ফরিদপুরে বরযাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪০ জন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুরের নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই নারীর নাম মুক্তি রানী দাস (৪৫)। তিনি রাজবাড়ী সদরের বিনোদপুর মহল্লার দিলু কুমার দাসের স্ত্রী।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে ৫০ জনের মতো বরযাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন আহত হন। আহত বরযাত্রীদের মধ্যে ৩০ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। বাকি ১০ জনকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার মো.

সালাম হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার পর মুক্তি রানীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মামুন বলেন, বরিশালের গৌরনদীতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাজবাড়ীতে যাচ্ছিল বরযাত্রীবাহী বাসটি। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এলে বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নেওয়া হচ্ছে।

নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের সদস্য নিরঞ্জন কুমার মণ্ডল বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় মানুষের সহায়তায় সবাইকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা বাসের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন বাসচালকের সহকারী। পরে সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকৌ গতকাল রোববার নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিকদলীয় মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও হোকৌ তাঁকে ‘নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার বিষয়ে মনোযোগী একজন নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় হোকৌ জোহরানের প্রতি এ সমর্থন জানান। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী জোহরানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। তিনি রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এই সমর্থন হাউস মাইনরিটি লিডার হেকিম জেফরিস, সিনেট মাইনরিটি লিডার চাক শুমারের মতো অন্য শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁরা এখনো জোহরানকে সমর্থন জানাননি। জেফরিস ও শুমার দুজনেই ব্রুকলিনের বাসিন্দা।

গভর্নর হোকৌর এ সমর্থন দুই মাসের বেশি সময় ধরে দুজনের মধ্যে বজায় রাখা সতর্ক দূরত্বের অবসান ঘটাল। গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে (দলীয় বাছাইপর্বে) জোহরান সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দেন। হোকৌ প্রথমে জোহরানকে সমর্থন জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

হোকৌ লিখেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু আমাদের আলোচনায় আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি আমার মতোই এমন একটি নিউইয়র্ক গড়তে চান, যেখানে শিশুরা তাদের এলাকায় নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারবে এবং প্রতিটি পরিবারের জন্য সুযোগ হাতের নাগালে থাকবে। আমি এমন একজন নেতাকে দেখেছি, যিনি নিউইয়র্ক নগরকে সাশ্রয়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তাঁর এ লক্ষ্যকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।’

জোহরানের নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং প্রগতিশীল বিভিন্ন এজেন্ডা, যেমন বিনা মূল্যে সিটি বাস, সরকারি গ্রোসারি এবং শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দাদের ওপর কর আরোপ।

জোহরান মামদানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন জানালেন গভর্নর ক্যাথি হোকৌ