সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা ছাত্র নিহত, নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
Published: 16th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় শিহাব (২৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছেন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কালীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিহাব উপজেলার শিবপুরে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করতেন।
এরআগে সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেরদড়িকান্দি জাহিদেরগাঁও এলাকায় ঢাকাগামী লেন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
আড়াইহাজার থানার ওসি জানান, দুপুরে রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে তার মোটরসাইকেলটিকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং শিহাব ছিটকে পড়ে তার মাথা থেঁতলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মাদরাসায় পড়ার পাশাপাশি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।
অন্যদিকে কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, রাতের কোনো এক সময়ে ওই অজ্ঞাত নারী সড়ক দুর্ঘটনায় হয়তো মারা গেছেন। রাতে একের পর এক গাড়ি লাশটির ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে রাস্তার সঙ্গে মরদেহটি পিষে গেছে।
মাথার কিছু চুল দেখে অনুমান করা যায় তিনি একজন নারী। এ ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম ও তদন্ত চলমান।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ ম দর স ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?