জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম পূরণ, ডাটা এন্ট্রি ও সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমাদান চলছে। আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ডাটা এন্ট্রি নিশ্চয়নের শেষ তারিখ: ২৬/০২/২০২৫ থেকে ২৭/০২/২০২৫ রাত ১১: ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। সোনালী সেবার মাধ্যমে টাকা জমার শেষ তারিখ ০৪/০৩/২০২৫ বিকেল চারটা পর্যন্ত।

বিবরণী ফরম ও অন্যান্য কাগজপত্র জমাদান/সংরক্ষণ সম্পর্কিত: বিবরণী ফরম ও অন্যান্য কাগজপত্র ২০২৩ সালের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করবেন। (আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই)

আরও পড়ুনবিদেশে পড়াশোনা, বিশ্ববিদ্যালয়–বিষয় বেছে নিতে অনুসরণ করুন এই ১২ ধাপ ৪ ঘণ্টা আগে

২০১৪–২০১৫ ও ২০১৫–২০১৬ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শর্তাবলি

*বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের সুপারিশ করা শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনার্স ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষে Promoted কিন্তু অনার্স ৩য় বর্ষের এক বা একাধিক কোর্সে (F) গ্রেড রয়েছে এবং অনার্স ৪র্থ বর্ষে অংশগ্রহণ করেননি বা অংশগ্রহণ করে এক বা একাধিক কোর্সে (F) গ্রেড রয়েছে, সেসব শিক্ষার্থী অনার্স ৩য় বর্ষের এক বা একাধিক কোর্সে ফরম পূরণ বাবদ ২ হাজার টাকা ও জরিমানা বাবদ ৩ হাজার টাকা সর্বমোট ৫ হাজার টাকা ফি প্রদান করে শুধু ২০২৩ সালের অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, ফি ৩০০ টাকা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

*কোনো শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে ব্যর্থ হলে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হলে কোনো অবস্থাতেই পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন না।

*এক বা একাধিক কোসে৴ ফরম পূরণের জন্য মোট ৫ হাজার টাকা লাগবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট:

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র এক ধ ক ক য় বর ষ অন র স

এছাড়াও পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

ভারতীয় ভুয়া নথি নিয়ে কলকাতায় অবৈধ বসবাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল। বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে পার্ক স্ট্রিট থানা পুলিশ (যাদবপুর থানা এলাকা থেকে) তাকে গ্রেপ্তার করে।  

জানা যায়, অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত এই নারী। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকত্বের নথি ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড এমনকি রেশন কার্ডও। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন শান্তা। ২০২৩ সালে ভিসা নিয়ে এ দেশে এসেছিলেন তিনি। সেই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে। এরপর নতুন করে ভিসার বানাননি তিনি। শুধু তাই নয়, পাসপোর্টের মেয়াদও শেষ হয়েছে চলতি বছরে।  

আরো পড়ুন:

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

বরাবর নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে: জয়া

কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন-ভিন্ন ঠিকানা দিয়ে থাকতেন শান্তা পাল। সম্প্রতি আবার এই শান্তা ঠাকুরপুকুর থানাতে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আর শান্তার করা মামলার তদন্তে নেমেই শান্তার বিরুদ্ধে একাধিক অসঙ্গতি পায় পুলিশ। তাতে দেখা যায়, শান্তার বসবাসের ঠিকানা এবং মামলায় উল্লেখ করা ঠিকানা দুটি ভিন্ন। এরপরই পুলিশ জানতে পারে শান্তা আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলাদেশের দুই নামি সংস্থারও মডেল ছিলেন। একাধিক বিউটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। 

প্রাথমিক তদন্তে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা জানতে পারে, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি মডেল শান্তার বর্ধমান জেলার একটি ঠিকানা থেকে ২০২০ সালে ভারতীয় আধার কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। কলকাতার বিক্রমগড় এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন শান্তা। দক্ষিণ কলকাতার আরেক ঠিকানায় শান্তার নামে প্রতি মাসে আসে ইলেকট্রিক বিল। বাংলাদেশের একটি সংস্থা আয়োজিত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল বাংলাদেশ’ খেতাব জেতেন শান্তা। 

শান্তা পালকে হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করছে লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা। পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে ধৃতের কাছ থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় বাংলাদেশ এয়ারওয়েজের এমপ্লয়ি কার্ড। বাংলাদেশ এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করতেন তিনি। বাংলাদেশের সেকেন্ডারি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, শান্তা পাল একজন মডেল-অভিনেত্রীর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগিং করেন তিনি। তার স্বামী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।  তার সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি শান্তার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া ভোটার, আধার ও রেশন কার্ড বৈধ কি না বা কীভাবে এই কার্ড পেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

বুধবার (৩০ জুলাই) শান্তা পালকে আদালতে তোলা হয়। ৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

২০২০ সালে শান্তা পাল ‘মি টু’ অভিযোগ তুলেছিলেন টলিউড পরিচালক, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির প্রাক্তন স্বামী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। সিনেমায় কাজের সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনেন শান্তা।  

মডেলিং, অভিনয় ছাড়াও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে সঞ্চালিকার কাজও করেছেন শান্তা পাল। ২০১৯ সালে, কেরালায় অনুষ্ঠিত ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন শান্ত। এর আগে একটি তামিল সিনেমায় অভিনয়ের কথা জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হুতিদের হামলায় সৌদি যুবরাজের লোহিত সাগর বন্দর পরিকল্পনা কি ভেস্তে যাবে
  • গাজায় নৃশংসতা চালিয়ে ইসরায়েল কি পশ্চিমা বিশ্বেও একঘরে হয়ে যাচ্ছে
  • স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাকেতার
  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • প্রতিনিধিত্ব করার ‘প্রতীকহীন’ সুযোগ 
  • ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট