রমজানে তেলের সংকট হবে না, জানাল কোম্পানিগুলো
Published: 16th, February 2025 GMT
ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, আসন্ন পবিত্র রমজান সামনে রেখে বাজারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই রমজানে বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহে কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই।
ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটি জানায়, সম্প্রতি বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ–ঘাটতির সংবাদে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় ভোক্তা ও ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীরা যেন আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের বেশি ভোজ্যতেল না কেনেন, সে অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহের পরিমাণের দিক থেকে সংকটের কোনো সুযোগ নেই। তবে রমজানে বাড়তি চাহিদার কারণে কতিপয় ব্যবসায়ীর মজুতের প্রবণতা থেকে যদি সংকট হয়ে থাকে, সেটিও কেটে যাবে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ অবস্থায় কারও অস্বাভাবিক মুনাফার সুযোগ নেই।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টি কে গ্রুপ এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েল চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব তেল আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে সংগঠনটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের আশ্বস্ত করে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান সংকটে যেন ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে জন্য সরকারিভাবে বাজার তদারকি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সমিতি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল র সরবর হ রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সংকট
রাজধানী ঢাকার একটি ঘনবসতিপূর্ণ শনির আখড়ায় গ্যাস সংকট এখন নিয়মিত ভোগান্তির নাম। ভোর থেকে দুপুর—কখনো কখনো পুরো দিন গ্যাসের দেখা মেলে না। এর ফলে রান্না, দৈনন্দিন জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আমরা যারা সকালবেলা অফিস, স্কুল বা কলেজে যাবার আগে তড়িঘড়ি করে রান্না সেরে বের হওয়ার চেষ্টা করি, তাদের জন্য গ্যাস না থাকা মানেই বিশৃঙ্খল একটি দিন। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম, অন্যদিকে গ্যাস না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে বাড়তি খরচ। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গৃহিণী ও কর্মজীবী নারীরা।
সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, আমরা নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করেও সে অনুযায়ী সেবা পাচ্ছি না। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দিনের পর দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। কবে আসবে, কখন বন্ধ থাকবে—এমন কোনো সময়সূচিও জানানো হয় না। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও পাওয়া যায় না সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা সমাধানের আশ্বাস।
গ্যাস না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারে ঝুঁকছেন। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ব্যয় বহনের কারণে এটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কোনো টেকসই সমাধান নয়। বারবার সিলিন্ডার ভরানো এবং নিয়মিত হারে খরচ চালানো এই শ্রেণির জন্য প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি থাকলে তা আগেভাগে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে, যাতে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারে। মাসিক বিলের বিপরীতে ন্যায্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি এলাকার জন্য সমস্যা নিরসনে হটলাইন চালু করতে হবে, যেখানে তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানানো সম্ভব হবে।
নুসরাত অপর্ণা
শনিরআখড়া, ঢাকা