঁর লেখা বইয়ের ৭ কোটি ৫০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়।২০১৫ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীতে ফোরসাইথ লিখেছিলেন, ‘দ্রুত অর্থ উপার্জনের অনেক উপায় আছে, কিন্তু সাধারণ তালিকায় উপন্যাস লেখার অবস্থান ব্যাংক ডাকাতির চেয়েও নিচে।’ফোরসাইথ মাত্র ৩৫...
    ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ফ্রেডারিক ফর্সাইথের দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল উপন্যাসটি শুরু হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গলকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কাহিনি দিয়ে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা ‘পিয়ে-নোয়া’ (পিয়ে অর্থ কালো, নোয়া অর্থ পা) নামে পরিচিত। আলজেরিয়া যখন ফ্রান্সের উপনিবেশ, তখন দেশটিতে জন্ম নেওয়া ফরাসিদের এই নামে ডাকা হতো।পিয়ে-নোয়ারা চাইতেন না, শার্ল দ্য গল আলজেরিয়া ছেড়ে যাক। তাঁরা এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করতেন। সাবেক উপনিবেশে থাকতে না পেরে তাঁরা হতাশ, হীনবল ও চরম সহিংস হয়ে ফ্রান্সে ফেরত এসেছিলেন। পিয়ে-নোয়ারা নিজেদের ফরাসিদের চেয়ে বেশি ফরাসি বলে ভাবতেন।এই উপন্যাসের আকর্ষণীয় জায়গা হলো, বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গে কাহিনির মিল আছে। ষাটের দশকে দ্য গলকে অন্তত ছয়বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন ফরাসি রেভানচিস্টরা (হারানো দেশ ফিরে পেতে আগ্রহী জাতীয়তাবাদী)।...
    নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো নাচতে ভালোবাসতেন। সবকিছুর চেয়ে, এমনকি লেখালেখির চেয়ে তিনি নাচ বেশি পছন্দ করতেন।আশির কোঠায় তাঁর বয়স পৌঁছালে কিডনিজনিত অসুখে তাঁর শরীর যখন শ্লথ হয়ে যায়, তখনো তিনি নিছক গান শুনলেই উঠে দাঁলেড়িয়ে নাচতে শুরু করতেন। ছন্দ তাঁর পায়ে যেভাবে খেলত, শব্দও তেমনি হাতে খেলত, আর তা কাগজে লিখে চলত। নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোকে আমি মনে রাখব একজন নাচের মানুষ হিসেবে। গত ২৮ মে ৮৭ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন অনন্তলোকে।নগুগি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তাঁর মহান সাহিত্য–ঐতিহ্য দিয়ে। তাঁর সাহিত্য ছিল উদ্ভাবনী শৈলীতে অভিনব আর মৌলিক সমালোচনায় ঋদ্ধ। তাঁর এই সাহিত্য–ঐতিহ্য আমাদের আনন্দের সঙ্গে উৎসাহিত করে আরও ভালো কিছু করার জন্য, আরও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আমাদের সমাজগুলোর ভিত গড়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক কাঠামোর বিরুদ্ধে আমরা যাঁরা লেখক, কর্মী,...
    একজন প্রেসিডেন্টের স্বামীকে যখন হত্যা মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে হয়, তখন কী কী ঘটে? সদ্য প্রকাশিত রোমাঞ্চকর উপন্যাস ‘দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’–এ সে গল্পই উঠে এসেছে।উপন্যাসটির দুই লেখক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় থাকা একাধিক বইয়ের লেখক জেমস প্যাটারসন।ক্লিনটন ও প্যাটারসন দুজন উপন্যাসটি নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন, কথা বলেছেন বাস্তব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও কল্পনার মিশেলে লেখা উপন্যাসটির নানা বিষয় নিয়ে।তবে ‘দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’ কেবল একটি আদালতকেন্দ্রিক নাটকীয় উপন্যাস নয়, বরং এটি সম্ভবত ইতিহাসের প্রথম রোমাঞ্চকর উপন্যাস, যার মূল কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ও ব্যয়ের ওপর একটি বৃহৎ রাজনৈতিক বিতর্ক।‘দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’ এমন একটি উপন্যাস, যা কেবল বিল ক্লিনটন ও জেমস প্যাটারসনের মতো অভিজ্ঞ ও প্রভাবশালী জুটিই লিখতে পারেন।এর আগে ২০১৮ সালে এই জুটির লেখা ‘দ্য...
    আপনি কোনো ভবনের দিকে তাকালে তার দেয়াল, জানালা আর সাজসজ্জা দেখতে পান। কিন্তু যে গোপন কাঠামো সবকিছু ধরে রেখেছে, তা দেখা যায় না। তবে ভূমিকম্পের সময় বা দীর্ঘদিনের চাপের পর হঠাৎ করেই সেই অদৃশ্য কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে।ঠিক এ রকমই অবস্থা অনেক উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, সেগুলো বাইরে থেকে শক্ত মনে হলেও ভেতরে খুবই ভঙ্গুর।১৬৫১ সালে ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধের সহিংসতায় প্রভাবিত হয়ে দার্শনিক টমাস হবস বলেছিলেন, সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হলে এক ‘লিভায়াথান’ দরকার। অর্থাৎ এমন একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র দরকার, যা বিশৃঙ্খলা দমন করে সুশাসন কায়েম করতে পারবে। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি শক্তিশালী সরকার না থাকে, তবে মানুষের জীবন হবে ‘একাকী, দরিদ্র, কদর্য, হিংস্র ও সংক্ষিপ্ত’।কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে, শুধু লিভায়াথানের প্রয়োজন আছে...
    গগনবিদারী চিৎকারে ভারী হয়ে আসে চারপাশ। সিন নদীর তীরে উত্তর ফ্রান্সের এক লোকালয়ে উঁচু পিলারে বেঁধে আগুনে পোড়ানো হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ, তিনি ডাইনি। শুধু একবার পুড়িয়েই ক্ষান্ত হয়নি। পরপর তিনবার পোড়ানো হয়। অবশেষে ছাই হয়ে গেল তাঁর পুরো শরীর। সেই ছাই ফেলে দেওয়া হলো ফ্রান্সের সিন নদীতে। তিনি আর কেউ নন, ফ্রান্সের বীর নারী জোয়ান অফ আর্ক।এই নারী স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর জন্মগ্রামের এক নদীতীরে বসে। ফ্রান্সের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর নারী জোয়ান অফ আর্ককে ১৪৩১ সালে এদিনে (৩০ মে) মাত্র ১৯ বছর বয়সে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। ইংল্যান্ডের মানুষেরা উল্লাস করেছিল। আর ফরাসিদের হৃদয়ে হাহাকার। আর তাঁর সেই গোপন প্রেমিক তখন কী করছিল?তাঁকে পুড়িয়ে মারার কারণ, তিনি ‘ডাইনি’। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। প্রায় ৭০টির মতো। তিনি অল্প বয়সে মদ্যপান...
    নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো শুধু লেখকই নন, বিপ্লবীও। নিজের লেখায় গেঁথেছেন অন্তর্লীন দ্বন্দ্ব ও সংগ্রামী চেতনা। তাঁর সাহিত্যিক পরিচয় শুধু ঔপন্যাসিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি একাধারে নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সমালোচক, সমাজ-রাজনৈতিক কর্মী এবং জাতীয়তাবাদী ও বিপ্লবী চেতনার ধারক। এই ভিন্ন ভিন্ন দিকগুলো একত্র হয়ে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও কাজের মধ্যে উপনিবেশ–উত্তর ভাষারাজনীতি ও সাহিত্যিক প্রতিরোধের হাতিয়ার নির্মাণ করেছে। বন্দিজীবনে নৃশংসতার শিকার, আত্ম-পরিচয়ের সংকট, শোষণ ও শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্ন কিংবা নব্য-উদারনীতির প্রভাব—এসব রাজনৈতিক বিষয়কে নগুগি তাঁর উপন্যাস, প্রবন্ধ ও তত্ত্বে হাজির করেছেন বৈপ্লবিক কণ্ঠে। তাঁর সাহিত্যের ভাষা প্রাণ পেয়েছে দ্বন্দ্ব তাত্ত্বিক চেতনায়। ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে নগুগি বলেন, ‘আমি সংগ্রামের কথা বলি—ডায়ালেকটিক্যাল সংগ্রাম, মার্ক্সের দ্বন্দ্বতত্ত্ব, হেগেলের দ্বন্দ্বতত্ত্ব।’ এই দ্বন্দ্ব তাত্ত্বিক চেতনা শুধু তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নয়, তাঁর সাহিত্যিক কাঠামো, ভাষা নির্বাচন ও চিন্তার পরিসরকেও...
    কেনিয়ার ঔপন্যাসিক-প্রাবন্ধিক-নাট্যকার নগুগি থিয়োঙ্গো ছিলেন তার বাবার তৃতীয় স্ত্রীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। জন্ম ব্রিটিশ শাসিত কেনিয়ার কিয়াম্বু জেলার কামিরীথু গ্রামে। কেনিয়ায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে ১৯৬৩ সালে। বাবা থিয়োঙ্গো ওয়া নডুকু ছিলেন কৃষক, যিনি ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ ইম্পিরিয়াল এ্যাক্ট চালু হবার পর মেষপালক হতে বাধ্য হয়েছিলেন।  ১৯৬৩ সালে উগান্ডার কাম্পালার মাকিরিরি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে বিএ পাস করার পর নগুগি স্বল্প সময়ের জন্য নাইরোবিতে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তার আগে ১৯৬১ সালে তিনি বিয়ে করেন। পরের বছর তার নাটক The Black Hermit কাম্পালায় মঞ্চস্থ হয়। এর দু’বছর পর তিনি ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঔপন্যাসিক হিসেবে নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর অভিষেক হয় ১৯৬৪ সালে Weep Not, Child উপন্যাসের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডে প্রকাশিত কোনো পূর্ব-আফ্রিকানের লেখা এটাই প্রথম উপন্যাস।...
    আজ ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের এই দিনে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চক্রান্তকারী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন।প্রতিবছর এই দিন বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক নতুন বার্তা, এক নতুন অর্থ বহন করে আনে। জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম থেকে এই দিনে বাংলাদেশের বিপর্যয়কবলিত জনগণ নবতর শিক্ষা গ্রহণ করে। আমার মতে, ছয় বছরের কম সময়ের শাসনকালে জিয়ার সবচেয়ে বড় কীর্তি হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি। এটি ছিল একটি বিশাল কর্ম, যদিও তা সম্পাদনের জন্য জিয়া খুব কম সময়ই পেয়েছিলেন।জিয়া যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছিলেন, তা আজও অম্লান। উপনিবেশোত্তর এশিয়া ও আফ্রিকার রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে আমরা অনেক জাতীয়তাবাদী নেতার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পরিচিত। সুকর্ণ, নাসের, বেনবেল্লা ও নক্রুমা তাঁদের নিজ নিজ দেশের উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে বিশাল সব নাম। তাঁরা অনেকেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায়...
    আবেগঘন পরিবেশে, বন্ধু, স্বজন, সহকর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতির মাধ্যমে মোড়ক উন্মোচন হলো প্রয়াত লেখক অভয় বিশ্বাস রচিত "আড্ডা" উপ্যনাসের। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে ৫ টায় আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের ৫ম তলায় এক্সপ্রেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোড়ক উন্মোচন ও অভয় স্মরন সভা হয়।   সাংস্কৃতিক সংগঠন বটতলার আয়োজনে ও রাকিবুল হাসান জেমস'র সঞ্চালনায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভয় বিশ্বাসের মা রিনা বিশ্বাস, কবি মজিবুল হক কবীর, কবি আরিফ বুলবুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রদীপ ঘোষ বাবু, কবি পলল পরাগ, বিশ্বজিৎ বসাক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগন। এ সময়ে লেখক অভয় বিশ্বাসকে স্মরন করে স্মৃতিচারণকালে এক আবেগ প্রবণ পরিবেশ সৃষ্টি  হয়। এবং প্রয়াত লেখকের উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করতে পরে তার পরিবার,  স্বজন, সহকর্মী ও বন্ধুরা আবেগাপ্লুত হয়ে...
    মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রয়াত লেখক অভয় বিশ্বাস রচিত "আড্ডা" উপ্যনাসের মোড়ক উন্মোচন ও অভয় স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হবে।  এ দিন বিকাল ৫ টায় আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের ৫ম তলায় এক্সপ্রেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠন বটতলার আয়োজনে ও রাকিবুল হাসান জেমস'র সঞ্চালনায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন অভয় বিশ্বাসের মা রিনা বিশ্বাস, কবি মজিবুল হক কবীর, কবি আরিফ বুলবুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রদীপ ঘোষ বাবু, কবি পলল পরাগ বিশ্বজিৎ বসাক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগন। প্রয়াত অভয় বিশ্বাস সংক্ষিপ্ত জীবনী : অভয় বিশ্বাস, জন্ম: ২৭ মে ১৯৮৫, বাংলা ১৩ জৈষ্ঠ ১৯৩২ বঙ্গাব্দ। গ্রাম: বন্দর থানার অর্ন্তগত ১নং ঢাকেশ্বরীতে। ছেলেবেলা তার শীতলক্ষা নদীর পাশে সবুজে ঘেরা ঢাকেশ্বরীতেই কাটে। শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি শুরু হয় ঢাকেশ্বরী মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।...
