৩ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
Published: 16th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড,কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি ও রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সিকদার ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ধারণ করেছে আর্গুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী রেটিং হয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদী রেটিং ‘এসটি-২’।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত এবং চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই রেটিং প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির ক্রেডিট রেটিংও সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, কনফিডেন্স সিমেন্টের ক্রেডিট রেটিং নির্ধারণ করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ৩’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’।
এ রেটিংটি ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত নিরীক্ষিত এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পর্যালোচনার পর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিংও সম্পন্ন হয়েছে। ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে নির্ধারিত এই রেটিং অনুযায়ী, কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী রেটিং ‘এএ-’ এবং স্বল্পমেয়াদী রেটিং ‘এসটি-৩’ হয়েছে।
রেটিংটি ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
জুন মাসের মাঝামাঝি আসতেই এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্য জুনে পরিস্থিতি এমন হয়নি। সে বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি ছিল।
গতকাল শনিবার আরও ১৬৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। আরও একজনের মৃত্যুর কথাও বলেছে। এই নিয়ে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৯ জন।
গত বছর এই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৯৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯। আর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ওই বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০২। আর ওই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ২৮ জন।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তিন বছরের মধ্যে এ বছরের জুনে রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে।
ঢাকা মহানগরে কমঅন্য প্রায় সব বছরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু প্রকোপ প্রথমে ঢাকা শহরে বা দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশি রোগী ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় রোগী বেশি। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো. হালিমুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরগুনা শহরে ডেঙ্গু বেশি হওয়ার তিন কারণ আমরা আপাতত শনাক্ত করতে পেরেছি। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোনো কাজ করেনি। শহরে জলাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। এগুলো মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক।’