    আমাদের সবারই জানা, জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ শুধু একটি কাল্পনিক কাহিনি নয়; এটি ইতিহাসের গহিনে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবের বাস্তবতা ও স্বৈরতন্ত্রের গঠন সম্পর্কে একটি গভীর রাজনৈতিক রূপক। ১৯৪৫ সালে যখন বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন এটি বলশেভিক বিপ্লব ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্তালিন যুগের ভীতিকর বাস্তবতার ব্যঙ্গাত্মক চিত্রায়ণ ছিল। আজও এই উপন্যাস পৃথিবীর নানা দেশে রাজনৈতিক বিপ্লব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কাকে বুঝতে এক অমূল্য রোশনাই।বর্তমান বাংলাদেশে যেখানে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও বিভাজনে নিমজ্জিত, সেখানে ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ আমাদের জন্য এক কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় আয়না। এটি স্মরণ করিয়ে দেয়, যেকোনো বিপ্লবের সত্যিকারের সাফল্য আসে আদর্শের প্রতি স্থিরতা ও নৈতিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে। ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থপরতা যদি দমন না করা যায়, তবে নতুন ফ্যাসিবাদের উত্থান অবশ্যম্ভাবী।অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ আমাদের আজও বলে,...
    জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ ২৫ মে (রোববার)। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ) অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। নজরুলকে কেউ বলেন প্রেমের কবি, কেউ বলেন দ্রোহ আর বিদ্রোহের। কারো কাছে মানবতার কবি নজরুল, গান গেয়েছেন সাম্যের। প্রাণের কবি, গানের কবি-এমন নানা নামে ডাকে সাধারণ। গবেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডি নয়, নজরুলের বিস্তৃতি সর্ব পরিসরে। সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে লিখেছেন অসংখ্য গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও গান। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ‌’আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেওয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে রচনা...
    নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা উপন্যাস ‘সুলতানার স্বপ্ন’ আশা বাঁচিয়ে রাখে, স্বপ্ন দেখার শক্তি জোগায়। নারীবাদী চিন্তার সাংস্কৃতিক সংযোগে এই উপন্যাসের বৈশ্বিক গুরুত্বও রয়েছে। যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লিন্ডসে ক্যাথেরিন হোরনার সুলতানার স্বপ্ন সম্পর্কে এভাবেই নিজের ভাবনা তুলে ধরেন।আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক বিশেষ বক্তৃতায় লিন্ডসে হোরনার এসব কথা বলেন। সুলতানার স্বপ্ন (সুলতানা’স ড্রিম) উপন্যাসটি জাতিসংঘের শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভ করায় উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে এ আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।লিন্ডসে হোরনার সুলতানার স্বপ্ন উপন্যাসকে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, পরিবর্তন যে সম্ভব, তা বিশ্বাস করতে সহায়তা করে এই উপন্যাস।লিন্ডসে হোরনার এ উপন্যাসটি দেখেছেন শরণার্থী সুরক্ষা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং মৃত্যুদণ্ডবিরোধিতা ও পুনর্বাসনব্যবস্থার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তিনি বলেন, বেগম...
    বানু মুশতাকের ছোটগল্প সংকলন ‘হার্ট ল্যাম্প’ ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতে নিয়েছে। তিনি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাসিন্দা এবং কন্নড় ভাষার লেখক। হার্ট ল্যাম্প কন্নড় ভাষায় লেখা প্রথম বই, যা বিশ্ব সাহিত্যের দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেল। কন্নড় থেকে বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন দীপা ভাস্তি।বানু মুশতাক একজন ‘গুরুতর অন্তর্দৃষ্টি’ সম্পন্ন নারী হিসেবে পরিচিত। তিনি ধর্মীয় রক্ষণশীলতার বিরোধিতা করেন এবং সামাজিক কাঠামোগত ধারণাগুলো ভাঙছেন। তার সাহিত্যকর্ম প্রান্তিক মানুষের জীবনের গতিপথকে চিহ্নিত করে এবং পাঠকদের দক্ষিণ ভারতের মুসলমান নারীদের সংগ্রাম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। তিনি কর্নাটকের হাসান শহরের বাসিন্দা। একজন নারী হয়ে ‘প্রকাশ্যে উচিত কথা’ বলার জন্য তার নিজের সম্প্রদায়ের অনেকেই তাকে বর্জন করেছে। বানু মুশতাকের বয়স ৭৬ বছর এবং এই বয়সে তিনি সেসব গল্পই লিখতে চান, যেসব গল্প তার...
    ‘একবার নারী হও, হে প্রভু!’ খুব নাটকীয় শোনালেও আসলে এটি একটি গল্পের শিরোনাম। ‘হার্ট ল্যাম্প’ নামের যে গল্প সংকলনের জন্য কন্নড় ভাষার লেখক বানু মুশতাক এ বছর বুকার পুরস্কার পেলেন সেই সংকলনের শেষ গল্প এটি। একজন ভারতীয় মুসলিম নারীর বিবাহিত জীবনের গ্লানি আর বেদনার বয়ান স্বগতোক্তির আকারে লেখা এই গল্পে।বানু মুশতাকের গল্পের বিষয়বস্তু প্রধানত নারীর জীবন, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় গোঁড়ামি আর তার ফলে সৃষ্ট বঞ্চনা আর নিপীড়ন যা প্রতিনিয়ত নারীর মেধা আর সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে–সেসব মান্ধাতার আমলের প্রথার বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন সব সময়। ভারতীয় সমাজে মুসলিম আর নারী হওয়ার অর্থ দুইভাবে প্রান্তিক অবস্থান। ৭৭ বছর বয়সী এই লেখকের সারা জীবনের সংগ্রাম ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে এক নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অত্যন্ত কঠিন। ভারতীয় ম্যাগাজিন দ্য উইকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লেখক জানান তার...
    আমি তখন আমার চতুর্থ ও পঞ্চম উপন্যাস লেখায় ব্যস্ত। লেখার ঘরটা ছিল এক ঘরোয়া জঙ্গল। চারদিকে ধুলা, হাতের লেখায় ভর্তি কাগজের পাহাড় আর থরহরি দুলে ওঠা ফাইলের স্তম্ভ। ২০০১ সালের বসন্তে আমি নতুন উদ্যমে একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করলাম। এর আগে ঘরটিকে নিজের পছন্দমতো নিলাম সাজিয়ে। ছাদ পর্যন্ত বুকশেলফ, আর দুটি লেখার ডেস্ক, কৌণিক বসানো, ওই আমার মনপছন্দ আর কী। ঘরটা আমার আগের ঘরের চেয়েও ছোট ছিল (আমি সবসময় ছোট ঘরে লেখা পছন্দ করি, জানালার বাইরে তাকানোর সুযোগ আমি চাই না। দৃশ্য পেছনে রাখি), ফলে খুশিই ছিলাম। যারা বলতেন, এই তুমি এতো ছোট ঘরে লেখ কী করে? তাদের বলতাম– পুরোনো ট্রেনের আয়েশী নিদ্রামিতা কামরায় বসে লেখার মজা জানো ভাই? শুধু চেয়ার ঘুরিয়ে হাত বাড়ালেই প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। বাম পাশের...
    ‘রেনেসাঁস ও রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থটি প্রবন্ধের। রেনেসাঁসের চেতনা নিয়ে প্রবন্ধ বা সাহিত্য অনেক রচিত হয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রেনেসাঁস-চেতনা ধারণকে ঘিরে কিছু নিবিড় ভাবনা এ গ্রন্থের আলোচ্য।  ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অজিত চক্রবর্তীকে লেখা একটি চিঠিতে রেনেসাঁসের চেতনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার প্রকাশ ঘটে। তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমাদের জন্য একটি মাত্র দেশ আছে– সে হচ্ছে বসুন্ধরা, একটি মাত্র নেশন আছে– সে হচ্ছে মানুষ।’ এখানে মানবসভ্যতার ঐক্যের সম্পর্ক ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন কবি। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পরাধীন দেশের মানুষ। রেনেসাঁসের আলো থেকে তাকে শিখতে হয়েছিল যে, শিক্ষা জনগণ এবং সংগঠন মানবমুক্তির জন্য কতটা জরুরি। এটা তিনি বিশ্বাস করতেন এমন নয়, মনেপ্রাণে ধারণও করতেন। সেই উপলব্ধি কবি প্রকাশ করেছেন। বইটি পাঠ করলে ইউরোপের রেনেসাঁসের রূপ পাওয়া যাবে; একই সঙ্গে ইউরোপের রেনেসাঁসের তুলনায় যে বাংলার রেনেসাঁস...
    ফিলিস্তিনি তরুণ ঔপন্যাসিক ইয়াসমিন জাহের যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলান টমাস পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য কয়েন’-এর জন্য তরুণ লেখক বিভাগে তিনি এই পুরস্কার পান। ১৯১৪ সালে যুক্তরাজ্যের সোয়ানসিতে জন্মগ্রহণকারী লেখক ডিলান টমাসের নামকরণে যাত্রা শুরু হয় এই পুরস্কারের।  ডিলান ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। কবির জীবনকালের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিযোগী লেখকদের জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, তাদের বয়স যেন হয় ৩৯ বছরের মধ্যে। লেখকের জীবন ও কর্মকে সম্মান জানাতে সৃজনশীল তরুণ লেখকদের অনুপ্রেরণা জোগাতে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের অর্থমূল্য ত্রিশ হাজার পাউন্ড। ২০১০ সালে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত লেখকদের উন্মুক্ত পুরস্কারটি মূলত দ্বিবার্ষিকভাবে দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এটি একটি বার্ষিক পুরস্কারে পরিণত হয়। ইয়াসিন জাহের ১৫ মে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। বিচারকদের প্রধান নমিতা গোখেল বলেন,...
    ‘কর্ণাটকের সমাজ বাস্তবতাই আমাকে গড়ে তুলেছে’– বানু মুশতাক আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫ বিজয়ী ‘হার্ট ল্যাম্প’ গ্রন্থের ১২টি গল্পে বানু মুশতাক দক্ষভাবে তুলে ধরেছেন দক্ষিণ ভারতের মুসলিম নারীদের দৈনন্দিন জীবন ও অভিজ্ঞতা। ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কন্নড় ভাষায় প্রকাশিত এই গল্পগুলোতে বাস্তবের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে রসবোধ ছিল প্রশংসিত। পরিবার ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে নারীর দ্বন্দ্বের চিত্র যেমন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তেমনি তা বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল বুকার সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছে। এটি এমন একটি সংগ্রহ, যা বহু বছর পাঠকদের হৃদয়ে থাকবে। বুকার কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন শাহেরীন আরাফাত ১. ‘হার্ট ল্যাম্প’-এর পেছনের অনুপ্রেরণা এবং আমার লেখার ধরন বানু মুশতাক: আমার গল্পগুলো নারীদের সম্পর্কে– কীভাবে ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি তাদের কাছ থেকে প্রশ্নাতীত আজ্ঞাবহতা দাবি করে; আর এভাবে অমানবিক...
    এক দশকের মিডিয়া ক্যারিয়ার। সৌন্দর্য ও মেধার যোগসূত্র হলে যে ভালো কিছু হয়, তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন অনেক আগেই। রূপালি পর্দা ও ওটিটিতে নিজেকে তিনি তুলে ধরেছেন নানা অবয়বে। একটি সিনেমায় করেছেন বাজিমাত। এরপর রচিত হয় শুধুই এগিয়ে চলার গল্প।  বলছি, নাজিফা তুষির কথা। নিজের কাজ নিয়ে বরাবরই প্রচারবিমুখ তিনি। বেশ বিরতির পর নতুন কাজের খবর দিলেন এই অভিনেত্রী। কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে নির্মিত সিনেমা ‘রঙ্গমালা। ওই সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।  ২০২৩-২৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এন রাশেদ চৌধুরী। অষ্টাদশ শতকের নোয়াখালীর এক জমিদার পরিবারের কাহিনি উঠে এসেছে সিনেমায়। এতে রঙ্গমালা চরিত্রে দেখা যাবে তুষিকে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এর প্রথম লটের দৃশ্যধারণ।  নতুন সিনেমা নিয়ে তুষি বলেন, ‘পিরিয়ডিক্যাল কাজের প্রতি আমার এক...
    ১৮৮৫ সালের ২২ মে। এক বিকেলে প্যারিসের ফুটপাত ধরে মলিন পোশাকে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভিক্টর হুগো। কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল না। উদ্দেশ্যহীন হাঁটছিলেন। সে সময় একটি মেয়ে তাকে দেখে দৌড়ে কাছে এসে বলল, কী আশ্চর্য! তোমাকে তো দেখতে একদম ভিক্টর হুগোর মতো লাগছে। আমি তো ভেবেছিলাম কোন কালে মরে গেছেন তিনি। মেয়েটির কথা শুনে ভয়ে কেঁপে উঠলেন হুগো। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এলেন এবং সে রাতেই তার মৃত্যু হয়।ভিক্টর হুগো মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিলেন—যখন আমি কবরে যাই, তখন আমি বলতে পারি, অন্য অনেকের মতো, আমি আমার কাজ শেষ করেছি, কিন্তু আমি বলতে পারি না যে, আমি আমার জীবন শেষ করেছি। আমার দিনের কাজ পরের দিন সকালে শুরু হবে। আমার সমাধি কোনো অন্ধ গলি নয়। এটি একটি রাস্তা। কারণ হুগো নিজেই বলছেন, মনে হচ্ছে,...
    স্যার আর্থার কোনান ডয়েল জগৎ বিখ্যাত কিশোর উপন্যাস ‘পিটার প্যান’ স্রষ্টা জেমস ব্যারির সাথে ক্রিকেট খেলছেন, ‘প্রিজনার অফ জেন্ডা’র লেখক অ্যান্থনি হোপ তার সহ-খেলোয়াড় অথবা ‘দ্যা জঙ্গল বুক’ লেখক রুডিয়ার্ড কিপলিং এবং তিনি ভারমন্টের মাঠে গলফ খেলছেন—এই তথ্য জানলে আমাদের মনে হতেই পারে ডয়েলের পুরো জীবনটাই বোধহয় এমন আনন্দে পূর্ণ ছিল। তিনি ওই সময়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের জন্য নাটক লিখছিলেন—থিওডর রুজভেল্ট, উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে নিয়মিত রাতের খাবার সারেন, প্রিন্স অফ ওয়েলস এক গেলাসের ইয়ার—এসব রূপকথার মতো শোনায়। সবার আগ্রহের কেন্দ্রে আসার আগে যাত্রাপথ কেমন ছিল তার?জেমস রায়ান, ডয়েলের সারা জীবনের বন্ধু তাকে বলতেন, ‘তুমি যে চিঠিতে তারিখ দাও না এজন্য জীবনীকাররা তোমায় অভিম্পাত দেবেন।’ তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন প্রথম জীবনে, খেলোয়াড় হিসেবে নাম করেছিলেন, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার...
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। ১৯৬৮ সালে সেই খ্যাতনামা উপন্যাস প্রকাশিত হয়। তার বছর দুয়েক বাদেই সুনীলের উপন্যাসের আধারে কালজয়ী সিনেমা তৈরি করেন সত্যজিৎ রায়। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে মূল কাহিনি এক রেখে উপন্যাসের চরিত্র এবং তাঁদের পারিপার্শ্বিক সম্পর্কের সমীকরণ নিজের মতো করে সাজিয়ে নেন মাণিকবাবু। পাঁচ দশক পেরলেও সত্যজিতের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ আজও সিনেমার অনন্য এক ব্যাকরণ। এবার সেই ছবিই প্রদর্শিত হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সোমবার কানের স্থানীয় সময় ৪টা ৪৫ মিনিটে সিনেমাটি কান ক্লাসিকে প্রদার্শিত হবে। উৎসবের বুনোইল থিয়েটারে দর্শকরা অগ্রিম টিকিট কেটে দেখতে পারবেন সিনেমাটি।  সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জ, পাহাড়ি সান্যাল, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, কাবেরী বসু, সিমি গারিওয়ালদের মতো দক্ষ অভিনেতারা। জানা গেছে সিনেমাটির স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত থাকবেন শর্মিলা ঠাকুর। ভারতীয় ফিল্ম...
    সাহিত্যিক মাহবুব–উল আলম (১৮৯৮-১৯৮১) বহুদিন ধরেই ইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছেন, যদিও তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য অন্তত আত্মজৈবনিক উপন্যাস মোমেনের জবানবন্দী (১৯৪৬), উপন্যাসিকা (অনেকের বিচারে বড় গল্প) মফিজন (১৯৪৬), স্মৃতিকথা পল্টনজীবনের স্মৃতি (১৯৪০) এবং কয়েকটি ছোটগল্প বহু সমালোচকের মতে কালোত্তীর্ণ রচনা। ইদানীং তাঁর বই দুষ্প্রাপ্য, কিছু বই পারিবারিকভাবে প্রকাশিত হলেও, তা বিতরণ-বিপণনে পিছিয়ে এবং তাই পাঠে ও আলোচনায় প্রায় অনুপস্থিত বললেই চলে। দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশ তার একজন শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পীকে ভুলেই থাকল।এ রকম একটা সময়ে তাঁকে নিয়ে গবেষক-প্রাবন্ধিক মোরশেদ শফিউল হাসানের চারটি প্রবন্ধের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এই লেখক তাঁর বিভিন্ন লেখা ও বইয়ের মাধ্যমে ইতিমধ্যে সাহিত্যবিচারে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি মাহবুব–উল আলমের দৌহিত্র হলেও অপক্ষপাত থেকেই নিঃসংশয়ে তাঁর সাহিত্যিক উচ্চতা এবং সেই সঙ্গে মোরশেদের তাঁকে বিচারের যোগ্যতা উভয় বিষয়েই গভীর আস্থা পোষণ করি।মোরশেদের...
    ১২ মে সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি জমকালো সান্ধ্য আয়োজনে ঘোষণা করা হয় ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫। এ অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডসের সম্মানজনক ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কার অর্জন করেন। স্বাধীন প্রকাশনার অধিকার রক্ষার জন্য লেখক, প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের প্রচেষ্টা ও সংগ্রামকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য এ পুরস্কারটি দেওয়া হয়। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কারটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পুরস্কারজয়ী সাহিত্যিক মার্গারেট অ্যাটউড মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার অক্লান্ত একজন সংগ্রামী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। অ্যাটউড লন্ডনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না; তিনি একটি ভিডিও বার্তায় পুরস্কার গ্রহণের বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন, যা দেখানো হয় তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করার সময়। কানাডিয়ান লেখিকা তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন এই বলে যে, তিনি এ পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন। যদিও একটু বিভ্রান্তও বটে। তিনি...
    যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার ‘উইমেন্স প্রাইজ ফর ফিকশন ২০২৫’ -এর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৪ মার্চ নারী কথাসাহিত্যিকদের জন্য দেওয়া এই পুরস্কারটির দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার প্রকাশিত হলো এর সংক্ষিপ্ত রূপ। গত ২ এপ্রিল ৩০তম আসরের নির্বাচিত ৬টি উপন্যাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার হিসেবে চূড়ান্ত বিজয়ী পাবেন ৩০ হাজার পাউন্ড।  সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় আছে– আরিয়া আবেরের ‘গুড গার্ল’, মিরান্ডা জুলাইয়ের ‘অল ফোরস’, এলিজাবেথ স্ট্রাউটের টেল মি এভরিথিং, ভ্যান ডের উডেনের ‘ডের উডেন: দ্য সেফকিপ ইয়ায়েল’, নুসাইবাহ ইউনিসের ‘ফান্ডামেন্টালি’ এবং সানাম মাহলুদজির দ্য পারসিয়ানস’। যুক্তরাজ্যের সব নারী সাহিত্যিকের জন্য উন্মুক্ত হলেও ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ সালের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাসের গুরুত্ব অনুযায়ী গ্রন্থগুলো...
    হাসনাত আবদুল হাই। আগামীকাল তাঁর বয়স হবে ৮৯। বই, লেখালেখি, পাঠকপ্রিয়তা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সবখানেই তিনি সমান প্রাণবন্ত। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কথাসাহিত্যিক আমাদের জানান, তাঁর লেখকসত্তার জন্ম, কর্মপন্থা, ঐতিহাসিক চরিত্রের প্রতি অনুরাগ এবং নিজেকে বারবার আবিষ্কারের এক আশ্চর্য যাত্রার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহেরীন আরাফাত lআগামীকাল আপনার ৮৯ বছর পূর্ণ হয়ে ৯০-এ পা দেবেন... llএখন আর বছর গুনি না। লোকে যা বলে তাই মেনে নিই। lএই বয়সেও আপনি লেখালেখি, পড়াশোনা, এমনকি ফেসবুকেও দারুণ সক্রিয়। এই অদম্য সক্রিয়তার প্রেরণা কোথা থেকে আসে? llজীবন সম্পর্কে আমার কৌতূহল– এই কৌতূহল শুরু হয়েছে শৈশবে, তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই কৌতূহলের জন্যই আমি সক্রিয়। যেমন আমি বই পড়ি, লিখি, লোকের সঙ্গে কথা বলি। জীবন সম্পর্কে আমার যদি কৌতূহল না থাকত, তাহলে এগুলো করতে...
    আশির দশকের শেষ দিকে ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরে থাকতাম। কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান থাকতেন রাজারবাগের উত্তর পাশে, ১ মোমেনবাগে। আমি কাজ করতাম সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। অফিস ছিল মতিঝিলে দৈনিক বাংলা ভবনে। শওকত ওসমান আসতেন বিচিত্রায়। তখনকার তরুণ কথাশিল্পী মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা পছন্দ করতেন তিনি। বিচিত্রা অফিসে এলে সাবেরের টেবিলে বসতেন শওকত ওসমান।প্রায়ই বিকেলে দেখতাম, রাজারবাগের আশপাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন শওকত ওসমান। অনেক দিন তাঁকে পেয়েছি এলিফ্যান্ট রোডে শহীদজননী জাহানারা ইমামের বাসায়। সেখানে নানা বিষয়ে তাঁরা আলাপ করতেন।দেশভাগের আগের বছর, ১৯৪৬ সালে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ সম্পাদিত দৈনিক আজাদ পত্রিকার ঈদসংখ্যায় শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস বণী আদম ছাপা হয়েছিল। সেটিই ছিল সম্ভবত কোনো বাংলা দৈনিকের প্রথম ঈদসংখ্যা। আজাদ বেরোত কলকাতা থেকে। পত্রিকাটির জন্য উপন্যাসটির অলংকরণ করেছিলেন শিল্পী জয়নুল আবেদিন। গত শতকের আশির দশকের...
    প্রতিবাদী সাহিত্য মানব সমাজের সেই আয়না, যা যুগ যুগ ধরে অন্যায়, অবিচার, শোষণ আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এই সাহিত্য সমাজের বুকে জমে থাকা অসাম্য, অমানবিকতা এবং ক্ষমতাবানদের অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ ও বিদ্রোহের ভাব প্রকাশ করে। এর প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হলো সমাজের কদর্য দিকগুলোর স্পষ্ট চিত্রায়ণ, ক্ষমতার অপব্যবহারের সমালোচনা, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতি এবং একটি উন্নত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন।  কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা কিংবা দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকের মতো কালজয়ী রচনা এই প্রতিবাদী সাহিত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেখানে ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল এবং সমাজের গেঁথে বসা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ ঘোষিত হয়েছে। প্রতিবাদী সাহিত্য কেবল কালের সাক্ষী নয়, বরং এটি পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে, মানুষকে সচেতন করে তোলে এবং...
    ‘ফ্যাসিবাদের কর্মপদ্ধতি ও নীতি সমগ্র মানবজাতির উদ্বেগের বিষয়। যে আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করে, বিবেকবিরোধী কাজ করতে মানুষকে বাধ্য করে এবং হিংস্র রক্তাক্ত পথে চলে বা গোপনে অপরাধ সংঘটিত করে, সে আন্দোলনকে আমি সমর্থন করতে পারি এমন উদ্ভট চিন্তা আসার কোনো কারণ নেই। আমি বারবারই বলেছি, পশ্চিমের রাষ্ট্রগুলো সযত্নে উগ্র জাতীয়তাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব লালন করে সারা পৃথিবীর সামনে ভয়াবহ বিপদের সৃষ্টি করেছে।’সি এফ এন্ড্রুসকে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠি, ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান, লন্ডন, ৫ আগস্ট ১৯২৬ রবীন্দ্রনাথই ছিলেন প্রথম ভারতীয় সাহিত্যিক, যিনি ফ্যাসিবাদের ভয়ানক আগ্রাসী ও বর্বর রূপ উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, আন্তর্জাতিকতার সবচেয়ে বড় বিপদ সাম্রাজ্যবাদ ও উগ্র জাতীয়তাবাদ। তাই সারা জীবন দৃঢ়তার সঙ্গে অজস্র গান, কবিতা, রচনা, সাহিত্যকীর্তি ও বক্তৃতায় এই দুই সংকটের...
    কয়েক দিন ধরে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবর্ষণের মাধ্যমে প্রাণঘাতী সংঘাতের পর একটি ‘সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ উপনীত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। গতকাল শনিবার দুই দেশের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এ উত্তেজনার শুরু হয় গত ২২ এপ্রিল, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন।ভারত কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের সঙ্গে হামলাকারীদের সংযোগ আছে বলে অভিযোগ করে। পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে অভিযোগ অস্বীকার করে পেহেলগামে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।ওই ঘটনার জেরে ভারত পাকিস্তানের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ৬টি জায়গায় ২৪টি হামলা হয়েছে। হামলায় ৩৩ বেসামরিক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছেন।ভারত-পাকিস্তানের আজকের যুদ্ধবিরতিকে দারুণভাবে স্বাগত...
    সত্যেন্দ্রনাথ প্রামাণিক স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি। মায়ের কাছে পড়তে শিখেছিলেন। তবে লেখা শেখা হয়নি। শুধুই পড়তে পারেন। গান করেন, ছবি আঁকেন। মুখে মুখে গানও বাঁধেন। স্বশিক্ষিত সত্যেন্দ্রনাথ প্রামাণিক পেশায় কৃষক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়।এই উপজেলায় সত্যেন্দ্রনাথ প্রামাণিকের মতো আরও তিনজন আলোকিত মানুষের সন্ধান মিলেছে, যাঁদের একজন পেশায় কুমার, একজন কৃষক ও একজন গৃহিণী। তাঁদের তেমন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। কিন্তু ঘরে বসে তাঁরা বিশ্বসাহিত্য চর্চা করছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তাঁদের সম্মাননা জানানো হয়েছে। বরিন সাহিত্য সংসদের পত্রিকা ‘বরিনের বাতিঘর’–এর প্রকাশনা উৎসবে তানোর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘আলোকিত মানুষ সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, প্রতিষ্ঠিত কবি–সাহিত্যিকেরা উপস্থিত ছিলেন।সম্মাননাপ্রাপ্ত চারজন হলেন সোহরাব আলী, সত্যেন্দ্রনাথ প্রামাণিক, রঞ্জিত পাল ও হাসিনা বানু। তবে এই আয়োজনের মধ্যমণি ছিলেন ঔপন্যাসিক মঈন শেখ।...
    পৃথিবীর আরও অনেক দেশের মতো আমাদের দেশে মে মাসের দ্বিতীয়  রোববার ‘মা দিবস’। এই বিশেষ দিনটিকে সামনে রেখে, মাভক্ত তরুণদের জন্য হাজির করা হলো মাকে নিয়ে বানানো সর্বকালের সেরা পাঁচটি সিনেমা। অনলাইন অবলম্বনে হাজির করলেন ইমাম হোসেন মানিক ম্যাক্সিম গোর্কির উপন্যাস অবলম্বনে মাদার কিংবদন্তি রাশিয়ান সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির বিখ্যাত উপন্যাস ‘মাদার’ বা ‘মা’ অবলম্বনে ১৯২৬ সালে একই শিরোনামে সিনেমাটি নির্মাণ করেন রাশিয়ান ফিল্মমেকার ভসেভোলোদ পুদোভকিন। জার শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ১৯০৫ সালে সংঘটিত রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে এগিয়েছে এর কাহিনি। শ্রমিক ধর্মঘটকে ঘিরে পিতা ও পুত্র পরস্পরবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করলে সংসার, সন্তান ও আদর্শ নিয়ে লড়াইরত এক মায়ের মহাকাব্যিক রূপায়ণ করা হয়েছে। উপন্যাসটি যাদের পড়া আছে, সিনেমাটি তাদের জন্য অনেক বেশি উপভোগ্য ও ভাবনা-জাগানিয়া হয়ে উঠতে পারে। বলে রাখি, সিনেমাটিতে মা চরিত্রে...
    ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হবে পানি নিয়ে’- ২০১৫ সালে ‘স্টকহোম ওয়াটার প্রাইজ’ ও ভারতের ‘জলমানব’ খেতাবপ্রাপ্ত রাজেন্দ্র সিং এ মন্তব্য করেছিলেন। ওই সালেই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে NASA জানিয়েছিল যে, বিশ্বের ৩৭টির মধ্যে ২১টি বড় জলের আধারেই পানি কমে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কৃষিপণ্য ও কলকারখানায় উৎপাদন বাড়াতে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সন্দেহ নেই যে সমসাময়িক পরিস্থিতি এই সংকট আরো নাজুক করে তুলেছে।  তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘তরুণ ভারত সংঘ’ নামে একটি এনজিও’র মাধ্যমে রাজেন্দ্রগোষ্ঠী ও এলাকাভিওিক পানি ব্যবস্থাপনা ও পানির উৎস বাড়ানোর জন্য রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার কখনো এই গোষ্ঠীভিত্তিক উদ্যোগকে প্রণোদনা দেয় না। মরুকরণ প্রতিরোধের নামে সরকার সবসময় বড় বাঁধ, কেন্দ্রিয় সেচপদ্ধতি ও পাইপলাইনে পানি সরবরাহের মতো ঠিকাদারী প্রকল্প গ্রহণ...
    যুক্তরাজ্যের রাঙ্কর্ন ও হেলসবি আসনের উপনির্বাচনে লেবার পার্টিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে। ছয় ভোটের ব্যবধানে নাটকীয় এ জয় পেয়েছে দলটি। আসনটিতে গত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী জিতেছিলেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি ১৪ হাজার ৬৯৬ ভোটের ব্যবধানে সেখানে জিতেছিল।  বিবিসি জানায়, ওই আসনে লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) মাইক অ্যামসবেরি পদত্যাগ করায় সেখানে উপনির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এক ভোটারের ওপর হামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।  গ্রেটার লিঙ্কনশায়ারে মেয়র নির্বাচনেও সাফল্য পেয়েছে ডানপন্থি দলটি। রিফর্ম ইউকের প্রার্থী ডেম আন্দ্রেয়া জেনকিন্স সেখানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে রিফর্ম ইউকে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের উপনির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে দলটির মোট এমপির সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।...
    যুক্তরাজ্যের রাঙ্কর্ন ও হেলসবি আসনের উপনির্বাচনে ছয় ভোটের ব্যবধানে লেবার পার্টিকে হারিয়ে নাটকীয় জয় পেয়েছে রিফর্ম ইউকে। আসনটিতে গত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী জিতেছিলেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলটি ১৪ হাজার ৬৯৬ ভোটের ব্যবধানে সেখানে জিতেছিল। এবার তার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে রিফর্মের প্রার্থী ও সাবেক কনজারভেটিভ কাউন্সিলর সারাহ পোচিন চেশায়ার অঞ্চলের এই আসনে জয়ী হন।ওই আসনে লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) মাইক অ্যামসবেরি পদত্যাগ করায় সেখানে উপনির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এক ভোটারের ওপর হামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।গ্রেটার লিঙ্কনশায়ারে মেয়র নির্বাচনেও সাফল্য পেয়েছে ডানপন্থী দলটি। রিফর্ম ইউকের প্রার্থী ডেম আন্দ্রেয়া জেনকিন্স সেখানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি ছিলেন।এর মধ্য দিয়ে রিফর্ম ইউকে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের উপনির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। যুক্তরাজ্যের...
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মকসুদুর রহমান বলেন, শফীউদ্দীন সরদার সাহিত্য ও ইতিহাসের সেতুবন্ধ তৈরি করেছিলেন। তাঁর লেখা প্রায় ৭০টি গ্রন্থের ২৭টিই ঐতিহাসিক উপন্যাস, যা দেশের আর কোনো লেখকের লেখায় দেখা যায় না।শিকড়সন্ধানী সাহিত্যিক শফীউদ্দীন সরদারের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর শহরের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক মকসুদুর রহমান এ কথা বলেন। শফীউদ্দীন সরদার ফাউন্ডেশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে সভায় অধ্যাপক মকসুদুর রহমান ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও কবি নাফিউল ইসলাম, সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান শামীমা নার্গিস, বাংলাদেশ বেতারের নাট্যকার অধ্যাপক মোস্তফা মোহাম্মদ আবদুর রব,...
    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে আলোচিত পূর্ণাঙ্গ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির (বিচিত্রা) জন্ম হয়। কয়েকজন সম্পাদকের হাত ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী শাহাদত চৌধুরী সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার পরেই প্রকৃতপক্ষে পত্রিকাটির উত্থান ও জনপ্রিয়তা। পত্রিকাটির ‘জীবনাবসান’ মধ্য নব্বুইয়ে। স্বাধীনতা লাভের ৪৩ বছর পরে, ২০১৪ সালে দেশের শেষতম মানসম্পন্ন পূর্ণদৈর্ঘ্য সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এর পর এক দশক পেরিয়ে গেলেও নতুন কোনো মানসম্পন্ন ও জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন সুসম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকার দেখা না পাওয়ায় আপাতত বাধ্য হয়ে ধরে নিতে হচ্ছে যে দেশে সাপ্তাহিক পত্রিকার ধারাটি অবলুপ্ত হয়ে গেছে। দৈনিক সংবাদপত্রগুলোও যেভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হয়েছে ২০২০ সালে কোভিড মহামারি আসার পরে, তাতে মনে হচ্ছে আগামী এক দশকে অনেক সংবাদপত্রই বন্ধ হয়ে যাবে। এমন একটি বাস্তবতায় নিকট ভবিষ্যতে কমিটেড প্রকাশক বা পুঁজি লগ্নিকারীর আবির্ভাব...
    ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার দেশটির উচ্চশিক্ষার ওপর যে পরিকল্পিতভাবে খড়্গহস্ত হয়েছে, তার কারণ দেশজুড়ে ক্যাম্পাসগুলোয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সেই তোপ দাগতে গিয়ে বেশ প্রতিবন্ধকতারও সম্মুখীন হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে চাপান-উতোর লেগে গেছে হার্ভার্ডের। গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’র জল বহুদূর গড়িয়ে যাওয়ার পর অবশেষে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক অ্যালান এম গার্বার ১৪ এপ্রিল যে প্রকাশ্য চিঠির মাধ্যমে সরকারি কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, তা হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তার স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে এক ঐতিহাসিক দলিল।অবশ্য গার্বারের চিঠির আগেই অনেকেই বলেছিলেন, হার্ভার্ড যদি বুদ্ধিবৃত্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় নেতৃত্ব দিতে পারে, তাহলে সরকার খড়্গহস্ত হওয়ার পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে। হার্ভার্ডের সিংহভাগ শিক্ষক, বহু শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক, শিক্ষক...
    মারিও বার্গাস য়োসার মহাকাব্যিক উপন্যাস দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড দিয়ে শুরু করা যাক। উপন্যাসের পটভূমি ব্রাজিলের কানুদোস নামের এক বিরাট এলাকা। উনিশ শতকের শেষ দিকে এই কানুদোসেই ব্রাজিলের সেনাবাহিনী নিষ্ঠুরভাবে দমন করে এক গণবিদ্রোহ। লড়াইয়ের একদিকে কানুদোসের অধিবাসী—তারা এক বিশেষ ধর্মীয় সংগঠন, মূলত আদিবাসী, সাবেক ক্রীতদাস ও সমাজচ্যুত লোক দিয়ে ভরা এক বড় জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে নতুন জন্ম নেওয়া ব্রাজিলিয়ান রিপাবলিকের এলিট সেনাবাহিনী। কানুদোসবাসীরা কোনোভাবেই এই নতুন সরকারের কর্তৃত্ব, করব্যবস্থা ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেনে নেবে না। আবার সরকারও কোনোভাবেই মানবে না তার ভূখণ্ডের মধ্যে গজিয়ে ওঠা ‘বিপজ্জনক’ এই ধর্মমুখী ইউটোপিয়াকে। অতএব শুরু হলো পৃথিবী শেষ হওয়ার যুদ্ধ। কানুদোস হয়ে দাঁড়াল আদর্শিক বিরোধের মঞ্চ, মানুষ থেকে মানুষে নিয়তির ফারাকের নিষ্ঠুর উদাহরণভূমি। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী চারটি সামরিক অভিযান চালাল...
    শৈশবের প্রিয় মুহূর্ত  শৈশবের সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কেটেছে আমার বাবার সঙ্গে। তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। আমার বাবাকে এখনও মনে করি তিনি পৃথিবীর সেরা শ্রেষ্ঠ মানুষ। হাত ধরে বাজারে যাওয়া, কোথাও বের হওয়া, তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত। বাবা আমার একজন আইডল ছিলেন। বাবার মতো হওয়ার জন্য ভাই-বোনদের মধ্যে তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছি। তিনি আমাকে সবখানে নিয়ে যেতেন। তাঁর সঙ্গে সময় কাটানোটাই ছিল জীবনের সেরা সময়। যখন আপনি নবীন লেখক বাবা মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতেন। বিভিন্ন রিহার্সাল বা নাটক দেখানোর জন্য আমাকে নিয়ে যেতেন। তবে পরিবারের কেউ লেখালেখি করতেন না। বাবা প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারের পত্রিকা কিনতেন। সাহিত্য পাতার বিভিন্ন গল্প-কবিতা পড়তেন। বিশিষ্ট লেখকদের গল্প আমাকে শোনাতেন। আমার কাছে মনে হলো, আমি বাবাকে শ্রদ্ধা করি। বাবা তাদের...
    ‘মোহ কাঠের নৌকা’ উপন্যাসে আধুনিক সমাজের জটিলতা, পেশাগত টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত সংকট ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র রবীন গ্রাম থেকে শহরে এসে উচ্চশিক্ষা শেষে এক অখ্যাত অনলাইন সংবাদমাধ্যমে যোগ দেয় বড় স্বপ্ন নিয়ে। বাস্তবতা তাকে হতাশ করে তোলে। অফিসের রাজনীতি, অনিয়মিত বেতন ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা তাকে এক ধরনের পেশাগত দুঃখবোধে ফেলে। এ ছাড়া রবীনের জীবনে একের পর এক সংকট আসে– নিজের একাকিত্ব, পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সমাজের নানা অসংগতি। একসময় তার পরিচয় হয় জলি নামে এক মেয়ের সঙ্গে, যার বাবা গুমের শিকার। জলি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরেন গুম হওয়া পরিবারের কষ্ট, অনিশ্চয়তা ও অবহেলার যন্ত্রণা। অন্যদিকে, গ্রামের স্মৃতি রবীনের মনে গভীরভাবে গেঁথে থাকলেও বাস্তবতা সেখানে গিয়ে বদলে গেছে। বিদেশের অর্থে বদলে যাওয়া গ্রামীণ সমাজ,...